টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে কুশিয়ারা নদীর পানি বেড়েছে। এতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে।
আখাউড়া স্থলবন্দরের শুল্ক অফিস ও ইমিগ্রেশন ভবনের সামনের চত্বরে পানি প্রবেশ করেছে। বন্দরের কাছে আখাউড়া-আগরতলা আন্তর্জাতিক সড়কের প্রায় ১০০ মিটারজুড়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে নতুন নির্মাণকাজে অপরিকল্পিতভাবে মাটি ও বালি ফেলা হচ্ছে, যার ফলে স্বাভাবিক পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে নাজিরপুর, তেমুনিয়া, শ্যামপুর, বিশ্বরোডসহ আশপাশের জনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলো চরম ঝুঁকিতে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে ভারী বর্ষণ ও নদীতে পানি বাড়ায় বরগুনার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানির তোড়ে জেলার অনেক স্থানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে বাঁধ ভেঙে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে প্লাবিত হয়েছে লোকালয়।
নিম্নচাপের প্রভাবে পটুয়াখালীতে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছে। আজ বৃহস্পতিবার জোয়ারের পানি বিপৎসীমার ২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। নদ-নদী ও সাগর উত্তাল থাকায় ঢাকা-রাঙ্গাবালীসহ অভ্যন্তরীণ ১৭ রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ।
উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কুড়িগ্রামের রাজারহাটে তিস্তার পানি বেড়েছে। এতে তিস্তার নিচু চরগুলো প্লাবিত হওয়ায় পেঁয়াজ, বাদাম ও কাউনখেত তলিয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন প্রায় অর্ধশত কৃষক। এদিকে উজানের ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে আগামী পাঁচ দিন কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার, তিস্তা ও ধরলার পানি বাড়তে পারে।
ডুমুরিয়া খর্নিয়া ও আটলিয়া ইউনিয়নে পাউবোর বিকল্প বেড়িবাঁধ ভেঙে হরি নদীর জোয়ারের পানিতে শতাধিক বসতবাড়ি প্লাবিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার থেকে এই অবস্থার সৃষ্টি হয় বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। আজ বুধবার ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বিস্তৃত এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
যশোরের মনিরামপুর উপজেলার হরিণা খালের বাঁধ ভেঙে হাজার বিঘা বোরো ধানখেত প্লাবিত হয়েছে। একই সঙ্গে ঘেরে পানি ঢুকে অন্তত ১ কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আজ শনিবার ভোর ৪টার দিকে হঠাৎ হরিণা খালের ২০-২৫ হাত পাড় ভেঙে খেতে পানি ঢুকতে শুরু করে।
ময়মনসিংহে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। নতুন করে প্লাবিত হয়েছে হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া ও ফুলপুর উপজেলার অন্তত ৫০টি গ্রাম। এ নিয়ে এই তিন উপজেলার ২৩ ইউনিয়নে দেড় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী রয়েছে। তবে নেত্রকোনা ও শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। কমতে শুরু করেছে সেখানকার পানি। বানভাসিরা জানিয়েছেন, সুপ
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে সোমেশ্বরী ও নেতাই নদীর পানি বেড়ে ৪০ গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এসব অঞ্চলের পানিবন্দী মানুষের দৈনন্দিন কাজ-কর্ম ব্যাহত হচ্ছে। খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে।
কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ময়মনসিংহ ও শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। প্লাবিত হয়েছে দুই জেলার দুই শতাধিক গ্রাম। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে লক্ষাধিক মানুষ। শেরপুরে বন্যার পানিতে ডুবে তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া পানির তোড়ে কয়েকজন নিখোঁজ হয়েছে। ভেঙে গেছে অনেক এ
ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া উপজেলা অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ১৭ ইউনিয়নের ৫০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে দুই উপজেলার অন্তত ৮৫ হাজার মানুষ।
তিন দিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলার নতুন নতুন গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতী উপজেলা সদরের পানি কিছুটা নেমে গেলেও নিম্নাঞ্চলের অন্তত দেড় শ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমন আবাদ, মাছের ঘের ও সবজি আবাদ। পানিব
বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ময়মনসিংহে জেলার সিমাস্তবর্তী উপজেলা হালুয়াঘাট এবং ধোবাউড়া উপজেলার বেশ কিছু গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টা থেকে আজ শুক্রবার রাত ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১৪৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
বাগেরহাটের ফকিরহাটে টানা বর্ষণ ও জোয়ারের উচ্চতায় নিম্নাঞ্চল ডুবে গেছে। তাতে চিংড়ি ও সাদা মাছের ঘের, সবজি খেত ও বোরো ধানের বীজতলা প্লাবিত হয়েছে। ভৈরব, কালীগঙ্গা ও চিত্রা নদীর পাড়ে বসবাস করা মানুষের ভিটেবাড়ির ওপর চলছে জোয়ার-ভাটা।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্যার কারণে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। মহাসড়কের কিছু জায়গা এবং সংযোগ সড়ক পানিতে প্লাবিত ও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এ দশা। শুধু মহাড়ক নয়, এই অঞ্চলের জেলাগুলোর অন্যান্য সড়ক ও রেল যোগাযোগও সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন। এ অচলাবস্থার কারণে সড়ক-মহাসড়কে এখন হাজার হাজার পণ্যবাহী গাড়
ভারতের মিজোরাম ও খাগড়াছড়ির বন্যার পানি নেমে আসায় রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়েছে। পানিতে হ্রদের তীরবর্তী ১০ হাজারের অধিক বাড়িঘর প্লাবিত হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে লাখো মানুষ।