Ajker Patrika

নালার কাজে আগেই বিল

মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ এপ্রিল ২০২২, ০৯: ০৮
নালার কাজে আগেই বিল

পিরোজপুরের চরখালী-তুষখালী-মঠবাড়িয়া-পাথরঘাটা সড়কের মঠবাড়িয়া বাজার অংশে নালার নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার আগেই ঠিকাদারকে চূড়ান্ত বিল দেওয়া হয়েছে। সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী আলী আকবর, উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. অহিদুজ্জামান ও নির্বাহী প্রকৌশলী (বর্তমানে বরিশাল সড়ক বিভাগে আছেন) মাসুদ মাহমুদ সুমন এ বিল দিয়েছেন।

এখন আরসিসি নালাটি নির্মাণ করা হচ্ছে যেনতেনভাবে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয়দের মাঝে। স্থানীয়দের দাবি অনৈতিক সুবিধা নিয়ে প্রকৌশলীরা ঠিকাদারকে এ বিল দিয়ে দিয়েছেন।

জানা গেছে, পিরোজপুরের চরখালী-তুষখালী-মঠবাড়িয়া-পাথরঘাটা সড়কের মঠবাড়িয়া বাজার অংশে ১ দশমিক ৬৬ কিলোমিটার রাস্তা ঢালাই, ২ দশমিক ৪০ কিলোমিটার আরসিসি ড্রেন নির্মাণকাজ (মঠবাড়িয়া বাজার অংশ), বরগুনা অংশে দশমিক ৬২৫ কিলোমিটার আরসিসি রাস্তা ঢালাই করা এবং ২০ দশমিক ৩৭ কিলোমিটার সড়ক বর্ধিত করার কাজের জন্য ৩৬ কোটি ৪৯ লাখ ৪৭ হাজার টাকা ব্যয় ধরে দরপত্র আহ্বান করা হয়। দরপত্রে অংশ নিয়ে হাসান টেকনো বিল্ডার্স লিমিটেড এবং ওয়েস্টার কন্সট্রাকশন অ্যান্ড শিপিং কোম্পানি লিমিটেড জেভি ৩০ কোটি ৮৭ লাখ টাকায় কাজটি পায়। এ কাজের মধ্যে নালার জন্য বরাদ্দ ১০ কোটি ৮১ লাখ টাকা। কিন্তু এ কাজ শেষ করার আগেই গেল বছরের ২৯ জুন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্ত বিল দিয়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে নালাটির কাজ যাচ্ছেতাইভাবে করা হচ্ছে। কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে মাটি মিশ্রিত পাথর। যার ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।

মঠবাড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আরিফ উল হক বলেন, ‘বর্ষার দিনে বাজার অংশে থাকা সড়কে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হতো। লোকজনের চলাচলে দুর্ভোগ সৃষ্টি হতো। আমরা জলাবদ্ধতা দূর করার জন্য আন্দোলন করেছি। সরকার এ সড়ক সংস্কার ও নালা নির্মাণের অর্থবরাদ্দ দিল। কিন্তু কাজ শেষ হওয়ার আগেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বিল দিয়ে দেওয়া হল। এখন ড্রেনের নির্মাণকাজ চলছে পিঁপড়ার গতিতে। মানও খারাপ হচ্ছে।’ তিনি দাবি করেন, অনৈতিক সুবিধা ছাড়া প্রকৌশলীরা এ বিল ঠিকাদারদের দেননি।

মঠবাড়িয়ার সাংসদ রুস্তম আলী ফরাজীর জনসংযোগ কর্মকর্তা আলী রেজা রঞ্জু এ বিষয়ে বলেন, ‘ড্রেন নির্মাণে কাদামাটি মিশ্রিত পাথর ব্যবহার করার সময় আমি এটার ছবি তুলে ফেসবুকে দিই। যা পরে ভাইরাল হয়।’ এরপর তিনি বলেন, ‘সাংসদ রুস্তম আলী ফরাজী অনেক কষ্ট করে এলাকার উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ আনেন। সেখানে যদি এই অবস্থা হয়! মঠবাড়িয়া বাজার অংশে ড্রেন না থাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে মানুষের ভোগান্তি হতো।’

কাজ তদারকির দায়িত্বে থাকা উপসহকারী প্রকৌশলী আলী আকবরের কাছে ড্রেন নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার আগে কেন বিল দিলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিল দেওয়া হয়নি।’ এরপর তাঁকে বলা হয়, ২০২১ সালের ২৯ জুন চূড়ান্ত বিল দিয়েছেন, এ প্রমাণ তো আছে। তখন তিনি আর কথা বলেননি।

এরপর পিরোজপুর সড়ক বিভাগের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী (বর্তমানে বরিশাল সড়ক বিভাগে আছেন) মাসুদ মাহমুদ সুমনকে ফোন দেওয়া হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।

সওজ বিভাগের বরিশাল জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম আজাদুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অল্প কিছু দিন হয়েছে তিনি বরিশালে যোগদান করেছেন। তিনি বিষয়টি নিয়ে পিরোজপুর জেলা অফিসে যোগাযোগ করার কথা বলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১০০ বছর পর জানা গেল, ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস মোয়াজ্জেমকে অব্যাহতি

ঘন ঘন নাক খুঁটিয়ে স্মৃতিভ্রংশ ডেকে আনছেন না তো!

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত