প্রশ্ন: ধরুন, সংসদ সদস্য হলেন। এরপর কখনো একই সঙ্গে যদি সুযোগ আসে যে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রিত্ব, না হয় বিসিবি সভাপতি—কোনটা বেছে নেবেন?
সাকিব আল হাসান: বিসিবি সভাপতি।
প্রশ্ন: মন্ত্রণালয় তো কাজের অনেক বড় জায়গা। তবু বিসিবি সভাপতি হওয়ার চিন্তা...আপনি একজন ক্রিকেটার বলে?
সাকিব: হ্যাঁ...ক্রিকেট ব্যাকগ্রাউন্ড আমার।
প্রশ্ন: দেশের ক্রিকেটকে বদলে দিতে চান?
সাকিব: ক্রিকেট বদলে দিতে নয়। ক্রিকেটের প্রতি যেহেতু আলাদা ভালোবাসা আছে, ক্রিকেটের বাইরে কখনো চিন্তা করার সুযোগ হবে বলে মনে হয় না। মন্ত্রণালয় যদি আরও বড় হয়, তবে চিন্তা করে দেখতে পারি (অট্টহাসি)।
প্রশ্ন: মন্ত্রণালয়ের অধীনেই তো ক্রিকেট থাকবে।
সাকিব: থাকলেও…যদি স্পোর্টসে থাকতে হয়, তাহলে ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি আমার কাছে মনে হয় অনেক ভালো একটা জায়গা। এখন পর্যন্ত ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের এমন কোনো ভূমিকা দেখিনি, যেটাতে আসলে আমূল কোনো কিছুতে পরিবর্তন হয়েছে। ক্রিকেটে যেমন অনেক কিছু পরিবর্তন করা সম্ভব হবে। এটা যেহেতু স্বাধীন সংস্থা, যদি পরিবর্তন করতে হয় বা কিছু পরিবর্তন করার থাকে, এখানেই অনেক বেশি আছে। স্বাভাবিকভাবে অনেক আমলাতান্ত্রিক জটিলতা থাকে, ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অনেক কিছুর সামঞ্জস্য হতে হয়। এগুলো আমার কাছে মনে হয় ঝামেলার।
প্রশ্ন: মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হওয়ার চেয়ে ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হওয়ার প্রক্রিয়াটা একটু কঠিন। এখানে ক্লাব প্রতিনিধি হতে হয়, কাউন্সিলর হতে হয়, নির্বাচন করতে হয়, বোর্ড পরিচালক হতে হয়। এরপর বোর্ড সভাপতি—সরকারসমর্থিত হলেও কঠিন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়।
সাকিব: ঠিক আছে, কোনো কিছুই সহজ নয়। কোনো কিছু পেতে হলে আপনাকে কষ্ট করতেই হবে। কষ্ট করে কিছু পাওয়ার মধ্যে অনেক আনন্দ আছে।
প্রশ্ন: এখন রাজনীতির মাঠের নেতা আপনি। নির্বাচন শেষেই আপনাকে আবার খেলার মাঠের নেতৃত্ব নিয়ে ভাবতে হবে। বাংলাদেশ দলে বর্তমানে যে লিডারশিপ গ্রুপটা আছে, অর্থাৎ শান্ত-মিরাজ নেতৃত্ব দিচ্ছেন দলকে। আপনার কি মনে হয়, দীর্ঘ মেয়াদের কথা চিন্তা করে এঁদের হাতেই নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়া উচিত, নাকি বিসিবি আপনাকে চালিয়ে যেতে বললে চালিয়ে যেতে চান? বিশ্বকাপের আগে আপনার সেই সাক্ষাৎকারের প্রেক্ষাপটে প্রশ্নটা করা।
সাকিব: এটা বিসিবির সিদ্ধান্ত। তারা সিদ্ধান্ত নেবে কোনটা ভালো, কোনটা মন্দ, কোনটা করলে বেশি ভালো হবে। আমার চিন্তা হচ্ছে নিজের ক্রিকেটে মনোযোগ রাখা, কীভাবে নিজের পারফরম্যান্স আর ফিট রাখা যায়, যেন আমি বাংলাদেশ ক্রিকেটের হয়ে ধারাবাহিক ভালো করতে পারি।
প্রশ্ন: নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান সিরিজটা কি দেখা হচ্ছে?
সাকিব: খুবই কম। সৌম্যর ব্যাটিংটা সেদিন দেখেছিলাম। ভোরে ঘুম ভেঙে দেখি, বাংলাদেশের খেলা শুরু হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে তখন প্রথম ইনিংসটা দেখার সুযোগ হয়েছিল।
প্রশ্ন: সৌম্য সরকারের সুযোগ দেওয়া নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছে। যা অনেক ক্রিকেটারের ক্ষেত্রেই হয়। অনেক সময় এসব আলোচনা-সমালোচনায় ক্রিকেট বোর্ডও প্রভাবিত হয়ে পড়ে...।
সাকিব: প্রভাবিত না হলেই তো হয় (হাসি)!
প্রশ্ন: বিশ্বকাপে ভরাডুবিতে অধিনায়ক হিসেবে আপনার এবং দলের কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে বেশি দায়ী করা হয়েছে। আপনাদের নিয়ে বেশি সমালোচনা, ট্রলও হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়...
সাকিব: আমি খুব একটা সোশ্যাল মিডিয়া দেখি না। আমার পারফরম্যান্স এবং দলের পারফরম্যান্স নিয়ে বেশি মনোযোগী ছিলাম। প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স না হলে সমালোচনা করার অধিকার সবারই আছে।
প্রশ্ন: কোচ হাথুরুসিংহেকে এবার কেমন দেখছেন, আগেও যেহেতু কাজ করেছেন তাঁর সঙ্গে।
সাকিব: খুব বেশি মূল্যায়ন করার কিছু নেই। এর আগে যেবার এসেছিলেন, তখন তাঁর রেজাল্ট খুবই ভালো ছিল। এবার এসেছেন অন্য রকম প্রেক্ষাপটে। আমি নিশ্চিত, সময় দিলে এবারও তিনি ভালো করবেন। কারও সঙ্গে কাজ করতে আমার সমস্যা হয়নি। ২০০৬ (আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু) থেকে অনেক কোচের অধীনে কাজ করেছি, কখনো মনে হয়নি, কারও সঙ্গে অস্বস্তিতে আছি।
প্রশ্ন: ধরুন, সংসদ সদস্য হলেন। এরপর কখনো একই সঙ্গে যদি সুযোগ আসে যে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রিত্ব, না হয় বিসিবি সভাপতি—কোনটা বেছে নেবেন?
সাকিব আল হাসান: বিসিবি সভাপতি।
প্রশ্ন: মন্ত্রণালয় তো কাজের অনেক বড় জায়গা। তবু বিসিবি সভাপতি হওয়ার চিন্তা...আপনি একজন ক্রিকেটার বলে?
সাকিব: হ্যাঁ...ক্রিকেট ব্যাকগ্রাউন্ড আমার।
প্রশ্ন: দেশের ক্রিকেটকে বদলে দিতে চান?
সাকিব: ক্রিকেট বদলে দিতে নয়। ক্রিকেটের প্রতি যেহেতু আলাদা ভালোবাসা আছে, ক্রিকেটের বাইরে কখনো চিন্তা করার সুযোগ হবে বলে মনে হয় না। মন্ত্রণালয় যদি আরও বড় হয়, তবে চিন্তা করে দেখতে পারি (অট্টহাসি)।
প্রশ্ন: মন্ত্রণালয়ের অধীনেই তো ক্রিকেট থাকবে।
সাকিব: থাকলেও…যদি স্পোর্টসে থাকতে হয়, তাহলে ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি আমার কাছে মনে হয় অনেক ভালো একটা জায়গা। এখন পর্যন্ত ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের এমন কোনো ভূমিকা দেখিনি, যেটাতে আসলে আমূল কোনো কিছুতে পরিবর্তন হয়েছে। ক্রিকেটে যেমন অনেক কিছু পরিবর্তন করা সম্ভব হবে। এটা যেহেতু স্বাধীন সংস্থা, যদি পরিবর্তন করতে হয় বা কিছু পরিবর্তন করার থাকে, এখানেই অনেক বেশি আছে। স্বাভাবিকভাবে অনেক আমলাতান্ত্রিক জটিলতা থাকে, ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অনেক কিছুর সামঞ্জস্য হতে হয়। এগুলো আমার কাছে মনে হয় ঝামেলার।
প্রশ্ন: মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হওয়ার চেয়ে ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হওয়ার প্রক্রিয়াটা একটু কঠিন। এখানে ক্লাব প্রতিনিধি হতে হয়, কাউন্সিলর হতে হয়, নির্বাচন করতে হয়, বোর্ড পরিচালক হতে হয়। এরপর বোর্ড সভাপতি—সরকারসমর্থিত হলেও কঠিন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়।
সাকিব: ঠিক আছে, কোনো কিছুই সহজ নয়। কোনো কিছু পেতে হলে আপনাকে কষ্ট করতেই হবে। কষ্ট করে কিছু পাওয়ার মধ্যে অনেক আনন্দ আছে।
প্রশ্ন: এখন রাজনীতির মাঠের নেতা আপনি। নির্বাচন শেষেই আপনাকে আবার খেলার মাঠের নেতৃত্ব নিয়ে ভাবতে হবে। বাংলাদেশ দলে বর্তমানে যে লিডারশিপ গ্রুপটা আছে, অর্থাৎ শান্ত-মিরাজ নেতৃত্ব দিচ্ছেন দলকে। আপনার কি মনে হয়, দীর্ঘ মেয়াদের কথা চিন্তা করে এঁদের হাতেই নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়া উচিত, নাকি বিসিবি আপনাকে চালিয়ে যেতে বললে চালিয়ে যেতে চান? বিশ্বকাপের আগে আপনার সেই সাক্ষাৎকারের প্রেক্ষাপটে প্রশ্নটা করা।
সাকিব: এটা বিসিবির সিদ্ধান্ত। তারা সিদ্ধান্ত নেবে কোনটা ভালো, কোনটা মন্দ, কোনটা করলে বেশি ভালো হবে। আমার চিন্তা হচ্ছে নিজের ক্রিকেটে মনোযোগ রাখা, কীভাবে নিজের পারফরম্যান্স আর ফিট রাখা যায়, যেন আমি বাংলাদেশ ক্রিকেটের হয়ে ধারাবাহিক ভালো করতে পারি।
প্রশ্ন: নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান সিরিজটা কি দেখা হচ্ছে?
সাকিব: খুবই কম। সৌম্যর ব্যাটিংটা সেদিন দেখেছিলাম। ভোরে ঘুম ভেঙে দেখি, বাংলাদেশের খেলা শুরু হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে তখন প্রথম ইনিংসটা দেখার সুযোগ হয়েছিল।
প্রশ্ন: সৌম্য সরকারের সুযোগ দেওয়া নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছে। যা অনেক ক্রিকেটারের ক্ষেত্রেই হয়। অনেক সময় এসব আলোচনা-সমালোচনায় ক্রিকেট বোর্ডও প্রভাবিত হয়ে পড়ে...।
সাকিব: প্রভাবিত না হলেই তো হয় (হাসি)!
প্রশ্ন: বিশ্বকাপে ভরাডুবিতে অধিনায়ক হিসেবে আপনার এবং দলের কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে বেশি দায়ী করা হয়েছে। আপনাদের নিয়ে বেশি সমালোচনা, ট্রলও হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়...
সাকিব: আমি খুব একটা সোশ্যাল মিডিয়া দেখি না। আমার পারফরম্যান্স এবং দলের পারফরম্যান্স নিয়ে বেশি মনোযোগী ছিলাম। প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স না হলে সমালোচনা করার অধিকার সবারই আছে।
প্রশ্ন: কোচ হাথুরুসিংহেকে এবার কেমন দেখছেন, আগেও যেহেতু কাজ করেছেন তাঁর সঙ্গে।
সাকিব: খুব বেশি মূল্যায়ন করার কিছু নেই। এর আগে যেবার এসেছিলেন, তখন তাঁর রেজাল্ট খুবই ভালো ছিল। এবার এসেছেন অন্য রকম প্রেক্ষাপটে। আমি নিশ্চিত, সময় দিলে এবারও তিনি ভালো করবেন। কারও সঙ্গে কাজ করতে আমার সমস্যা হয়নি। ২০০৬ (আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু) থেকে অনেক কোচের অধীনে কাজ করেছি, কখনো মনে হয়নি, কারও সঙ্গে অস্বস্তিতে আছি।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪