নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি
‘অনেক কষ্টে ধারদেনা কইরা বোরো ধান চাষ করছি। এই ফসল দিয়া আমগর পাঁচ সদস্যের সংসার চলে। কিন্তু বন্য হাতি ফসল নষ্ট করছে। ফসল রক্ষা করবার গিয়া নির্ঘুম রাত কাটাইতাছি। ফসল না পাইলে সারা বছর চলমু কেমনে? বউ-পুলাপান লইয়া খাইমু কী?’ এমন আক্ষেপ নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী পানিহাটা গ্রামের হিলসন ডিও (৫৬)।
গত বুধবার থেকে ৩০-৩৫টি বন্য হাতির দল দফায় দফায় পানিহাটা-ফেকামারী গ্রামে হিলসনের এক একর জমির ধান পা দিয়ে মাড়িয়ে এবং খেয়ে নষ্ট করেছে।
হিলসন বলেন, ‘শুধু তাঁর একার নয়। তাঁর মতো সীমান্তের পানিহাটা-ফেকামারী গ্রামের প্রায় ১০-১২ জন প্রান্তিক কৃষকের ধান নষ্ট করেছ বন্য হাতি।’ গত তিন দিনে প্রায় ৬-৭ একর বোরো ফসল খেয়ে ও পা দিয়ে মাড়িয়ে নষ্ট করে দিয়েছে বন্য হাতির দল। স্বপ্নের ফসল রক্ষা করতে তিন দিন ধরে তিন গ্রামের শতাধিক মানুষ নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন।
গত শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত হাতির দল বন বিভাগের গোপালপুর বিট কার্যালয়ে পেছনের জঙ্গলে অবস্থান করে। বিকেলে ফেকামারী সীমান্তের জঙ্গলে চলে যায়। সন্ধ্যার পর ফের পানিহাটা ও ফেকামারী গ্রামে আক্রমণ চালাতে পারে বলে ধারণা করছেন গোপালপুর বিট কর্মকর্তা মো. শাহ আলম।
বন বিভাগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যা হলেই খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে নেমে আসে ৩০-৩৫টি বন্য হাতির একটি দল। প্রায় প্রতিদিন সন্ধ্যা হলেই ভারত অংশের জঙ্গল থেকে পানিহাতা, ফেকামারী, মায়াঘাসিসহ আশপাশের এলাকায় নেমে আসে হাতির দলটি। সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত তাণ্ডব চালায় হাতির দল। এদিকে নিজেদের জমির ফসল রক্ষা করতে ঢাকঢোল বাজিয়ে, হইহুল্লোড় করে, পটকা ফুটিয়ে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন স্থানীয় কৃষকেরা। দলবেঁধে মধ্যরাত পর্যন্ত হাতির দল তাড়াতে ও ফসল বাঁচানোর চেষ্টা করেন তাঁরা।
গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে পানিহাটা গ্রামের প্রান্তিক কৃষক হিলসন ডিওর এক একর, জয়নাল আবেদীনের এক একর, মোতালেব হোসেনের ৫০ শতাংশ ও হজরত আলীর ৫০ শতাংশ জমির ফসল খেয়ে ও পা দিয়ে মাড়িয়ে নষ্ট করেছে হাতি। গত বুধবার সন্ধ্যার পর পানিহাটা গ্রামের বিজারকুবি, যোসেফ মারাক, বার্নাড মারাকসহ আরও তিন-চারজন প্রান্তিক কৃষকের আরও চার একর জমির ফসল বন্য হাতির দল নষ্ট করে ফেলেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক কৃষক বিজার কুবির বলেন, ‘দুই দিনে আমার এক একর জমির ফসল খাইয়া আর পা দিয়া পাড়ায়া নষ্ট কইরা ফালাইছে। আমন মৌসুমেও দুই একর জমি সমস্ত ধান খাইয়া ফালাইছে। কয়েক দিনের মধ্যে ধান অইবো। কিন্তু ৩০-৩৫টা হাতি হেই আবাদ নষ্ট কইরা দিচ্ছে। অহন নিরুপাই অইয়া পরিবার লইয়া রাইত জাইগা ফসল পাহারা দেওয়ন লাগে। কারণ এই আবাদের ওপর আমগর ৬ সদস্যের সংসার চলে।’
প্রান্তিক কৃষক জহিরুল হক বলেন, ‘হাতি তাড়াতে মশাল জ্বালাতে হয়। হাতি আলো দেখলে কিছুটা ভয় পায়, কিন্তু পর্যাপ্ত কোনো টর্চ লাইট নাই। নিজ উদ্যোগে পাহাড়ি গ্রামবাসী কেরোসিন দিয়ে মশাল জ্বালান। বন বিভাগ ও সরকারিভাবে গ্রামবাসীকে টর্চ দেওয়া হলে হাতি তাড়াতে কিছুটা সুবিধা হতো।’
এ ব্যাপারে বন বিভাগের গোপালপুর বিট কর্মকর্তা মো. শাহ আলম বলেন, ‘হাতির দলটি ফেকামারীতে অবস্থান করছে। হাতি প্রতিরোধে আমরাও গ্রামবাসীর সঙ্গে কাজ করছি। এ পর্যন্ত চার-পাঁচ একর জমির ফসল হাতির দলটি নষ্ট করেছে। ফসল রক্ষায় গ্রামবাসীর সঙ্গে বন বিভাগের লোকজনকেও রাত জেগে পাহারা দিতে হচ্ছে।
‘অনেক কষ্টে ধারদেনা কইরা বোরো ধান চাষ করছি। এই ফসল দিয়া আমগর পাঁচ সদস্যের সংসার চলে। কিন্তু বন্য হাতি ফসল নষ্ট করছে। ফসল রক্ষা করবার গিয়া নির্ঘুম রাত কাটাইতাছি। ফসল না পাইলে সারা বছর চলমু কেমনে? বউ-পুলাপান লইয়া খাইমু কী?’ এমন আক্ষেপ নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী পানিহাটা গ্রামের হিলসন ডিও (৫৬)।
গত বুধবার থেকে ৩০-৩৫টি বন্য হাতির দল দফায় দফায় পানিহাটা-ফেকামারী গ্রামে হিলসনের এক একর জমির ধান পা দিয়ে মাড়িয়ে এবং খেয়ে নষ্ট করেছে।
হিলসন বলেন, ‘শুধু তাঁর একার নয়। তাঁর মতো সীমান্তের পানিহাটা-ফেকামারী গ্রামের প্রায় ১০-১২ জন প্রান্তিক কৃষকের ধান নষ্ট করেছ বন্য হাতি।’ গত তিন দিনে প্রায় ৬-৭ একর বোরো ফসল খেয়ে ও পা দিয়ে মাড়িয়ে নষ্ট করে দিয়েছে বন্য হাতির দল। স্বপ্নের ফসল রক্ষা করতে তিন দিন ধরে তিন গ্রামের শতাধিক মানুষ নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন।
গত শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত হাতির দল বন বিভাগের গোপালপুর বিট কার্যালয়ে পেছনের জঙ্গলে অবস্থান করে। বিকেলে ফেকামারী সীমান্তের জঙ্গলে চলে যায়। সন্ধ্যার পর ফের পানিহাটা ও ফেকামারী গ্রামে আক্রমণ চালাতে পারে বলে ধারণা করছেন গোপালপুর বিট কর্মকর্তা মো. শাহ আলম।
বন বিভাগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যা হলেই খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে নেমে আসে ৩০-৩৫টি বন্য হাতির একটি দল। প্রায় প্রতিদিন সন্ধ্যা হলেই ভারত অংশের জঙ্গল থেকে পানিহাতা, ফেকামারী, মায়াঘাসিসহ আশপাশের এলাকায় নেমে আসে হাতির দলটি। সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত তাণ্ডব চালায় হাতির দল। এদিকে নিজেদের জমির ফসল রক্ষা করতে ঢাকঢোল বাজিয়ে, হইহুল্লোড় করে, পটকা ফুটিয়ে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন স্থানীয় কৃষকেরা। দলবেঁধে মধ্যরাত পর্যন্ত হাতির দল তাড়াতে ও ফসল বাঁচানোর চেষ্টা করেন তাঁরা।
গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে পানিহাটা গ্রামের প্রান্তিক কৃষক হিলসন ডিওর এক একর, জয়নাল আবেদীনের এক একর, মোতালেব হোসেনের ৫০ শতাংশ ও হজরত আলীর ৫০ শতাংশ জমির ফসল খেয়ে ও পা দিয়ে মাড়িয়ে নষ্ট করেছে হাতি। গত বুধবার সন্ধ্যার পর পানিহাটা গ্রামের বিজারকুবি, যোসেফ মারাক, বার্নাড মারাকসহ আরও তিন-চারজন প্রান্তিক কৃষকের আরও চার একর জমির ফসল বন্য হাতির দল নষ্ট করে ফেলেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক কৃষক বিজার কুবির বলেন, ‘দুই দিনে আমার এক একর জমির ফসল খাইয়া আর পা দিয়া পাড়ায়া নষ্ট কইরা ফালাইছে। আমন মৌসুমেও দুই একর জমি সমস্ত ধান খাইয়া ফালাইছে। কয়েক দিনের মধ্যে ধান অইবো। কিন্তু ৩০-৩৫টা হাতি হেই আবাদ নষ্ট কইরা দিচ্ছে। অহন নিরুপাই অইয়া পরিবার লইয়া রাইত জাইগা ফসল পাহারা দেওয়ন লাগে। কারণ এই আবাদের ওপর আমগর ৬ সদস্যের সংসার চলে।’
প্রান্তিক কৃষক জহিরুল হক বলেন, ‘হাতি তাড়াতে মশাল জ্বালাতে হয়। হাতি আলো দেখলে কিছুটা ভয় পায়, কিন্তু পর্যাপ্ত কোনো টর্চ লাইট নাই। নিজ উদ্যোগে পাহাড়ি গ্রামবাসী কেরোসিন দিয়ে মশাল জ্বালান। বন বিভাগ ও সরকারিভাবে গ্রামবাসীকে টর্চ দেওয়া হলে হাতি তাড়াতে কিছুটা সুবিধা হতো।’
এ ব্যাপারে বন বিভাগের গোপালপুর বিট কর্মকর্তা মো. শাহ আলম বলেন, ‘হাতির দলটি ফেকামারীতে অবস্থান করছে। হাতি প্রতিরোধে আমরাও গ্রামবাসীর সঙ্গে কাজ করছি। এ পর্যন্ত চার-পাঁচ একর জমির ফসল হাতির দলটি নষ্ট করেছে। ফসল রক্ষায় গ্রামবাসীর সঙ্গে বন বিভাগের লোকজনকেও রাত জেগে পাহারা দিতে হচ্ছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪