নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য ব্যাকুল প্রাণ। কখন ফিরবেন তাঁর প্রিয় মাতৃভূমিতে, যাকে স্বাধীন করতে তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে প্রাণ দিয়েছিলেন ৩০ লাখ মানুষ। সেই মাটি তাঁকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে। অপেক্ষা যেন আর ফুরোয় না। ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি পাকিস্তান কারাগার থেকে মুক্তির পর স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গিয়েছিলেন লন্ডনে। সেখান থেকে ৯ জানুয়ারি তিনি রওনা দেন তাঁর প্রিয় বাংলাদেশের পথে।
কারাগারে ২৯০ দিন বন্দী থাকার পর ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারির ভোররাতেই মুক্তি দেওয়া হয় বঙ্গবন্ধুকে। ওই দিন স্থানীয় সময় ভোরে লন্ডন পৌঁছে ব্যস্ত সময় কাটান বঙ্গবন্ধু। ৯ তারিখ লন্ডনের সময় ভোরেই হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ব্রিটিশ সরকারের দেওয়া বিশেষ বিমানে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা দেন বঙ্গবন্ধু। বিমানে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গী ছিলেন ড. কামাল হোসেন, তাঁর পরিবার এবং দুই ভারতীয় কূটনীতিক শশাঙ্ক এস ব্যানার্জি ও ভেদ মারওয়া।
৯ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুকে বহনকারী ব্রিটিশ বিশেষ বিমানটি বিমানবন্দর ছাড়ার পর বিবিসি ঘোষণা দেয়, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের উদ্দেশে যাত্রা করেছেন। ভারতে যাত্রাবিরতি শেষে ১০ জানুয়ারি স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখবেন জাতির পিতা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আসার জন্য বিমান পাঠাতে চেয়েছিলেন; কিন্তু বঙ্গবন্ধু ব্রিটিশ সরকারের বিমানেই দেশে ফিরতে চাইলেন।
শশাঙ্ক ব্যানার্জি এই ঐতিহাসিক ভ্রমণকে তাঁর ‘ইন্ডিয়া, মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশ লিবারেশন অ্যান্ড পাকিস্তান’ বইয়ে জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক মিশন হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
শশাঙ্ক ব্যানার্জি লিখেছেন, ‘কিছু সময় আড্ডার পর আমরা কমলার রস পান করলাম। বিমানটি এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আত্মবিশ্বাসী শেখ মুজিব ফিসফিস করে জিজ্ঞাসা করলেন, তিনি আমার কাছে বড় কোনো সাহায্য চাইতে পারেন কি না। তবে তাঁর আচরণে একটুও দ্বিধা ছিল না। আমি ইতিবাচকভাবে জবাব দিয়ে বলেছিলাম, আমার সামর্থ্যের মধ্যে হলে পারব।’ বঙ্গবন্ধু বললেন, ‘রাষ্ট্রপতি ভবনে বৈঠকের আগে দিল্লি পৌঁছে ইন্দিরা গান্ধীর কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা পৌঁছে দিতে চান তিনি। আমি প্রথম কয়েক সেকেন্ডের জন্য নার্ভাস ছিলাম। আমি বুঝতে পারছিলাম না, মুজিবের উদ্দেশ্য কী ছিল? আমি ভাবছিলাম, উৎসবমুখর পরিবেশের মাঝে কীভাবে দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর কানে মুজিবের বার্তা পৌঁছে দেব? আমার কাছে মুজিবের অনুরোধের বার্তাটি ছিল, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী যেন সেনা প্রত্যাহারের সময়সূচির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করেন।’
১০ জানুয়ারি সকালে বঙ্গবন্ধু দিল্লিতে নামেন। সেখানে বঙ্গবন্ধুকে ভারতের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ভিভি গিরি, প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, রাজনৈতিক নেতাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উষ্ণ সংবর্ধনা দেন।
স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য ব্যাকুল প্রাণ। কখন ফিরবেন তাঁর প্রিয় মাতৃভূমিতে, যাকে স্বাধীন করতে তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে প্রাণ দিয়েছিলেন ৩০ লাখ মানুষ। সেই মাটি তাঁকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে। অপেক্ষা যেন আর ফুরোয় না। ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি পাকিস্তান কারাগার থেকে মুক্তির পর স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গিয়েছিলেন লন্ডনে। সেখান থেকে ৯ জানুয়ারি তিনি রওনা দেন তাঁর প্রিয় বাংলাদেশের পথে।
কারাগারে ২৯০ দিন বন্দী থাকার পর ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারির ভোররাতেই মুক্তি দেওয়া হয় বঙ্গবন্ধুকে। ওই দিন স্থানীয় সময় ভোরে লন্ডন পৌঁছে ব্যস্ত সময় কাটান বঙ্গবন্ধু। ৯ তারিখ লন্ডনের সময় ভোরেই হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ব্রিটিশ সরকারের দেওয়া বিশেষ বিমানে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা দেন বঙ্গবন্ধু। বিমানে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গী ছিলেন ড. কামাল হোসেন, তাঁর পরিবার এবং দুই ভারতীয় কূটনীতিক শশাঙ্ক এস ব্যানার্জি ও ভেদ মারওয়া।
৯ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুকে বহনকারী ব্রিটিশ বিশেষ বিমানটি বিমানবন্দর ছাড়ার পর বিবিসি ঘোষণা দেয়, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের উদ্দেশে যাত্রা করেছেন। ভারতে যাত্রাবিরতি শেষে ১০ জানুয়ারি স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখবেন জাতির পিতা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আসার জন্য বিমান পাঠাতে চেয়েছিলেন; কিন্তু বঙ্গবন্ধু ব্রিটিশ সরকারের বিমানেই দেশে ফিরতে চাইলেন।
শশাঙ্ক ব্যানার্জি এই ঐতিহাসিক ভ্রমণকে তাঁর ‘ইন্ডিয়া, মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশ লিবারেশন অ্যান্ড পাকিস্তান’ বইয়ে জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক মিশন হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
শশাঙ্ক ব্যানার্জি লিখেছেন, ‘কিছু সময় আড্ডার পর আমরা কমলার রস পান করলাম। বিমানটি এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আত্মবিশ্বাসী শেখ মুজিব ফিসফিস করে জিজ্ঞাসা করলেন, তিনি আমার কাছে বড় কোনো সাহায্য চাইতে পারেন কি না। তবে তাঁর আচরণে একটুও দ্বিধা ছিল না। আমি ইতিবাচকভাবে জবাব দিয়ে বলেছিলাম, আমার সামর্থ্যের মধ্যে হলে পারব।’ বঙ্গবন্ধু বললেন, ‘রাষ্ট্রপতি ভবনে বৈঠকের আগে দিল্লি পৌঁছে ইন্দিরা গান্ধীর কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা পৌঁছে দিতে চান তিনি। আমি প্রথম কয়েক সেকেন্ডের জন্য নার্ভাস ছিলাম। আমি বুঝতে পারছিলাম না, মুজিবের উদ্দেশ্য কী ছিল? আমি ভাবছিলাম, উৎসবমুখর পরিবেশের মাঝে কীভাবে দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর কানে মুজিবের বার্তা পৌঁছে দেব? আমার কাছে মুজিবের অনুরোধের বার্তাটি ছিল, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী যেন সেনা প্রত্যাহারের সময়সূচির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করেন।’
১০ জানুয়ারি সকালে বঙ্গবন্ধু দিল্লিতে নামেন। সেখানে বঙ্গবন্ধুকে ভারতের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ভিভি গিরি, প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, রাজনৈতিক নেতাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উষ্ণ সংবর্ধনা দেন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৮ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪