Ajker Patrika

সুবিধা নিয়ে মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার অভিযোগ

মুলাদী প্রতিনিধি
আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২১, ১১: ৩৭
সুবিধা নিয়ে মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার অভিযোগ

মুলাদীতে আসামিদের থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়েরকৃত মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা মুলাদী থানার উপপরিদর্শক এটা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মামলার বাদী রেহানা আক্তার। তবে উপপরিদর্শক মিজানুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। চূড়ান্ত প্রতিবেদনে নারাজি দিয়ে পুনঃতদন্তের দাবি জানিয়েছে আদালতে আবেদন করেছেন বাদী।

বিষয়টি নিয়ে রেহানা আক্তার গত ১৪ ডিসেম্বর সিনিয়র পুলিশ সুপার (মুলাদী) সার্কেল কার্যালয়ে যান। এএসপি মো. মতিউর রহমান আদালত রেহানা আক্তারের না রাজি আবেদন গ্রহণ করে পুন:তদন্তের দায়িত্ব দিলে বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বস্থ করেন।

রেহানা আক্তার জানান, তাঁর স্বামী বাটামারা ইউনিয়নের আব্দুর রহিমের যৌতুক দাবিতে বিভিন্ন সময় দেড় লাখ টাকা দেন। আব্দুর রহিম গত জুনে তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। ২৪ জুন আদালতে মামলা করেন তিনি। গত ৪ আগস্ট আব্দুর রহিম খানের বাড়িতে গেলে আব্দুর রহিম পিটিয়ে মারাত্মক আহত করেন রেহানাকে।

ওই ঘটনায় রেহানা আক্তার বাদী হয়ে ১৬ আগস্ট বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে আব্দুর রহিম, তার ১ম স্ত্রী ও ওই পক্ষের ছেলেকে আসামি করে মামলা করেন। আদালত মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অনুসন্ধানের জন্য উপপরিদর্শক মিজানুর রহমানকে দায়িত্ব দেন। মিজানুর রহমান ১৫ নভেম্বর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেন। রেহানা আক্তার এতে না রাজি দিয়ে পুন:তদন্তের আবেদন জানান।

রেহানা আক্তার বলেন, ‘তদন্ত কর্মকর্তা আমার কাছে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেন। আমি অনেক কষ্টে তাকে দুই দফায় ৯ হাজার টাকা দিয়েছি। কিন্তু আর দিতে পারিনি। তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামিদের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে মামলার অভিযোগপত্র না দিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছেন। চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রের সঙ্গে তদন্তকারী কর্মকর্তার প্রতিবেদনের মিল নেই।

মিজানুর রহমান জানান, রেহানা আক্তার কিংবা আব্দুর রহিম থেকে সুবিধা নেওয়া হয়নি। সাক্ষ্যপ্রমাণ এবং চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্র পর্যালোচনা করে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে।

মুলাদী থানার ওসি এস এম মাকসুদুর রহমান বলেন, চিকিৎসকদের প্রতিবেদনের ব্যতিক্রম করার সুযোগ নেই। তদন্তকারী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি পর্যালোচনা করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত