কাজল সরকার, হবিগঞ্জ
হবিগঞ্জের লাখাইয়ে সুতাং ও ধলেশ্বরী নদীর পানি বেড়ে ৫০ হেক্টর জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন লাখাই উপজেলার কয়েকটি উপজেলার কয়েক হাজার কৃষক।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্যান) নয়ন মণি সূত্রধর জানিয়েছে, ভারতের আসাম, মেঘালয় ও অরুণাচল প্রদেশে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সিলেট, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বাড়ছে।
লাখাইয়ে সুতাং ও ধলেশ্বরী নদীর পানি বেড়ে হাওরে প্রবেশ করেছে। এতে দশকানিয়া, বারচর, ভোগার বিল, আঠারোদোনা হাওরের অন্তত ৫০ হেক্টর জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। এ ছাড়া তলিয়ে যাওয়ার উপক্রম আরও শতাধিক হেক্টর জমি। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে সেই জমিগুলোও তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন তিনি।
লাখাইয়ের কয়েকটি হাওরে গিয়ে দেখা যায়, বিস্তীর্ণ হাওরের ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। কৃষকেরা নৌকা দিয়ে ধান কাটছেন।
লাখাই উপজেলার কৃষক রুবেল মিয়া বলেন, ‘আমি মোট ১২ ক্ষের (২৮ শতকে এক ক্ষের) জমি করছিলাম। কিন্তু ১০ ক্ষের জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। বাকি দুই ক্ষের জমিও কাটতে পারব কি-না জানি না।’
রুবেল মিয়া আরও বলেন, ‘আমরা সারা বছরে একবারই ফসল পাই। এই ফসলের ওপর সংসার খরচসহ সবকিছু চলে। এখন সারা বছর কীভাবে চলব বুঝতে পারছি না।’
কৃষক খুরর্শেদ আলী বলেন, ‘আট ক্ষের জমিতে আবাদ করছিলাম। আমার সব জমির ধান এখন পানির নিচে। পরিবার নিয়ে চলব কীভাবে জানা নেই। বাড়িতে বউ বাচ্চায় কান্নাকাটি করতেছে।’
কৃষক আবু তাহের বলেন, ‘১৬ ক্ষের জমির মধ্যে ১৫ ক্ষের জমির ধানই পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ১ ক্ষের জমির ধান কিছুটা ডোবার বাকি আছে। এখন এইটা কাটার জন্যও শ্রমিক পাই না। দিন প্রতি ১ হাজার টাকা দিলেও শ্রমিকেরা আয় না।’
কামালপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম হাজার ক্ষের জমিতে ধান চাষ করেছেন। তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর আমাদের এলাকার শত শত বিঘা জমি পানিতে তলিয়ে যায়। ধলেশ্বরী নদীতে বাঁধ থাকলে এই সর্বনাশ হতো না। আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি একটা বাঁধ নির্মাণের।’
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী শাহনেওয়াজ তালুকদার বলেন, ‘বর্তমানে সুতাং ও ধলেশ্বরী নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। পানি বৃদ্ধিও স্থিতিশীল। তবে ভাতরে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে নদীর পানি বাড়তে পারে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের লোকজন লাখাই এবং বানিয়াচং উপজেলায় রয়েছে। তারা সার্বক্ষণিক হাওরে নজর রাখছেন। নিচু জমিগুলো ডুবেছে। তবে কোনো বাঁধ এখনো ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।’
হবিগঞ্জের লাখাইয়ে সুতাং ও ধলেশ্বরী নদীর পানি বেড়ে ৫০ হেক্টর জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন লাখাই উপজেলার কয়েকটি উপজেলার কয়েক হাজার কৃষক।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্যান) নয়ন মণি সূত্রধর জানিয়েছে, ভারতের আসাম, মেঘালয় ও অরুণাচল প্রদেশে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সিলেট, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বাড়ছে।
লাখাইয়ে সুতাং ও ধলেশ্বরী নদীর পানি বেড়ে হাওরে প্রবেশ করেছে। এতে দশকানিয়া, বারচর, ভোগার বিল, আঠারোদোনা হাওরের অন্তত ৫০ হেক্টর জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। এ ছাড়া তলিয়ে যাওয়ার উপক্রম আরও শতাধিক হেক্টর জমি। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে সেই জমিগুলোও তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন তিনি।
লাখাইয়ের কয়েকটি হাওরে গিয়ে দেখা যায়, বিস্তীর্ণ হাওরের ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। কৃষকেরা নৌকা দিয়ে ধান কাটছেন।
লাখাই উপজেলার কৃষক রুবেল মিয়া বলেন, ‘আমি মোট ১২ ক্ষের (২৮ শতকে এক ক্ষের) জমি করছিলাম। কিন্তু ১০ ক্ষের জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। বাকি দুই ক্ষের জমিও কাটতে পারব কি-না জানি না।’
রুবেল মিয়া আরও বলেন, ‘আমরা সারা বছরে একবারই ফসল পাই। এই ফসলের ওপর সংসার খরচসহ সবকিছু চলে। এখন সারা বছর কীভাবে চলব বুঝতে পারছি না।’
কৃষক খুরর্শেদ আলী বলেন, ‘আট ক্ষের জমিতে আবাদ করছিলাম। আমার সব জমির ধান এখন পানির নিচে। পরিবার নিয়ে চলব কীভাবে জানা নেই। বাড়িতে বউ বাচ্চায় কান্নাকাটি করতেছে।’
কৃষক আবু তাহের বলেন, ‘১৬ ক্ষের জমির মধ্যে ১৫ ক্ষের জমির ধানই পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ১ ক্ষের জমির ধান কিছুটা ডোবার বাকি আছে। এখন এইটা কাটার জন্যও শ্রমিক পাই না। দিন প্রতি ১ হাজার টাকা দিলেও শ্রমিকেরা আয় না।’
কামালপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম হাজার ক্ষের জমিতে ধান চাষ করেছেন। তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর আমাদের এলাকার শত শত বিঘা জমি পানিতে তলিয়ে যায়। ধলেশ্বরী নদীতে বাঁধ থাকলে এই সর্বনাশ হতো না। আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি একটা বাঁধ নির্মাণের।’
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী শাহনেওয়াজ তালুকদার বলেন, ‘বর্তমানে সুতাং ও ধলেশ্বরী নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। পানি বৃদ্ধিও স্থিতিশীল। তবে ভাতরে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে নদীর পানি বাড়তে পারে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের লোকজন লাখাই এবং বানিয়াচং উপজেলায় রয়েছে। তারা সার্বক্ষণিক হাওরে নজর রাখছেন। নিচু জমিগুলো ডুবেছে। তবে কোনো বাঁধ এখনো ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪