ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি
নওগাঁর ধামইরহাটে ঝোড়ো বাতাসে নুয়ে পড়েছে খেতের বোরো ধানগাছ। সে ধান কাটতে ব্যবহার করা যাচ্ছে না কোনো মাড়াই যন্ত্র। তাই বাধ্য হয়েই শ্রমিক খুঁজতে হচ্ছে কৃষকদের। কিন্তু দ্বিগুণ মজুরি দিয়েও মিলছে না শ্রমিক। তাই ফসল ঘরে তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন কৃষকেরা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ইরি-বোরো মৌসুমে উপজেলায় ১৮ হাজার ২১০ হেক্টর ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ১৭৫ হেক্টর হাইব্রিড ও ১৭ হাজার ৩৫ হেক্টর উচ্চফলনশীল (উফশী) জাতের ধান। এদিকে কালবৈশাখীতে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার আলমপুর ইউনিয়ন, ইসবপুর, খেলনা, উমার, আগ্রাদ্বিগুণ, জাহানপুর ও ধামইরহাট সদর ইউনিয়নে বেশির ভাগ খেতে ঝোড়ো বাতাসে ধানগাছ নুয়ে পড়েছে। এ ছাড়া নিচু জমিতে বৃষ্টির পানি জমে থাকায় পাকা ধানগাছের পুরোটায় তলিয়ে গেছে। উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। এ বছর ইরি-বোরোর উৎপাদন ভালো হলেও ঝড়-বৃষ্টিতে ফলন বিপর্যয় হয়েছে। এতে অর্থনৈতিকভাবে লোকসানের মুখে পড়েছেন তাঁরা।
স্থানীয় কৃষকেরা বলছেন, প্রতিবছর এ সময় চাঁপাইনবাবগঞ্জ, দিনাজপুর ও রংপুর থেকে এই উপজেলায় ধান কাটা ও মাড়াইয়ের জন্য শ্রমিক আসতেন। কিন্তু এ বছর তাঁরা না আসায় সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে মাঠজুড়ে পাকা ধান পড়ে আছে। এ সময় সামান্য বৃষ্টি হলেই মাঠে পড়ে থাকা ধান ঘরে তোলা কঠিন হবে কৃষকদের। এ অবস্থায় বোরো ধান ঘরে তুলতে কৃষকদের দ্বিগুণ খরচ হচ্ছে। তারপরও মিলছে না শ্রমিক।
বিহারীনগর গ্রামের কৃষক আসাদুজ্জামান মানিক বলেন, এবার নিজ উদ্যোগে ৪৯ শতাংশ জমিতে ধান রোপণ করেন তিনি। সেচ, সার, কীটনাশক ও শ্রমিকসহ তাঁর খরচ হয়েছে ১২-১৫ হাজার টাকা। ঝোড়ো বাতাসের কারণে তিনি মাত্র ৩০ মণ ধান পেয়েছেন। তিনি আরও বলেন, ৮৫০ টাকা বাজারদরে ৩০ মণ ধানের মূল্য পেয়েছেন ২৫ হাজার ৫০০ টাকা। এর মধ্য থেকে কাটা ও মাড়াইয়ে শ্রমিককে দিতে হয়েছে ১০ হাজার টাকা। এ অবস্থা চলতে থাকলে কৃষক ধান চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবেন বলে জানান তিনি।
বর্গাচাষি রফিকুল ইসলাম বলেন, ৪৯ শতক জমিতে ধান পেয়েছেন ৩০ মণ। কাটা ও মাড়াইয়ে শ্রমিককে দিতে হয়েছে ১২ মণ ও জমির মালিককে ১০ মণ ধান। তাঁর ভাগে থাকে মাত্র ৮ মণ ধান। এভাবে চলতে থাকলে বর্গাচাষ আর করবেন না বলে জানা তিনি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ধান কাটতে আসা শ্রমিক আশরাফুল বলেন, এই এলাকার সব জায়গার মাঠের ধান মাটিতে নুয়ে পড়েছে। সেসব ধান কাটতে গিয়ে কোমর লেগে যায় এবং সময়ও বেশি লাগছে। তাই বিঘা চুক্তিতে ১০ মণ করে ধান নিচ্ছেন তাঁরা।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. তৌফিক আল জুবায়ের বলেন, এবার ঝড়-বৃষ্টিতে পানিতে কিছু ধান আটকে গেছে। বর্তমানে যে মাড়াই যন্ত্র রয়েছে, তা দিয়ে ঝড়ে হেলে পড়া ধান কাটা সম্ভব নয়। এবার ঈদের জন্য শ্রমিকের সংকট হয়েছে। যাঁরা এসেছেন, তাঁরা সুযোগ বুঝে বেশি মজুরি নিচ্ছেন। তবে এ সংকট থাকবে না। কারণ পাবনা ও সিরাজগঞ্জ এলাকা থেকে শ্রমিক আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
নওগাঁর ধামইরহাটে ঝোড়ো বাতাসে নুয়ে পড়েছে খেতের বোরো ধানগাছ। সে ধান কাটতে ব্যবহার করা যাচ্ছে না কোনো মাড়াই যন্ত্র। তাই বাধ্য হয়েই শ্রমিক খুঁজতে হচ্ছে কৃষকদের। কিন্তু দ্বিগুণ মজুরি দিয়েও মিলছে না শ্রমিক। তাই ফসল ঘরে তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন কৃষকেরা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ইরি-বোরো মৌসুমে উপজেলায় ১৮ হাজার ২১০ হেক্টর ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ১৭৫ হেক্টর হাইব্রিড ও ১৭ হাজার ৩৫ হেক্টর উচ্চফলনশীল (উফশী) জাতের ধান। এদিকে কালবৈশাখীতে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার আলমপুর ইউনিয়ন, ইসবপুর, খেলনা, উমার, আগ্রাদ্বিগুণ, জাহানপুর ও ধামইরহাট সদর ইউনিয়নে বেশির ভাগ খেতে ঝোড়ো বাতাসে ধানগাছ নুয়ে পড়েছে। এ ছাড়া নিচু জমিতে বৃষ্টির পানি জমে থাকায় পাকা ধানগাছের পুরোটায় তলিয়ে গেছে। উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। এ বছর ইরি-বোরোর উৎপাদন ভালো হলেও ঝড়-বৃষ্টিতে ফলন বিপর্যয় হয়েছে। এতে অর্থনৈতিকভাবে লোকসানের মুখে পড়েছেন তাঁরা।
স্থানীয় কৃষকেরা বলছেন, প্রতিবছর এ সময় চাঁপাইনবাবগঞ্জ, দিনাজপুর ও রংপুর থেকে এই উপজেলায় ধান কাটা ও মাড়াইয়ের জন্য শ্রমিক আসতেন। কিন্তু এ বছর তাঁরা না আসায় সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে মাঠজুড়ে পাকা ধান পড়ে আছে। এ সময় সামান্য বৃষ্টি হলেই মাঠে পড়ে থাকা ধান ঘরে তোলা কঠিন হবে কৃষকদের। এ অবস্থায় বোরো ধান ঘরে তুলতে কৃষকদের দ্বিগুণ খরচ হচ্ছে। তারপরও মিলছে না শ্রমিক।
বিহারীনগর গ্রামের কৃষক আসাদুজ্জামান মানিক বলেন, এবার নিজ উদ্যোগে ৪৯ শতাংশ জমিতে ধান রোপণ করেন তিনি। সেচ, সার, কীটনাশক ও শ্রমিকসহ তাঁর খরচ হয়েছে ১২-১৫ হাজার টাকা। ঝোড়ো বাতাসের কারণে তিনি মাত্র ৩০ মণ ধান পেয়েছেন। তিনি আরও বলেন, ৮৫০ টাকা বাজারদরে ৩০ মণ ধানের মূল্য পেয়েছেন ২৫ হাজার ৫০০ টাকা। এর মধ্য থেকে কাটা ও মাড়াইয়ে শ্রমিককে দিতে হয়েছে ১০ হাজার টাকা। এ অবস্থা চলতে থাকলে কৃষক ধান চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবেন বলে জানান তিনি।
বর্গাচাষি রফিকুল ইসলাম বলেন, ৪৯ শতক জমিতে ধান পেয়েছেন ৩০ মণ। কাটা ও মাড়াইয়ে শ্রমিককে দিতে হয়েছে ১২ মণ ও জমির মালিককে ১০ মণ ধান। তাঁর ভাগে থাকে মাত্র ৮ মণ ধান। এভাবে চলতে থাকলে বর্গাচাষ আর করবেন না বলে জানা তিনি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ধান কাটতে আসা শ্রমিক আশরাফুল বলেন, এই এলাকার সব জায়গার মাঠের ধান মাটিতে নুয়ে পড়েছে। সেসব ধান কাটতে গিয়ে কোমর লেগে যায় এবং সময়ও বেশি লাগছে। তাই বিঘা চুক্তিতে ১০ মণ করে ধান নিচ্ছেন তাঁরা।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. তৌফিক আল জুবায়ের বলেন, এবার ঝড়-বৃষ্টিতে পানিতে কিছু ধান আটকে গেছে। বর্তমানে যে মাড়াই যন্ত্র রয়েছে, তা দিয়ে ঝড়ে হেলে পড়া ধান কাটা সম্ভব নয়। এবার ঈদের জন্য শ্রমিকের সংকট হয়েছে। যাঁরা এসেছেন, তাঁরা সুযোগ বুঝে বেশি মজুরি নিচ্ছেন। তবে এ সংকট থাকবে না। কারণ পাবনা ও সিরাজগঞ্জ এলাকা থেকে শ্রমিক আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫