ইসলাম ডেস্ক
দেখতে অনেকটা গুইসাপের মতো, মরুভূমিতে বসবাস করা প্রাণীটি দেশে সান্ডা নামে পরিচিতি পেয়েছে। আরবদের কাছে এই সরীসৃপের মাংস উপাদেয় খাবার হিসেবে সমাদৃত। আমাদের দেশে যেহেতু সান্ডা পাওয়া যায় না—তাই তা খাওয়ার প্রচলনও নেই। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা যায়—মধ্যপ্রাচ্যের মুসলমানরা সান্ডা খাচ্ছেন। ভুনা, দোপিঁয়াজা, স্যুপ, বিরিয়ানি বা নানা রেসিপিতে তাঁরা সান্ডা খেয়ে থাকেন। এসব ভিডিও দেখার পর মনে প্রশ্ন জাগে—সান্ডা খাওয়া কি ইসলামে জায়েজ?
সান্ডা কী?
সান্ডা আরবিতে ‘দব’ (ضبّ) এবং ইংরেজিতে ইউরোমাস্টিকস (Uromastyx) নামে পরিচিত। এদের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, মোটা ও শক্তিশালী লেজ—যা কাঁটার মতো খাঁজযুক্ত। এই লেজ এরা আত্মরক্ষার জন্য ব্যবহার করে থাকে। এরা দিনের বেশির ভাগ সময় কাটায় রোদ পোহাতে। রাতের বেলা বা কোনো বিপদের সময় আশ্রয় নেয় গর্তে। অনেক দেশে সান্ডা আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় এবং বলবর্ধক খাদ্য হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।
সান্ডা কি খায়?
সান্ডা তৃণভোজী প্রাণী। মাঝে মাঝে এরা পোকামাকড়ও খেয়ে থাকে। বিশেষ করে যখন গ্রীষ্মকালে আবহাওয়া অত্যন্ত গরম থাকে এবং উদ্ভিজ্জ খাবার কম সহজলভ্য থাকে তখন তারা পোকামাকড়ও খায়। ডিম থেকে সদ্য ফোটা বাচ্চা সান্ডারা প্রথমে এদের মায়ের মল খায়।
সান্ডা ও গুইসাপের পার্থক্য
সান্ডার বিষয়ে হাদিসে যা আছে
ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে আমি ও খালিদ ইবনে ওয়ালিদ হজরত মায়মুনা (রা.)-এর ঘরে গেলাম। তখন ভুনা দব বা সান্ডা আনা হলো। আল্লাহর রাসুল সেদিকে হাত বাড়াচ্ছিলেন—তখন মায়মুনা (রা.)-এর ঘরে উপস্থিত এক নারী বলে উঠলেন, আপনারা আল্লাহর রাসুলকে জানান, তিনি কী খেতে যাচ্ছেন। তখন তাঁরা বললেন, হে আল্লাহর রাসুল, এটি দব। এ কথা শুনে রাসুলুল্লাহ (সা.) হাত তুলে নিলেন। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল, এটা কি হারাম? রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, না, হারাম নয়। কিন্তু এটা আমাদের এলাকার খাদ্য নয়, তাই আমি এর প্রতি আগ্রহ বোধ করি না। তখন রাসুল (সা.)-এর সামনেই খালিদ বিন ওয়ালিদ পাত্রটি টেনে নিয়ে সান্ডার মাংস খেলেন। (সহিহ্ বুখারি: ৫৫৩৭, সহিহ্ মুসলিম: ১৯৪৪)
সান্ডা খাওয়া কি জায়েজ
ইমাম শাফেয়ি, ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল ও ইমাম মালেক (রহ.)-সহ অধিকাংশ ইসলামি পণ্ডিতের মতে, দব বা সান্ডা খাওয়া হালাল। কেননা নবীজি (সা.)-এর সামনে সান্ডা খাওয়া হয়েছে—তিনি নিষেধ করেননি।
তবে হানাফি ফকিহদের মতে, সান্ডা খাওয়া অনুচিত বা মাকরুহে তাহরিমি। তাঁদের গবেষণা মতে, সান্ডা হলো খাবাইস বা নাপাক এবং অরুচিকর প্রাণীর অন্তর্ভুক্ত।
তাঁরা বলেন, যেসব হাদিসে সান্ডা খাওয়ার উল্লেখ পাওয়া যায়, সেগুলো পবিত্র কোরআনের এই আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার আগের ঘটনা—‘আর তিনি তাদের জন্য অপবিত্র বস্তুসমূহ হারাম করেছেন।’ (সুরা আরাফ: ১৫৭)
আরও খবর পড়ুন:
দেখতে অনেকটা গুইসাপের মতো, মরুভূমিতে বসবাস করা প্রাণীটি দেশে সান্ডা নামে পরিচিতি পেয়েছে। আরবদের কাছে এই সরীসৃপের মাংস উপাদেয় খাবার হিসেবে সমাদৃত। আমাদের দেশে যেহেতু সান্ডা পাওয়া যায় না—তাই তা খাওয়ার প্রচলনও নেই। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা যায়—মধ্যপ্রাচ্যের মুসলমানরা সান্ডা খাচ্ছেন। ভুনা, দোপিঁয়াজা, স্যুপ, বিরিয়ানি বা নানা রেসিপিতে তাঁরা সান্ডা খেয়ে থাকেন। এসব ভিডিও দেখার পর মনে প্রশ্ন জাগে—সান্ডা খাওয়া কি ইসলামে জায়েজ?
সান্ডা কী?
সান্ডা আরবিতে ‘দব’ (ضبّ) এবং ইংরেজিতে ইউরোমাস্টিকস (Uromastyx) নামে পরিচিত। এদের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, মোটা ও শক্তিশালী লেজ—যা কাঁটার মতো খাঁজযুক্ত। এই লেজ এরা আত্মরক্ষার জন্য ব্যবহার করে থাকে। এরা দিনের বেশির ভাগ সময় কাটায় রোদ পোহাতে। রাতের বেলা বা কোনো বিপদের সময় আশ্রয় নেয় গর্তে। অনেক দেশে সান্ডা আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় এবং বলবর্ধক খাদ্য হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।
সান্ডা কি খায়?
সান্ডা তৃণভোজী প্রাণী। মাঝে মাঝে এরা পোকামাকড়ও খেয়ে থাকে। বিশেষ করে যখন গ্রীষ্মকালে আবহাওয়া অত্যন্ত গরম থাকে এবং উদ্ভিজ্জ খাবার কম সহজলভ্য থাকে তখন তারা পোকামাকড়ও খায়। ডিম থেকে সদ্য ফোটা বাচ্চা সান্ডারা প্রথমে এদের মায়ের মল খায়।
সান্ডা ও গুইসাপের পার্থক্য
সান্ডার বিষয়ে হাদিসে যা আছে
ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে আমি ও খালিদ ইবনে ওয়ালিদ হজরত মায়মুনা (রা.)-এর ঘরে গেলাম। তখন ভুনা দব বা সান্ডা আনা হলো। আল্লাহর রাসুল সেদিকে হাত বাড়াচ্ছিলেন—তখন মায়মুনা (রা.)-এর ঘরে উপস্থিত এক নারী বলে উঠলেন, আপনারা আল্লাহর রাসুলকে জানান, তিনি কী খেতে যাচ্ছেন। তখন তাঁরা বললেন, হে আল্লাহর রাসুল, এটি দব। এ কথা শুনে রাসুলুল্লাহ (সা.) হাত তুলে নিলেন। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল, এটা কি হারাম? রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, না, হারাম নয়। কিন্তু এটা আমাদের এলাকার খাদ্য নয়, তাই আমি এর প্রতি আগ্রহ বোধ করি না। তখন রাসুল (সা.)-এর সামনেই খালিদ বিন ওয়ালিদ পাত্রটি টেনে নিয়ে সান্ডার মাংস খেলেন। (সহিহ্ বুখারি: ৫৫৩৭, সহিহ্ মুসলিম: ১৯৪৪)
সান্ডা খাওয়া কি জায়েজ
ইমাম শাফেয়ি, ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল ও ইমাম মালেক (রহ.)-সহ অধিকাংশ ইসলামি পণ্ডিতের মতে, দব বা সান্ডা খাওয়া হালাল। কেননা নবীজি (সা.)-এর সামনে সান্ডা খাওয়া হয়েছে—তিনি নিষেধ করেননি।
তবে হানাফি ফকিহদের মতে, সান্ডা খাওয়া অনুচিত বা মাকরুহে তাহরিমি। তাঁদের গবেষণা মতে, সান্ডা হলো খাবাইস বা নাপাক এবং অরুচিকর প্রাণীর অন্তর্ভুক্ত।
তাঁরা বলেন, যেসব হাদিসে সান্ডা খাওয়ার উল্লেখ পাওয়া যায়, সেগুলো পবিত্র কোরআনের এই আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার আগের ঘটনা—‘আর তিনি তাদের জন্য অপবিত্র বস্তুসমূহ হারাম করেছেন।’ (সুরা আরাফ: ১৫৭)
আরও খবর পড়ুন:
ইসলাম শুধু নামাজ, রোজা বা ইবাদতের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। বরং প্রতিদিনের জীবনধারায়, এমনকি আহার গ্রহণের মধ্যেও রয়েছে নবীজি (সা.)-এর আদর্শ ও সুন্নতের আলো। খাবার গ্রহণ একটি সাধারণ বিষয় হলেও অনেকেই তা নিয়ে ভুল ধারণা পোষণ করেন। যেমন খাবারের পর মিষ্টি খাওয়া সুন্নত কি না
১ ঘণ্টা আগেবিশুদ্ধ ও পবিত্র পানির মধ্য অন্যতম হলো আকাশ থেকে বর্ষিত বৃষ্টির পানি। বৃষ্টির পানি দিয়ে সব অবস্থায় অজু করা যায়। আল্লাহ তাআলা এই পানিকে পবিত্রতম ঘোষণা করে বলেন, ‘তিনিই সেই সত্তা, যিনি তাঁর অনুগ্রহের পূর্বাভাসস্বরূপ বায়ু প্রেরণ করেন, এবং আমি আকাশ থেকে শুদ্ধকারী পানি বর্ষণ করি। এর মাধ্যমে আমি...
১৬ ঘণ্টা আগেহাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী, আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখলে মন ভালো থাকে, আর্থিক সচ্ছলতা আসে এবং আয়ু বাড়ে। আনাস ইবনে মালিক (রা.) বর্ণনা করেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, যাকে এ বিষয়টি আনন্দিত করে যে—তার রিজিক (জীবিকায়) সচ্ছলতা দেওয়া হোক এবং তার অবদান আলোচিত হোক (দীর্ঘায়ু দেওয়া হোক) সে যেন তার...
১৬ ঘণ্টা আগেমানবজীবনে জীবনই সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। এই জীবনকে অন্যায়ভাবে কেড়ে নেওয়া ইসলামের দৃষ্টিতে এক ভয়াবহ ও ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। ইসলাম শান্তির ধর্ম; মানুষের জীবন, সম্পদ ও সম্মান রক্ষাই এর অন্যতম লক্ষ্য। তাই কোনো নির্দোষ প্রাণ হরণ করা ইসলামে কেবল নিষিদ্ধই নয়, বরং একে মানবতার...
১ দিন আগে