Ajker Patrika

নদীর পানি বেড়ে প্লাবিত ৫০ হেক্টর ফসলি জমি

কাজল সরকার, হবিগঞ্জ
আপডেট : ১৯ এপ্রিল ২০২২, ১৩: ৪০
নদীর পানি বেড়ে প্লাবিত ৫০ হেক্টর ফসলি জমি

হবিগঞ্জের লাখাইয়ে সুতাং ও ধলেশ্বরী নদীর পানি বেড়ে ৫০ হেক্টর জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন লাখাই উপজেলার কয়েকটি উপজেলার কয়েক হাজার কৃষক।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্যান) নয়ন মণি সূত্রধর জানিয়েছে, ভারতের আসাম, মেঘালয় ও অরুণাচল প্রদেশে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সিলেট, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বাড়ছে।

লাখাইয়ে সুতাং ও ধলেশ্বরী নদীর পানি বেড়ে হাওরে প্রবেশ করেছে। এতে দশকানিয়া, বারচর, ভোগার বিল, আঠারোদোনা হাওরের অন্তত ৫০ হেক্টর জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। এ ছাড়া তলিয়ে যাওয়ার উপক্রম আরও শতাধিক হেক্টর জমি। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে সেই জমিগুলোও তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন তিনি।

লাখাইয়ের কয়েকটি হাওরে গিয়ে দেখা যায়, বিস্তীর্ণ হাওরের ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। কৃষকেরা নৌকা দিয়ে ধান কাটছেন।

লাখাই উপজেলার কৃষক রুবেল মিয়া বলেন, ‘আমি মোট ১২ ক্ষের (২৮ শতকে এক ক্ষের) জমি করছিলাম। কিন্তু ১০ ক্ষের জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। বাকি দুই ক্ষের জমিও কাটতে পারব কি-না জানি না।’

রুবেল মিয়া আরও বলেন, ‘আমরা সারা বছরে একবারই ফসল পাই। এই ফসলের ওপর সংসার খরচসহ সবকিছু চলে। এখন সারা বছর কীভাবে চলব বুঝতে পারছি না।’

কৃষক খুরর্শেদ আলী বলেন, ‘আট ক্ষের জমিতে আবাদ করছিলাম। আমার সব জমির ধান এখন পানির নিচে। পরিবার নিয়ে চলব কীভাবে জানা নেই। বাড়িতে বউ বাচ্চায় কান্নাকাটি করতেছে।’

কৃষক আবু তাহের বলেন, ‘১৬ ক্ষের জমির মধ্যে ১৫ ক্ষের জমির ধানই পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ১ ক্ষের জমির ধান কিছুটা ডোবার বাকি আছে। এখন এইটা কাটার জন্যও শ্রমিক পাই না। দিন প্রতি ১ হাজার টাকা দিলেও শ্রমিকেরা আয় না।’

কামালপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম হাজার ক্ষের জমিতে ধান চাষ করেছেন। তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর আমাদের এলাকার শত শত বিঘা জমি পানিতে তলিয়ে যায়। ধলেশ্বরী নদীতে বাঁধ থাকলে এই সর্বনাশ হতো না। আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি একটা বাঁধ নির্মাণের।’

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী শাহনেওয়াজ তালুকদার বলেন, ‘বর্তমানে সুতাং ও ধলেশ্বরী নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। পানি বৃদ্ধিও স্থিতিশীল। তবে ভাতরে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে নদীর পানি বাড়তে পারে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের লোকজন লাখাই এবং বানিয়াচং উপজেলায় রয়েছে। তারা সার্বক্ষণিক হাওরে নজর রাখছেন। নিচু জমিগুলো ডুবেছে। তবে কোনো বাঁধ এখনো ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১০০ বছর পর জানা গেল, ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস মোয়াজ্জেমকে অব্যাহতি

পারভেজ হত্যায় অংশ নেয় ছাত্র, অছাত্র ও কিশোর গ্যাং সদস্য

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত