Ajker Patrika

ব্লাস্ট রোগে দুশ্চিন্তায় গাংনীর গমচাষিরা

গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ০১ মার্চ ২০২২, ১৩: ৪১
Thumbnail image

মেহেরপুরের গাংনীতে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়েছে গমের হুইট ব্লাষ্ট রোগ। উপজেলার বিভিন্ন মাঠের গমে দেখা দিয়েছে এ রোগ। কৃষকেরা বলছেন, এ রোগে আক্রান্ত হয়ে হঠাৎ করেই গমের কাঁচা শিষ মাথা থেকে শুকিয়ে যাচ্ছে। এতে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন উপজেলার গমচাষিরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র বলছে, উপজেলার বিভিন্ন মাঠে এবার বারি-৩০,৩২, ৩৩,২৪, ২৫,২৬ ও ২৮ গমের চাষ হয়েছে। তবে বেশি আবাদ হয়েছে বারি গম-৩৩। এর মধ্যে ব্লাস্ট রোগে বেশি আক্রান্ত হয়েছে বারি-২৪ ও ২৫ জাতের গম। উপজেলায় চলতি বছরে সাড়ে ৬ হাজার হেক্টর জমিতে গমের চাষ হয়েছে। ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণে গমের ফলন অনেক কমে যাবে।

গতকাল উপজেলার বামন্দী, অলিনগর, কল্যাণপুর, করমদী, তেরাইল, দেবীপুর ঝোড়াঘাট, হাড়াভাঙ্গা, মোহাম্মদপুর, হোগলবাড়িয়াসহ বিভিন্ন গ্রামের মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, অনেক খেতের গম ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়েছে। বাকি গমকে এ রোগের হাত থেকে রক্ষা করতে কীটনাশক ছড়াচ্ছেন কৃষকেরা।’

বামন্দী নিশিপুর গ্রামের গম চাষি আব্দুল হান্নান বলেন, ‘গম কেটে ঘরে তুলতে এখনো এক মাস বাকি। কিন্তু গমে যে রোগ লেগেছে তা বিষ দিয়েও কমানো যাচ্ছে না। গমের শিষের মাথা সাদা হয়ে গেছে। গমের দানাও শুকিয়ে যাচ্ছে। গমের ফলন নিয়ে যে আশা করেছিলাম তা আর পূরণ হবে না।’

ঝোড়াঘাট গ্রামের গম চাষি মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমার গমও ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়েছিল। তবে সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নাটিভো, এমিস্টার টপ ও ফিলিয়া নামের কীটনাশক নিয়ে জমিতে দিয়েছি। এরপর থেকে রোগটা কমেছে বলে মনে হচ্ছে। কিন্তু যে পরিমাণ গমের ফলনের আশা করেছিলাম সে পরিমাণ ফলন হয়তো এবার হবে না।’

গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লাভলী খাতুন বলেন, ‘কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে গমচাষিদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করা হচ্ছে। গমের ব্লাস্ট রোগ কীভাবে কমানো যায় সে বিষয়ে চাষিদের সব ধরনের পরামর্শ ও লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত