Ajker Patrika

যানজট কমাবে যে সড়ক সেখানেই বড় বড় গর্ত

জামালপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ অক্টোবর ২০২২, ১৬: ০৪
যানজট কমাবে যে সড়ক সেখানেই বড় বড় গর্ত


ছোট-বড় গর্তে বেহাল জামালপুর পৌর এলাকার মাছিমপুর-বেলটিয়া বাইপাস সড়কটি। এতে যান চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, কাজ শেষ করার তিন থেকে চার মাসের মধ্যেই পুরো সড়ক বেহাল হয়ে পড়েছে।

এর আগে, ২০১৮ সালের শুরুতে জামালপুর স্থানীয় সরকার বিভাগ (এলজিইডি) সাড়ে চার কিলোমিটারের সড়কটি জনসাধারণের জন্য খুলে দেয়। ৩ কোটি ৯৮ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়কের নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে।

জামালপুর স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সায়েদুজ্জামান সাদেক আজকের পত্রিকাকে জানান, ২০১৮ সালে সড়কটি খুলে দেওয়ার পর যান চলাচলে যে নির্দেশনা ছিল, সেটি না মানায় দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নতুন করে এই সড়কের সংস্কারকাজ করার জন্য জামালপুর সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরকে পত্র দেওয়া হয়েছে। সেই মতে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের সড়কটির জন্য নতুন করে প্রকল্প গ্রহণ করার কথা।

অন্যদিকে এই ধরনের কোনো পত্রের কথা জানেন না বলে জানিয়ে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের জামালপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী খায়রুল বাশার মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘সড়কটি এলজিইডির, তারা সড়কটি আমাদের দিয়েছে এমন কোনো কাগজপত্রই তো আমরা পাইনি। যেহেতু সড়কই আমাদের না, সে ক্ষেত্রে আমরা প্রকল্প কীভাবে গ্রহণ করব।’

জানা গেছে, জামালপুর স্থানীয় সরকার বিভাগ শহরের যানজট নিরসনে পৌরসভার বেলটিয়া হয়ে মাছিমপুর সড়কটির নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেয়। সড়কটি নির্মাণ হলে বেলটিয়া থেকে শরিফপুর ইউনাইটেড পাওয়ার প্ল্যান মোড় পর্যন্ত জামালপুর-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কে যুক্ত হবে। ফলে দ্রুত সময়ের মধ্যে যানবাহন ও জনসাধারণ চলাচলের সুবিধা পাবে। কমবে শহরের যানজটের চাপ; কিন্তু সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় সব পরিকল্পনায় ভেস্তে গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, জামালপুর-ময়মনসিংহ মহাসড়কের শরিফপুর ইউনাইটেড পাওয়ার প্ল্যান্টের মোড় থেকে মাছিমপুর এলাকা পর্যন্ত সড়কটি ভেঙে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

জামালপুর-ময়মনসিংহ রেলওয়ে লেভেল ক্রসিংয়ের সামনেই সড়কটি ভেঙে বিশাল গর্তে পরিণত হয়েছে। গর্তে প্রায় হাঁটুসমান পানি, মাছিমপুর জামে মসজিদের সামনে গর্ত। এ কারণে কোনো যানবাহনই এই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে পারে না। পুরো সড়কের পিচ উঠে গেছে। অনেক স্থানেই দেবে গিয়ে দেখা দিয়েছে ফাটল। সড়কের খানবাড়ি এলাকায় একটি কালভার্ট ভেঙে গেছে। সামনে কালভার্ট ভেঙে সড়কও দেবে গেছে।

বেলটিয়া ও মাছিমপুর এলাকার মানুষেরা জানান, সড়কটি নির্মাণের তিন থেকে চার মাসের মধ্যে  ভেঙে দেবে গেছে। প্রায় চার কিলোমিটার রাস্তাজুড়েই এই অবস্থা। অনেক জায়গায় বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। এই সড়ক দিয়ে চলাচল করা মানুষের জন্য কষ্ট ও দুর্ভোগের যেন শেষ নেই। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত