রাজশাহী প্রতিনিধি
তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে রাজশাহীর জনজীবন। গরমের ফলে ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই। গত শুক্রবার রাজশাহীতে পারদ উঠেছিল ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই তাপমাত্রা গত ছয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
গতকাল শনিবার তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও কমেনি গরম। এদিন এখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিস জানাচ্ছে, ১৯৭২ সালের ১৮ মে রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি এখন পর্যন্ত দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। ২০০০ সালে রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। ২০১৬ সালের ২৯ এপ্রিল এখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত শুক্রবার আবার সেই একই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হলো।
আবহাওয়া অফিসের হিসাবে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে মৃদু দাবদাহ বলা হয়। আর ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ভেতর থাকলে তাকে মাঝারি দাবদাহ ধরা হয়। এ ছাড়া ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে ধরা হয় তীব্র দাবদাহ হিসেবে।
সে অনুযায়ী গত শুক্রবার তীব্র দাবদাহ থাকলেও গতকাল শনিবার মাঝারি দাবদাহ ছিল। তবে গরম তেমন কমেনি। প্রখর সূর্যের তাপে হাঁসফাঁস করছে মানুষ। রোজার মধ্যে এই গরমে খুব প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না কেউ। গরমের কারণে বেকায়দায় পড়েছে শ্রমজীবী মানুষ। রিকশাচালক, দিনমজুর, শ্রমিক ও কৃষকদের কাজ করতে হচ্ছে তীব্র খরতাপের মধ্যেই। আবার বিদ্যুৎ চলে গেলে গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে ঘরে থাকা মানুষ।
গতকাল শনিবার দুপুরে নগরীর দড়িখড়বোনা লেভেল ক্রসিংয়ের পাশে কালভার্ট নির্মাণের কাজ করছিলেন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর একদল নারী-পুরুষ। কাজের ফাঁকে একটু পরপর তাঁরা গলা ভেজাচ্ছিলেন পানিতে। সুমিতা কিসকু নামের এক নারী বলেন, এই গরমে কাজ করতে গিয়ে শরীর থেকে শুধু পানি ঝরছে। গলা শুকিয়ে আসছে। তাই একটু পরপর পানি খাচ্ছেন।
সন্তোষ হেমব্রম নামের আরেক শ্রমিক বলেন, ‘গরিবের সবদিকেই মরণ। শীতে ঠান্ডায় মরি কাপড়ের অভাবে। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত শান্তি নাই।’
শহরের রানীবাজার এলাকায় দুপুর থেকেই ইফতারের পসরা সাজিয়েছিলেন আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, গরমের কারণে লোকজন বের হচ্ছে না। ইফতারিও বিক্রি হচ্ছে না। আসরের নামাজের পর রোদ একটু কমবে, তখন লোকজন আসবে।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক মো. গাউসুজ্জামান বলেন, আগের দিনের চেয়ে শনিবার তাপমাত্রা একটু কমেছে। তবে গরম তেমন কমেনি। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত তাপমাত্রা কমার লক্ষণ নেই। আকাশে হালকা মেঘ ভেসে বেড়াচ্ছে। কিন্তু বৃষ্টি হচ্ছে না। তাই বৃষ্টির সম্ভাবনার কথাও জানাতে পারেননি তিনি।
তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে রাজশাহীর জনজীবন। গরমের ফলে ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই। গত শুক্রবার রাজশাহীতে পারদ উঠেছিল ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই তাপমাত্রা গত ছয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
গতকাল শনিবার তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও কমেনি গরম। এদিন এখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিস জানাচ্ছে, ১৯৭২ সালের ১৮ মে রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি এখন পর্যন্ত দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। ২০০০ সালে রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। ২০১৬ সালের ২৯ এপ্রিল এখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত শুক্রবার আবার সেই একই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হলো।
আবহাওয়া অফিসের হিসাবে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে মৃদু দাবদাহ বলা হয়। আর ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ভেতর থাকলে তাকে মাঝারি দাবদাহ ধরা হয়। এ ছাড়া ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে ধরা হয় তীব্র দাবদাহ হিসেবে।
সে অনুযায়ী গত শুক্রবার তীব্র দাবদাহ থাকলেও গতকাল শনিবার মাঝারি দাবদাহ ছিল। তবে গরম তেমন কমেনি। প্রখর সূর্যের তাপে হাঁসফাঁস করছে মানুষ। রোজার মধ্যে এই গরমে খুব প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না কেউ। গরমের কারণে বেকায়দায় পড়েছে শ্রমজীবী মানুষ। রিকশাচালক, দিনমজুর, শ্রমিক ও কৃষকদের কাজ করতে হচ্ছে তীব্র খরতাপের মধ্যেই। আবার বিদ্যুৎ চলে গেলে গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে ঘরে থাকা মানুষ।
গতকাল শনিবার দুপুরে নগরীর দড়িখড়বোনা লেভেল ক্রসিংয়ের পাশে কালভার্ট নির্মাণের কাজ করছিলেন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর একদল নারী-পুরুষ। কাজের ফাঁকে একটু পরপর তাঁরা গলা ভেজাচ্ছিলেন পানিতে। সুমিতা কিসকু নামের এক নারী বলেন, এই গরমে কাজ করতে গিয়ে শরীর থেকে শুধু পানি ঝরছে। গলা শুকিয়ে আসছে। তাই একটু পরপর পানি খাচ্ছেন।
সন্তোষ হেমব্রম নামের আরেক শ্রমিক বলেন, ‘গরিবের সবদিকেই মরণ। শীতে ঠান্ডায় মরি কাপড়ের অভাবে। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত শান্তি নাই।’
শহরের রানীবাজার এলাকায় দুপুর থেকেই ইফতারের পসরা সাজিয়েছিলেন আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, গরমের কারণে লোকজন বের হচ্ছে না। ইফতারিও বিক্রি হচ্ছে না। আসরের নামাজের পর রোদ একটু কমবে, তখন লোকজন আসবে।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক মো. গাউসুজ্জামান বলেন, আগের দিনের চেয়ে শনিবার তাপমাত্রা একটু কমেছে। তবে গরম তেমন কমেনি। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত তাপমাত্রা কমার লক্ষণ নেই। আকাশে হালকা মেঘ ভেসে বেড়াচ্ছে। কিন্তু বৃষ্টি হচ্ছে না। তাই বৃষ্টির সম্ভাবনার কথাও জানাতে পারেননি তিনি।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৯ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪