Ajker Patrika

বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ হয়নি ৬ বছরেও

মো. আরিফুল হক তারেক, মুলাদী
আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর ২০২১, ১২: ১৪
বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ  হয়নি ৬ বছরেও

মুলাদীতে দীর্ঘ ৬ বছরেও হয়নি চরকালেখান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণকাজ। ২০১৬ সালে কাজ শুরু করে এখনো শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। অথচ কার্যাদেশ পাওয়ার দুই বছরের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা ছিল।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ বন্ধ রাখায় কত দিনে কাজ শেষ হবে জানে না কেউ। ভবন না হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ৬ বছর আগে অস্থায়ী ভাবে তৈরি ভাঙা ঘরে এখনো চলছে পাঠদান। এ ছাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে থাকা ঘরটিতে পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষকেরা।

জানা গেছে, ২০১৬ সালের শেষের দিকে উপজেলার চরকালেখান ইউনিয়নের ৩৫ নম্বর চরকালেখান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন শেল্টারের তিনতলা ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নাভানা। প্রায় পৌনে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ভবনটি দুই বছরের মধ্যে কাজ শেষ করার নির্দেশনা ছিল। শুরুর দিকে কাজ কিছুটা দ্রুত চলছিল। কিন্তু পরবর্তীতে এসে ধীর গতি দেখা দেয়। বিদ্যালয়ের পাইলিং ও পিলার করার পর কাজ একেবারে বন্ধ হয়ে যায়।

পরবর্তীতে উপজেলা শিক্ষা দপ্তর ও উপজেলা প্রকৌশল দপ্তরের চাপে কাজ শুরু হয়। কিন্তু খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলা কাজের জন্য চলতি বছরেও শেষ হয়নি বিদ্যালয় ভবনের কাজ। বর্তমানে কাজ বন্ধ রয়েছে বলে জানান নাভানার প্রকৌশলী ও স্থানীয় বাসিন্দারা।

স্কুলের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক নাহিদ হোসেন জানান, কাজ শুরুর সময় দুই বছরের মধ্যে শেষ করার কথা ছিল। সেই লক্ষ্যে চরকালেখান আইডিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসে একটি অস্থায়ী টিনের ঘর নির্মাণ করা হয়। কিন্তু ভবন নির্মাণ শেষ না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের সে ঘরেই পাঠদান করতে হচ্ছে। অস্থায়ী ঘরটির কয়েকস্থানে ভেঙে গেছে। কিন্তু শিক্ষক-শিক্ষার্থী কিংবা ব্যবস্থাপনা পর্ষদের কিছুই করার নেই।

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাজেদা বেগম রওনক জানান, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বাধ্য হয়েই শিশুদের পাঠদান করতে হচ্ছে। ওই বিদ্যালয়টিতে জেএসসি, এসএসসি কেন্দ্র এবং এইচএসসি পরীক্ষার ভেন্যু রয়েছে। পাবলিক পরীক্ষা চলাকালীন বিদ্যালয় বন্ধ রাখতে হয়। এতে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল দপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. জিয়াউর রহমান জানান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নাভানার প্রকৌশলী মো. মাসুদ মিয়া বলেন, ভবনের কাজ অনেকটা সম্পন্ন হয়েছে। আস্তর ও ভেতরে কিছু কাজ বাকি রয়েছে। কোম্পানির ব্যবস্থাপনায় কিছুটা সমস্যা আছে। এ ছাড়া করোনাকালীন শ্রমিক পাওয়া যায়নি। অনেক সময় শ্রমিকদের ঠিকভাবে নির্মাণসামগ্রী দেওয়া সম্ভব হয়নি। তাই কাজ কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যে কোম্পানির ব্যবস্থাপনাজনিত সমস্যা সমাধানের সম্ভাবনা রয়েছে। তাহলে আগামী বছর জুনের মধ্যে ভবন নির্মাণের কাজ শেষ করা সম্ভব হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত