মো. মিজানুর রহমান রিয়াদ, নোয়াখালী
এক কোণে ঘাস কাটছেন কয়েকজন। কেউ আবার মাছ ধরার পর জাল রোদে শুকাচ্ছেন। মাঝখানের ছোট্ট একটি অংশে কয়েকজন কিশোর বল-ব্যাট হাতে সময় কাটাচ্ছে। এটুকু ছাড়া বাকি অংশে ঘাস আর ঘাস। যেন ঘাসের চাষ করা হয়েছে।
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নের আজিজপুর গ্রামে ‘বীর বিক্রম শহীদ তরিক উল্যা স্টেডিয়াম এটি। দেখে বোঝার উপায় নেই এটি একটি স্টেডিয়াম। ইতিমধ্যে এটি মাদকসেবীদের আখড়া হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
২০০৪ সালে ১০ দশমিক ৩০ একর জমির ওপর সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে স্থাপন করা হয় সেনবাগ স্টেডিয়াম। পরবর্তী সময়ে ‘বীর বিক্রম শহীদ তরিক উল্যা স্টেডিয়াম’ নামে এর নামকরণ করা হয়। ২০০৭ সালে উদ্বোধনের পর থেকে এ স্টেডিয়ামে দুটি বড় টুর্নামেন্ট হয়। যার মধ্যে ২০০৮ সালে চেয়ারম্যান গোল্ডকাপ ও ২০১২ বঙ্গবন্ধু ফুটবল টুর্নামেন্ট। দুটি টুর্নামেন্টের মাঝে শীতকালীন ও স্কুল পর্যায়ের কয়েকটি খেলা হয় এখানে। কিন্তু ২০১৩ সাল থেকে স্টেডিয়ামটি বন্ধ রয়েছে। খেলা বন্ধ হওয়ায় স্টেডিয়ামটি ‘ঘাসের খামারে’ পরিণত হয়েছে। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে দুটি দর্শক গ্যালারি। যেখানে দর্শক ধারণ ক্ষমতা ছিল ৫ হাজার। কয়েক দিন আগে গেটসহ স্টেডিয়ামের বাইরের অংশে রঙের কাজ করা হয়। তবে ভেতরের অবস্থা এখনো অপরিবর্তিত।
স্থানীয় আহসান হাবিব বলেন, ‘এ স্টেডিয়ামে একসময় আমরা খেলাধুলা করতাম। উপজেলা পর্যায়ে এখানে অনেকগুলো খেলা হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে স্টেডিয়ামটি মাদকসেবীদের আড্ডাখানায় পরিণত হয়েছে।’
ইউছুফ হোসেন নামের সাবেক এক খেলোয়াড় বলেন, সেনবাগ থেকে দীর্ঘদিন ধরে বিভাগীয় পর্যায়ে আক্তার, সেলিম, নরেশ দাদাসহ বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় খেলেছেন। কিন্তু বর্তমানে তদারকির অভাবে স্টেডিয়ামটি খেলার উপযোগী না হওয়ায় খেলোয়াড় সৃষ্টি হচ্ছে না। বর্তমানে শিশু-কিশোর ও শিক্ষার্থীরা খেলাধুলার সুযোগ পাচ্ছে না। তারা এখন মাদক সেবনসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়ছে।
স্টেডিয়ামের কেয়ারটেকার দ্বীন মোহাম্মদ বলেন, ‘স্টেডিয়ামের দেখভালের জন্য ২০০৭ সালে ১৫০০ টাকায় আমাকে কেয়ারটেকার নিয়োগ দেওয়া হয়। প্রথম কয়েক মাস অনিয়মিত পেলেও কয়েক বছর ধরে আমার বেতন বন্ধ রয়েছে। বহিরাগত ও মাদক সেবিদের স্টেডিয়ামে আসতে বাধা দিলে তারা আমাকে প্রাণ নাশেরও হুমকি দেন।’
সেনবাগ ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বাবু আজকের পত্রিকাকে বলেন, স্টেডিয়ামটি ধানখেতের ওপর করা হয়। তাতে মাটি ভরাট না করায় বর্ষাকালে হাঁটু পরিমাণ পানি জমে। পরে ঘাসে ভরে যায়। নিজেদের উদ্যোগে একাধিকবার ঘাস কেটে কয়েকটি খেলার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু কিছুদিন গেলে আবার ঘাসে ভরে যায়। এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিল আমাদের নিজস্ব তহবিল থেকে দিতে হয়। প্রধানমন্ত্রী ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতা পেলে দ্রুত সময়ের মধ্যে মাঠটি প্রস্তুত করে খেলার উপযোগী করা সম্ভব হবে। পরে অবকাঠামোগত সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিতে হবে। যুবসমাজকে মাদক ও মোবাইল আসক্তি থেকে দূরে রাখতে স্টেডিয়ামটি খেলার উপযোগী করা জরুরি।
এক কোণে ঘাস কাটছেন কয়েকজন। কেউ আবার মাছ ধরার পর জাল রোদে শুকাচ্ছেন। মাঝখানের ছোট্ট একটি অংশে কয়েকজন কিশোর বল-ব্যাট হাতে সময় কাটাচ্ছে। এটুকু ছাড়া বাকি অংশে ঘাস আর ঘাস। যেন ঘাসের চাষ করা হয়েছে।
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নের আজিজপুর গ্রামে ‘বীর বিক্রম শহীদ তরিক উল্যা স্টেডিয়াম এটি। দেখে বোঝার উপায় নেই এটি একটি স্টেডিয়াম। ইতিমধ্যে এটি মাদকসেবীদের আখড়া হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
২০০৪ সালে ১০ দশমিক ৩০ একর জমির ওপর সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে স্থাপন করা হয় সেনবাগ স্টেডিয়াম। পরবর্তী সময়ে ‘বীর বিক্রম শহীদ তরিক উল্যা স্টেডিয়াম’ নামে এর নামকরণ করা হয়। ২০০৭ সালে উদ্বোধনের পর থেকে এ স্টেডিয়ামে দুটি বড় টুর্নামেন্ট হয়। যার মধ্যে ২০০৮ সালে চেয়ারম্যান গোল্ডকাপ ও ২০১২ বঙ্গবন্ধু ফুটবল টুর্নামেন্ট। দুটি টুর্নামেন্টের মাঝে শীতকালীন ও স্কুল পর্যায়ের কয়েকটি খেলা হয় এখানে। কিন্তু ২০১৩ সাল থেকে স্টেডিয়ামটি বন্ধ রয়েছে। খেলা বন্ধ হওয়ায় স্টেডিয়ামটি ‘ঘাসের খামারে’ পরিণত হয়েছে। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে দুটি দর্শক গ্যালারি। যেখানে দর্শক ধারণ ক্ষমতা ছিল ৫ হাজার। কয়েক দিন আগে গেটসহ স্টেডিয়ামের বাইরের অংশে রঙের কাজ করা হয়। তবে ভেতরের অবস্থা এখনো অপরিবর্তিত।
স্থানীয় আহসান হাবিব বলেন, ‘এ স্টেডিয়ামে একসময় আমরা খেলাধুলা করতাম। উপজেলা পর্যায়ে এখানে অনেকগুলো খেলা হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে স্টেডিয়ামটি মাদকসেবীদের আড্ডাখানায় পরিণত হয়েছে।’
ইউছুফ হোসেন নামের সাবেক এক খেলোয়াড় বলেন, সেনবাগ থেকে দীর্ঘদিন ধরে বিভাগীয় পর্যায়ে আক্তার, সেলিম, নরেশ দাদাসহ বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় খেলেছেন। কিন্তু বর্তমানে তদারকির অভাবে স্টেডিয়ামটি খেলার উপযোগী না হওয়ায় খেলোয়াড় সৃষ্টি হচ্ছে না। বর্তমানে শিশু-কিশোর ও শিক্ষার্থীরা খেলাধুলার সুযোগ পাচ্ছে না। তারা এখন মাদক সেবনসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়ছে।
স্টেডিয়ামের কেয়ারটেকার দ্বীন মোহাম্মদ বলেন, ‘স্টেডিয়ামের দেখভালের জন্য ২০০৭ সালে ১৫০০ টাকায় আমাকে কেয়ারটেকার নিয়োগ দেওয়া হয়। প্রথম কয়েক মাস অনিয়মিত পেলেও কয়েক বছর ধরে আমার বেতন বন্ধ রয়েছে। বহিরাগত ও মাদক সেবিদের স্টেডিয়ামে আসতে বাধা দিলে তারা আমাকে প্রাণ নাশেরও হুমকি দেন।’
সেনবাগ ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বাবু আজকের পত্রিকাকে বলেন, স্টেডিয়ামটি ধানখেতের ওপর করা হয়। তাতে মাটি ভরাট না করায় বর্ষাকালে হাঁটু পরিমাণ পানি জমে। পরে ঘাসে ভরে যায়। নিজেদের উদ্যোগে একাধিকবার ঘাস কেটে কয়েকটি খেলার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু কিছুদিন গেলে আবার ঘাসে ভরে যায়। এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিল আমাদের নিজস্ব তহবিল থেকে দিতে হয়। প্রধানমন্ত্রী ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতা পেলে দ্রুত সময়ের মধ্যে মাঠটি প্রস্তুত করে খেলার উপযোগী করা সম্ভব হবে। পরে অবকাঠামোগত সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিতে হবে। যুবসমাজকে মাদক ও মোবাইল আসক্তি থেকে দূরে রাখতে স্টেডিয়ামটি খেলার উপযোগী করা জরুরি।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
২ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪