Ajker Patrika

নাম নিয়ে তুলকালাম ভাইস চেয়ারম্যানের

সেনবাগ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২১, ১৫: ৫১
নাম নিয়ে তুলকালাম ভাইস চেয়ারম্যানের

নোয়াখালীর সেনবাগে স্থানীয় প্রশাসন আয়োজিত জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলার অনুষ্ঠানে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম কবিরের নেতৃত্বে বাধা দেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানের ব্যানারে তাঁর নাম যথাস্থানে নেই দাবি করে এই বাধা দেওয়া হয়। গতকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠান চলাকালে ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে দেন তিনি। পরে আবার টানাতে গেলেও বাধা দেওয়া হয়।

গতকাল সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ফিতা কেটে মেলার উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাইফুল ইসলাম মজুমদার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পৌর মেয়র আবু নাছের ভিপি দুলাল, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নাজিম উদ্দিন প্রমুখ।

উপজেলা অডিটরিয়ামে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নাজিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম মজুমদার। বিশেষ অতিথি ছিলেন সদ্য সমাপ্ত পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে বিজয়ী মেয়র আবু নাছের ভিপি দুলাল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম কবির, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মরিয়ম সুলতানাসহ অন্যান্য অতিথিরা।

অনুষ্ঠানের ব্যানারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম কবিরের নামও ছিল। গোলাম কবিরের নাম মেয়রের আগে হবে বলে দাবি তোলেন তিনি। তাৎক্ষণিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেলা প্রশাসকের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলে প্রটোকলের বিষয়টি ভাইস চেয়ারম্যানকে নিশ্চিত করে আলোচনা সভায় আসার আমন্ত্রণ জানান। এসব কারণে অনুষ্ঠান শুরু করতে প্রায় ৩০ মিনিট দেরি হয়।

মেয়র আবু নাছের দুলাল বক্তব্য দিতে শুরু করলে ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম কবির মঞ্চে উঠে অনুষ্ঠান স্থলে লাগানো ব্যানারটি ছিঁড়ে পশ্চিম পাশের করিডরে ফেলে দিয়ে চলে যান। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেলা প্রশাসকসহ ঊর্ধ্বতন মহলকে বিষয়টি জানান। উপজেলা প্রশাসনের লোকজন ব্যানারটি আবার লাগাতে গেলে ভাইস চেয়ারম্যানের লোকজন নিয়ে হলে ঢুকে চিৎকার করে ব্যানারটি নামাতে বলতে থাকেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বারবার তাঁকে থামানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।

পরে মেয়র ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ করেন। খবর পেয়ে সেনবাগ থানার পুলিশ গিয়ে আবদুল কাদের (২২) নামের একজনকে আটক করে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম মজুমদার জানান, অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয়টি নোয়াখালীর জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে। তিনি এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেন তা পরে জানানো হবে।

জেলা প্রশাসক মো. খোরশেদ আলম খান জানান, সেনবাগে যে ঘটনা ঘটেছে তা শৃঙ্খলাবিরোধী কাজ। সরকারি কাজে বাধা। এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। উপজেলা পর্যায়ে ইউএনওর পরই মেয়রের অবস্থান।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম কবিরের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত