Ajker Patrika

চাল দিলেও জমা রাখা হয় কার্ড

মনিরামপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ০৪ এপ্রিল ২০২২, ১২: ৩০
Thumbnail image

অবশেষে মনিরামপুরের হরিদাসকাটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) কার্ডধারী অসচ্ছল পরিবারগুলো খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির (১০ টাকার) চাল পেয়েছেন। গত শুক্র ও শনিবার উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রকসহ ওই বিভাগের কয়েকজন কর্মকর্তা উপস্থিত থেকে চাল বিতরণ করেছেন।

এর আগে গত বুধবার ‘চাল এসেছে, বিতরণ হয়নি’ শিরোনামে আজকের পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরের দিন বৃহস্পতিবার বিকেলে নিজ দপ্তরে জরুরি সভায় বসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। সেখানে সিদ্ধান্ত হওয়ার পর ১ ও ২ এপ্রিল চাল বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ইন্দ্রোজিৎ সাহা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তবে চাল বিতরণ করা হলেও সব উপকারভোগীর কার্ড নিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে নাম বাদ যাওয়ার আশঙ্কা করছেন জলাবদ্ধ এ ইউনিয়নের অসহায় মানুষেরা।

হরিদাসকাটি ইউনিয়নে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১ হাজার ৩৩৬ জন উপকারভোগী রয়েছেন। যারা ২০১৬ সাল থেকে ৩ জন পরিবেশকের মাধ্যমে ৩০০ টাকা মূল্যে মার্চ, এপ্রিল, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে বছরে ৫ বার ৩০ কেজি করে চাল পেয়ে আসছেন। চলতি বছরের মার্চে আবার চাল বিতরণ শুরু হয়। কিন্তু তালিকা সংশোধনের নামে এ ইউনিয়নে চাল বিতরণ বন্ধ করে দেন নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আলমগীর কবির লিটন। ফলে গেল মাসে চাল নিতে এসে ফিরে গেছেন ১ হাজার ৬৫ জন উপকারভোগী।

হরিদাসকাটি ইউনিয়নের কুচলিয়া গ্রামের উপকারভোগী করুনা বিশ্বাস বলেন, ‘গত সপ্তাহে গিলাম চাল আনতি, দিল না। আমাগের ফিরোয় দেছে। পরে আবার খবর দেছে চাল আনতি যাতি। শুক্কুরবারে যাইয়ে চাল আনিলাম।’

করুনা বিশ্বাস বলেন, ‘আমাদের কার্ড নিজেদের কাছে থাকে। চাল তোলার সময় কার্ড সঙ্গে নিতি হয়। চাল দিয়ে ডিলার তাতে সই করে আবার ফেরত দেন, কিন্তু এবার চাল দিয়ে কার্ড রাইহে দেছে। শুনতিছি, নাম কাইটে দেবে। চাল পাইয়ে বড্ড উপকার হচ্ছিল। এখন কার্ড কাইটে দিলি আবার কষ্ট বাইড়ে যাবেনে।’

পরিবেশক সবুজ বিশ্বাস বলেন, ‘আমার আওতায় ৪৪৬টি কার্ড। দুই দিনে ৪২৮ জন চাল নিয়েছেন। ১৮ জন বাকি আছেন। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।’

উপজেলা খাদ্য কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছর হরিদাসকাটি ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান বিপদ ভঞ্জন পাড়ে ৫৮ হন উপকারভোগীর নাম সংশোধন করেছিলেন। এরপর নভেম্বর ওই ইউপির নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন আলমগীর কবির লিটন। চলতি মাসে তিনি ৪৪৫ জনের নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব করেছেন।’

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ইন্দ্রোজিৎ সাহা বলেন, হরিদাসকাটি ইউপির চেয়ারম্যান চেয়েছিলেন তাঁর দেওয়া ৪৪৫টি কার্ড সংশোধন করে মার্চের চাল দেওয়া হোক। এ জন্য চেয়ারম্যানের বাধার মুখে চাল দেওয়া বন্ধ ছিল। এ নিয়ে পত্রিকায় লেখালেখি হওয়ার পর বিতরণ করা হয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত