Ajker Patrika

দুই উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক
আপডেট : ০৫ এপ্রিল ২০২২, ১৪: ০৮
Thumbnail image

টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে জৈন্তাপুর ও গোয়াইনঘাট উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে কয়েক হাজার হেক্টর জমির ফসল। কোনো কোনো স্থানে সড়ক ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে কয়েকটি এলাকা। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:

জৈন্তাপুর: তিন দিনের টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে জৈন্তাপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সারী, বড় নয়াগং ও রাংপানি নদীর পানি বেড়েছে। যে কোনো মুহূর্তে সব কটি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হবে। উপজেলার নিজপাট, জৈন্তাপুর ও চারিকাটা ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল বেশি প্লাবিত হয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে কয়েক হাজার বিঘার বোরো ধানখেত।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার মেঘলী, বন্দরহাটি, লামাপাড়া, ময়নাহাটি, জাঙ্গালহাটি, মজুমদারপাড়া, নয়াবাড়ী, হর্নি, বাইরাখেল, গোয়াবাড়ী, তিলকৈপাড়া, বড়খেল, ফুলবাড়ী, ডিবিরহাওর, ঘিলাতৈল, হেলিরাই, মুক্তাপুর, বিরাইমারা হাওর, লামনীগ্রাম, খারুবিল, চাতলারপাড়, ডুলটিরপাড়, ১ নম্বর লক্ষ্মীপুর, ২ নম্বর লক্ষ্মীপুর, আমবাড়ী, ঝিঙ্গাবাড়ী, কাঁঠালবাড়ী, নলজুরী হাওর, বালিদাঁড়া, রামপ্রসাদ, থুবাং, বাউরভাগ উত্তর, বাউরভাগ দক্ষিণের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সারী-গোয়াইন বেড়িবাঁধ প্রকল্পের কর্মকর্তা মো. আলা উদ্দিন বলেন, টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে পানি নিম্নাঞ্চলের দিকে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে পানি বিপৎসীমার কাছ দিয়ে প্রবাহিত হবে।

ইউএনও আল বশিরুল ইসলাম বলেন, ‘পাহাড়ি ঢল আর টানা বৃষ্টিতে বন্যায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। বন্যা পরিস্থিতির পর্যবেক্ষণ করছি এবং জনসাধারণকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।’

গোয়াইনঘাট: কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গোয়াইনঘাট উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে সহস্রাধিক হেক্টর জমির বোরো ধান। কোনো কোনো এলাকার রাস্তাঘাট ভেঙে এবং তলিয়ে গিয়ে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

গত কয়েক দিন ধরে টানা বৃষ্টিপাত ও ভারতের মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে গতকাল সোমবার সকাল থেকে ডাউকি, সারি ও পিয়াইন নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে থাকে। দুপুরের দিকে উপজেলার সীমান্তবর্তী রুস্তমপুর, পূর্ব জাফলং, পশ্চিম জাফলং, মধ্য জাফলং, গোয়াইনঘাট সদর, পূর্ব আলীরগাঁও ও পশ্চিম আলীরগাঁও ইউনয়নের অধিকাংশ এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়ে। তলিয়ে যায় উপজেলা সদরের সঙ্গে বিভিন্ন এলাকা থেকে যোগাযোগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কসহ গ্রামীণ জনপদের অধিকাংশ এলাকার রাস্তাঘাট। একই সঙ্গে জাফলং বাজার, রাধানগর বাজার, লন্ডনী বাজার, বাংলাবাজার ও নতুন বাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি হাটবাজার এবং বসতবাড়িসহ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্লাবিত হয়েছে।

উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় বিভিন্ন এলাকা থেকে গোয়াইনঘাট উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রায়হান পারভেজ রনি বলেন, ‘পাহাড়ি ঢলে বন্যা দেখা দেওয়ায় উপজেলার নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়ে ৫ থেকে ৬ শ হেক্টর বোরো ধান তলিয়ে যাওয়ার খবর পেয়েছি। তবে দু-এক দিনের মধ্যে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলে ফসলের তেমন একটা ক্ষয়-ক্ষতি হবে না।’

ইউএনও মো. তাহমিলুর রহমান বলেন, ‘ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে গেছে। ফসলি জমি তলিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বেশ কিছু রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ার খবর পেয়েছি। বন্যাকবলিত কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করেছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত