Ajker Patrika

নিম্নমানের পাটবীজ নিয়ে শঙ্কা

মিজান মাহী, দুর্গাপুর
আপডেট : ০৫ এপ্রিল ২০২২, ১২: ০৩
Thumbnail image

দুর্গাপুর উপজেলায় পাটবীজের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। কিন্তু বাজারগুলোতে দেশি বীজ নেই বললেই চলে। বাজার ছেয়ে গেছে নিম্নমানের বিদেশি পাটবীজে, বিশেষ করে ভারতীয় বীজে। চাষিরা না জেনে-না বুঝে নিম্নমানের বীজ কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।

কৃষকেরা ইতিমধ্যে সেচ দিয়ে প্রায় ২০০ হেক্টর জমিতে পাটবীজ বপন করেছেন।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, পেঁয়াজ, আলু ও গম কাটার পরপরই সেই জমি পাট চাষের উপযোগী বলে মনে করেন কৃষকেরা। উপজেলায় এবার প্রায় ১ হাজার ৫৭০ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি হেক্টরে বীজ লাগে ৯ কেজি ৬০০ গ্রাম। সে হিসেবে উপজেলায় পাটবীজের চাহিদা প্রচুর।

বাজারে বিভিন্ন বীজের দোকান ঘুরে দেখা গেছে, ডিলার ও ব্যবসায়ীরা শুধু ভারতীয় পাটবীজ বিক্রি করছেন। দোকানগুলোতে ভারতীয় নিম্নমানের বীজও পাওয়া যাচ্ছে।

ভারত থেকে আনা বীজ ও দেশি পাটবীজের দামে কোনো তারতম্য নেই। উভয় বীজই ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) ডিলার দুর্গাপুর উপজেলায় ২৫ জন। বরাদ্দ থাকলেও কৃষকদের মধ্যে দেশি বীজের চাহিদা না থাকায় তাঁরা পাটবীজ ওঠাননি বলে দাবি করেছেন।

ডিলার ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, কৃষকেরা দেশি পাটবীজ কিনতে চান না। ৮-১০ ধরনের ভারতীয় বীজ বিক্রি করা হচ্ছে দোকানগুলোতে। ভালো মানের বীজ ১৮০-২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর নিম্নমানের বীজের দাম নেওয়া হচ্ছে আরও কম।

গতকাল দুর্গাপুর সদর হাটে ভারতীয় পাটবীজ কিনছিলেন উপজেলার চৌপুকুরিয়া গ্রামের কৃষক মকছেদ আলী। তিনি বলেন, এবার ১৪ কাঠা জমিতে বীজ বপন করবেন। গতবারও ভারতীয় বীজ বপন করেছিলেন। দেশি বীজে ফলন কম হয়। এ জন্য ভারতীয় পাটবীজ কিনছেন তিনি। কিন্তু এবার ভারতীয় নিম্নমানের বীজে বাজার সয়লাব হয়ে গেছে। কৃষকেরা না জেনে নিম্নমানের সেসব বীজ কিনছেন।

পৌর এলাকার দেবীপুর গ্রামের মজিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাজারে গেলেই বীজের দোকানগুলোতে শুধু ভারতীয় পাটবীজ। দেশি বীজ পাওয়া যায় না। এ জন্য বাধ্য হয়ে ভারতীয় বীজ কিনতে হয়। ভারতীয় বীজের চাহিদা বেশি থাকায় দোকানগুলোতে সে দেশের নিম্নমানের বীজও বিক্রি হচ্ছে। ভারতীয় বীজ ভালো মানের না হলে গাছ গজায় না। গজালেও ফলন তাতে ভালো হয় না।

দুর্গাপুর সদর বাজারের বিএডিসির ডিলার রইচ উদ্দিন বলেন, ‘দেশীয় পাটবীজের প্রতি চাষিদের তেমন কোনো চাহিদা নেই। চাষিরা ভারত থেকে আমদানি করা বীজ কিনতে বেশি আগ্রহী। তাই আমরা দেশীয় পাটবীজ উঠাইনি।’

জানতে চাইলে দুর্গাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাজিয়া সুলতানা বলেন, ভারতীয় সব পাটবীজই নিম্নমুখী নয়। তবে নিম্নমানের কিছু ভারতীয় বীজ খোলাবাজারে বিক্রি হচ্ছে। এতে কৃষকেরা প্রতারিত হতে পারেন। খোলা ভেজাল পাটবীজের মান পরীক্ষা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সংবিধানে ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ রাখার পক্ষে যে যুক্তি দিলেন আলী রীয়াজ

রাজধানীতে নিখোঁজ কিশোরী নওগাঁয়, যা বললেন সঙ্গে থাকা তরুণের বাবা

নবাবি প্রশাসনে হিন্দু আমলারাই সংখ্যাগরিষ্ঠ

আটক ৩ জনকে ছাড়িয়ে নিতে উত্তরায় থানায় হামলা শিক্ষার্থীদের

উপদেষ্টা রিজওয়ানার কাছে মাত্র ১৫ মিনিট সময় চেয়ে পাইনি: বিজ্ঞানী আবেদ চৌধুরী

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত