Ajker Patrika

সরকারি জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ

দাকোপ প্রতিনিধি
আপডেট : ০৮ এপ্রিল ২০২২, ১৪: ২৭
Thumbnail image

দাকোপের জয়নগর বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সরকারি সম্পত্তি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। ওয়াপদা বেড়িবাঁধ নির্মাণের সময় অবকাঠামো পুনর্বাসনে ক্ষতিপূরণ পেলেও এ দখল প্রতিযোগিতা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।

সরেজমিন দেখা গেছে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) অধীনে উপজেলার ৩২ ও ৩৩ নম্বর পোল্ডারে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে উপকূলীয় বাঁধ উন্নয়ন প্রকল্প ফেজ-১-এর আওতায় ওয়াপদা বেড়িবাঁধ নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। বাঁধ নির্মাণের সময় স্থানীয়রা অবকাঠামো পুনর্বাসনে ক্ষতিপূরণের টাকা উত্তোলন করে স্থাপনা সরিয়ে নেন। কিন্তু কয়েক মাস যেতে না যেতেই আবারও ওয়াপদা বাঁধের পাশের পজেশন দখল করে নতুন দোকানঘরসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণে মেতে উঠেছেন তাঁরা।

দীর্ঘদিন ধরে এসব স্থাপনা নির্মাণ চললেও নীরব রয়েছেন পাউবো কর্মকর্তারা। এতে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে সাধারণ মানুষের মাঝে। প্রভাবশালীরা নির্মাণকাজ চালিয়ে গেলেও তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। মাঝেমধ্যে আবার এই পজেশন বিক্রি করে দখলদারেরা হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা। ৩১ নম্বর পোল্ডারেও একই অবস্থা বিরাজ করছে।

জয়নগর এলাকার ইয়াদুল ইসলাম জানান, অনেক আগে থেকে ওয়াপদা বেড়িবাঁধের পাশে পাউবোর সরকারি সম্পত্তি অবৈধ দখলে ছিল। কিন্তু নতুন ওয়াপদা বেড়িবাঁধ নির্মাণের সময় পাশে যত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ছিল, তার মালিকেরা প্রত্যেকে আর কখনো ওই জায়গা দখল করবেন না মর্মে স্ট্যাম্পে অঙ্গীকারনামা দিয়ে জেলা প্রশাসকের জমি অধিগ্রহণ শাখা থেকে ক্ষতিপূরণ বাবদ মোটা অঙ্কের টাকা উত্তোলন করেছেন।

রহমত শেখ বলেন, আগে বাঁধের পশ্চিম পাশে ঘর ছিল। সেখানকার ক্ষতিপূরণ বাবদ তিনি টাকা তুলেছেন। এখন বাঁধের পূর্ব পাশে জায়গার মালিকদের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে ওয়াপদার স্ল্যাবে দোকানঘর নির্মাণ করেছেন বলে তিনি জানান।

শাহাজুদ্দিন সানা জানান, তাঁর পাশে একজন দোকানঘর নির্মাণ করেছেন দেখে তিনিও নির্মাণ করেছেন। তবে ঘর নির্মাণ করতে তিনি কারও অনুমতি নেননি বলে জানান।

এ ব্যাপারে পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল আলম বলেন, ‘জয়নগরের লোকজন ভালো না হলে আমরা কী করব। ওখানে গিয়ে আমরা মারামারি করব? ঘর ভেঙে দিলেও তো আবার বাঁধবে। তা ছাড়া, আমাদের তো আরও কাজ আছে। ওখানে গিয়ে বসে থাকার মতো আমাদের লোকজন নেই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত