Ajker Patrika

অশোক মিত্র

সম্পাদকীয়
অশোক মিত্র

অশোক মিত্র দক্ষ প্রশাসক ছাড়াও খ্যাতি লাভ করেছিলেন বিশিষ্ট শিল্প সমালোচক হিসেবে। তাঁর জন্ম ১৯১৭ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের হুগলির পাণ্ডুয়ার চাকলাই গ্রামে।

কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ এবং অক্সফোর্ডের মর্টন কলেজ থেকে পড়াশোনা শেষ করে তিনি ১৯৪০ সালে ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন। চাকরিতে যোগ দিয়েই অবিভক্ত বাংলাসহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেন।

এরপর পশ্চিমবঙ্গের লোকগণনার কাজ পরিচালনা করেন। এ কাজে তাঁর বিশ্লেষণ দক্ষতার ফলে ২৬টি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। এরপর তিনি দিল্লিতে ভারতের প্রথম ‘সেনসাস কমিশনার’ হিসেবে যোগ দেন। ভারতের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরের ২৬টি দিক নিয়ে প্রায় ১ হাজার ৫০০ রিপোর্ট তৈরি করেন। ভারতের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে সচিবের দায়িত্ব পালন শেষে রাষ্ট্রপতির সচিব পদ থেকে তিনি ১৯৭৫ সালে অবসর নেন।

প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি অশোক মিত্র ১৯৭৩-৮২ সাল পর্যন্ত দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘প্রফেসর অব পপুলেশন স্টাডিজ’ পদে যুক্ত ছিলেন। তাঁকে ‘ফাদার অব ইন্ডিয়ান সেনসাস’ বলে মনে করা হয়। তিনি বাঁকুড়ার পোড়ামাটির ঘোড়া এবং বিষ্ণুপুরের বালুচরি শাড়িকে পুনরুজ্জীবিত করেন।

অবসরের পর স্থায়ীভাবে কলকাতায় বাস করার পাশাপাশি তিনি মাসিক ১ টাকা বেতনে পশ্চিমবঙ্গের ভূমি ব্যবহার বিষয়ে সরকারের পরামর্শদাতার দায়িত্ব পালন করেছেন।

‘তিন কুড়ি দশ’ পাঁচ খণ্ডে প্রকাশিত অশোক মিত্রের আত্মজীবনী। ১৯৫৬ সালে তাঁর লেখা ‘ভারতের চিত্রকলা’ বইটি ভারতের আঞ্চলিক ভাষায় এ ধরনের কাজের প্রথম নিদর্শন বলে মনে করা হয়। এ ছাড়া তাঁর উল্লেখযোগ্য বইগুলো হলো, ‘ছবি কাকে বলে’, ‘পশ্চিম ইউরোপের চিত্রকলা’, ‘ইউরোপের ভাস্কর্য’, ‘বাংলার পূজাপার্বণ ও মেলা’ প্রভৃতি। তিনি বাংলা থেকে ইংরেজি অনুবাদ করেছেন কমলকুমার মজুমদারের ‘গোলাপসুন্দরী’ এবং সমর সেনের ‘বাবু বৃত্তান্ত’।

রবীন্দ্র পুরস্কারে ভূষিত অশোক মিত্র মৃত্যুবরণ করেন ১৯৯৯ সালের ৯ জুলাই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত