উপল বড়ুয়া
বিশ্বকাপে কার না পচা শামুকে পা কেটেছে! নিকট অতীতের কথা বললে গত ওয়ানডে বিশ্বকাপ থেকে একটু ঘুরে আসা যেতে পারে। দুই সাবেক চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান ও ইংল্যান্ডকে হারানোর পর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও প্রায় জিতে যাচ্ছিল আফগানিস্তান। অজিবধের গল্প লেখা হয়নি বটে, তবে পাকিস্তানকে হারানোর পর যুদ্ধবিধ্বস্ত কাবুলে যে আতশবাজি উৎসব হয়েছে, সেই স্মৃতি অনেক দিন মনে রাখবে আফগানরা।
এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও যদি মোহম্মদ নবী-রশিদ খানরা এমন চমক দেখান, সেটিকে আর ‘ফ্লুক’ বলার উপায় নেই। অন্য দল হয়তো একে ‘অঘটন’ বলে উড়িয়ে দিতে চাইবে। কিন্তু আফগানরা এখন এমন জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। সেদিকুল্লাহ আতালের কথাই ধরুন। আফগানদের বিশ্বকাপ রিজার্ভ দলে থাকা এই বাঁহাতি ব্যাটারের বিশ্বাস, তারা এখন কারও থেকে কম নয়।
বিশ্বকাপটা টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের বলেই ২০ দলের কাউকেই উপেক্ষা করার সুযোগ নেই। যার দিন ভালো যাবে বা কারও একটু ভুল হলেই ঘটে যেতে পারে অনেক কিছু। শুধু আফগানিস্তান কেন, ফেবারিটের তালিকায় না থাকা আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, স্কটল্যান্ড কিংবা যুক্তরাষ্ট্র যদি বড় দলের কাউকে হারিয়ে দেয়, তবে আশ্চর্য হওয়ার মতো কিছু থাকবে কি! আইসিসি টুর্নামেন্টে এমন অঘটন তো অতীতেও দেখা গেছে!
বিশ্বকাপ শুরুর আগেই তো এমন দৃশ্য দেখা গেছে হিউস্টনে। প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়া যুক্তরাষ্ট্র হারিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশকে। সেটিও এক ম্যাচ নয়, টানা দুই ম্যাচে! জিতেছে ঐতিহাসিক সিরিজও! এমন হারের পর বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারদের একজন সাকিব আল হাসানও বলতে বাধ্য হলেন, ‘টি-টোয়েন্টিতে ছোট দল, বড় দল নেই।’ অঘটন থেকে বাঁচতে তাঁর মতো উপলব্ধি অন্য কারও হলে বিপদ এড়ানো কিছুটা হলেও সম্ভব।
কিন্তু ক্রিকেটে এমন কিছু দিন ও মুহূর্ত আসে, শতভাগ ঢেলে দেওয়ার পরও ফল অনুকূলে না-ও আসতে পারে। এবার এমন ‘অঘটনঘটনপটীয়ান’ হবে কোন দল? ফেবারিটের তালিকায় যদি অস্ট্রেলিয়া, ভারত, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজকে রাখেন; অঘটনের জন্ম দিতে পারে—এমন দল হতে পারে কারা?
একটু হিসাব করে তিনটি দলের নাম বলা যায়—নেদারল্যান্ডস, আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ড। ডাচরা গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে উড়তে থাকা প্রোটিয়াদের হারিয়ে চমকে দিয়েছিল। এবার ‘ডি’ গ্রুপে পড়েছে দুই দল। একই গ্রুপে সাবেক চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ ও নেপাল থাকলেও ডাচদের ভালোই সুযোগ আছে তাদের হারিয়ে নকআউট পর্বে যাওয়ার। ‘এ’ গ্রুপে ভারত ও পাকিস্তানকে টপকে হয়তো নকআউটে যাওয়া হবে না আয়ারল্যান্ডের। তবে বিশ্বকাপে আইরিশ রূপকথা অতীতেও লেখা হয়েছে। গত মাসেও পাকিস্তানকে হারিয়েছে তারা। আর আফগানদের বীরত্বের কথা শুরুতেই তো বললাম।
এবারের তিন নবাগত যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও উগান্ডাকেও রাখতে হবে হিসাবের মধ্যে। বিশ্বকাপের আগে সাকিব-শান্তদের কঠিন সত্যের মুখোমুখি কে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে?—যুক্তরাষ্ট্র। আর উগান্ডা-জিম্বাবুয়ের হৃদয় ভেঙেই বিশ্বকাপে এসেছে আফ্রিকার দলটি। পাপুয়া নিউগিনি, ওমান, নামিবিয়া, স্কটল্যান্ড ও নেপালকেও একেবারে ফেলে দেওয়া যাবে না বাতিলের খাতায়।
বিশ্বকাপের অফিশিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচে আইসিসির সহযোগী সদস্য নেদারল্যান্ডস হারিয়ে দিয়েছে পূর্ণ সদস্যদেশ শ্রীলঙ্কাকে। সব মিলিয়ে তারা হয়তো বিশ্বকাপ জিতবে না, তবে শক্তিধর দলগুলোর এগিয়ে যাওয়ার পথে বিছিয়ে দিতে পারে কাঁটা। গ্রুপ পর্বেই বড় দলগুলোর জন্য কঠিন করে দিতে পারে সমীকরণ। অঘটন ঘটানোর মতো অস্ত্র তাদের হাতেও তো কম নেই।
বিশ্বকাপে কার না পচা শামুকে পা কেটেছে! নিকট অতীতের কথা বললে গত ওয়ানডে বিশ্বকাপ থেকে একটু ঘুরে আসা যেতে পারে। দুই সাবেক চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান ও ইংল্যান্ডকে হারানোর পর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও প্রায় জিতে যাচ্ছিল আফগানিস্তান। অজিবধের গল্প লেখা হয়নি বটে, তবে পাকিস্তানকে হারানোর পর যুদ্ধবিধ্বস্ত কাবুলে যে আতশবাজি উৎসব হয়েছে, সেই স্মৃতি অনেক দিন মনে রাখবে আফগানরা।
এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও যদি মোহম্মদ নবী-রশিদ খানরা এমন চমক দেখান, সেটিকে আর ‘ফ্লুক’ বলার উপায় নেই। অন্য দল হয়তো একে ‘অঘটন’ বলে উড়িয়ে দিতে চাইবে। কিন্তু আফগানরা এখন এমন জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। সেদিকুল্লাহ আতালের কথাই ধরুন। আফগানদের বিশ্বকাপ রিজার্ভ দলে থাকা এই বাঁহাতি ব্যাটারের বিশ্বাস, তারা এখন কারও থেকে কম নয়।
বিশ্বকাপটা টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের বলেই ২০ দলের কাউকেই উপেক্ষা করার সুযোগ নেই। যার দিন ভালো যাবে বা কারও একটু ভুল হলেই ঘটে যেতে পারে অনেক কিছু। শুধু আফগানিস্তান কেন, ফেবারিটের তালিকায় না থাকা আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, স্কটল্যান্ড কিংবা যুক্তরাষ্ট্র যদি বড় দলের কাউকে হারিয়ে দেয়, তবে আশ্চর্য হওয়ার মতো কিছু থাকবে কি! আইসিসি টুর্নামেন্টে এমন অঘটন তো অতীতেও দেখা গেছে!
বিশ্বকাপ শুরুর আগেই তো এমন দৃশ্য দেখা গেছে হিউস্টনে। প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়া যুক্তরাষ্ট্র হারিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশকে। সেটিও এক ম্যাচ নয়, টানা দুই ম্যাচে! জিতেছে ঐতিহাসিক সিরিজও! এমন হারের পর বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারদের একজন সাকিব আল হাসানও বলতে বাধ্য হলেন, ‘টি-টোয়েন্টিতে ছোট দল, বড় দল নেই।’ অঘটন থেকে বাঁচতে তাঁর মতো উপলব্ধি অন্য কারও হলে বিপদ এড়ানো কিছুটা হলেও সম্ভব।
কিন্তু ক্রিকেটে এমন কিছু দিন ও মুহূর্ত আসে, শতভাগ ঢেলে দেওয়ার পরও ফল অনুকূলে না-ও আসতে পারে। এবার এমন ‘অঘটনঘটনপটীয়ান’ হবে কোন দল? ফেবারিটের তালিকায় যদি অস্ট্রেলিয়া, ভারত, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজকে রাখেন; অঘটনের জন্ম দিতে পারে—এমন দল হতে পারে কারা?
একটু হিসাব করে তিনটি দলের নাম বলা যায়—নেদারল্যান্ডস, আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ড। ডাচরা গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে উড়তে থাকা প্রোটিয়াদের হারিয়ে চমকে দিয়েছিল। এবার ‘ডি’ গ্রুপে পড়েছে দুই দল। একই গ্রুপে সাবেক চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ ও নেপাল থাকলেও ডাচদের ভালোই সুযোগ আছে তাদের হারিয়ে নকআউট পর্বে যাওয়ার। ‘এ’ গ্রুপে ভারত ও পাকিস্তানকে টপকে হয়তো নকআউটে যাওয়া হবে না আয়ারল্যান্ডের। তবে বিশ্বকাপে আইরিশ রূপকথা অতীতেও লেখা হয়েছে। গত মাসেও পাকিস্তানকে হারিয়েছে তারা। আর আফগানদের বীরত্বের কথা শুরুতেই তো বললাম।
এবারের তিন নবাগত যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও উগান্ডাকেও রাখতে হবে হিসাবের মধ্যে। বিশ্বকাপের আগে সাকিব-শান্তদের কঠিন সত্যের মুখোমুখি কে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে?—যুক্তরাষ্ট্র। আর উগান্ডা-জিম্বাবুয়ের হৃদয় ভেঙেই বিশ্বকাপে এসেছে আফ্রিকার দলটি। পাপুয়া নিউগিনি, ওমান, নামিবিয়া, স্কটল্যান্ড ও নেপালকেও একেবারে ফেলে দেওয়া যাবে না বাতিলের খাতায়।
বিশ্বকাপের অফিশিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচে আইসিসির সহযোগী সদস্য নেদারল্যান্ডস হারিয়ে দিয়েছে পূর্ণ সদস্যদেশ শ্রীলঙ্কাকে। সব মিলিয়ে তারা হয়তো বিশ্বকাপ জিতবে না, তবে শক্তিধর দলগুলোর এগিয়ে যাওয়ার পথে বিছিয়ে দিতে পারে কাঁটা। গ্রুপ পর্বেই বড় দলগুলোর জন্য কঠিন করে দিতে পারে সমীকরণ। অঘটন ঘটানোর মতো অস্ত্র তাদের হাতেও তো কম নেই।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪