মো. তারেক রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
জীবনভর মাথায় দই নিয়ে বিক্রি করে সংসার চালানো জিয়াউল হককে এখন দেশের অনেক মানুষ চেনে। চিনেছে তাঁর মহতী কাজের জন্য। কিন্তু এই কাজ করতে গিয়েই তিনি মন দিতে পারেননি স্ত্রী-সন্তানের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে। মানুষের সেবায় বিলিয়ে দিয়েছেন নিজের কষ্টার্জিত বেশির ভাগ অর্থ।
সব ত্যাগের পুরস্কার হয়ে জিয়াউল হকের হাতে উঠছে রাষ্ট্রের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা একুশে পদক। এই পদকের অর্থমূল্য হিসেবে যে অর্থ তিনি পাবেন, সেটাও মানুষের সেবায় ব্যয় করবেন বলে মনস্থির করেছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার মুসরিভূজা গ্রামের বাসিন্দা জিয়াউল হক।
দীর্ঘ ৬৫ বছর ধরে মাথায় দই চেপে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করেন তিনি। দই বিক্রির টাকা দিয়ে ১৯৬৯ সালে প্রথমে নিজের গ্রামে একটি সাধারণ পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর থেকে সমাজসেবা শুরু করেন। এলাকার স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে বই দেওয়া, স্কুল-কলেজে বেতন দেওয়াসহ সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত অনুদান দিয়ে আসছেন তিনি। তাঁর এই সমাজসেবার জন্য এ বছর একুশে পদক পাচ্ছেন।
জানা গেছে, জিয়াউল হকের তিন সন্তান। দুই মেয়ে বড়। প্রথমে তাহমিনা বেগম, এরপর সুলতানা বেগম। দুজনই বাবার মতো পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। অর্থের অভাবে পড়াশোনা করতে পারেননি তাঁরা। দুজনেরই বিয়ে হয়েছে একই এলাকায়। স্বামী-সংসার নিয়ে তাঁরা আছেন নিজেদের মতো।
জিয়াউল হকের ছেলে সবার ছোট, মহব্বত আলী। পড়াশোনা করছেন বটতলা মুসরিভূজা ইউসুফ আলী হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণিতে। মহব্বত আলী বলেন, ‘বাবা অন্যের সমাজসেবা করতে গিয়ে নিজের সন্তানদের দিকে নজর রাখতে ভুলেই গেছেন।
বড় দুই বোনকে পড়াশোনা করাতে পারেননি। আমি এসএসসি পরীক্ষায় ভালো ফল করার পর ইচ্ছে ছিল রাজশাহী অথবা ঢাকার একটি ভালো কলেজে ভর্তি হব। বাবা-মা রাজি হননি। কারণ, আমি বাইরে পড়াশোনা করলে তাঁদের খরচ বেশি লাগবে।’
জিয়াউল হকের স্ত্রী ফরিদা বেগম বলেন, ‘স্বামীর উপার্জিত সমস্ত অর্থ সমাজসেবায় খরচ হয়ে যায়। এক বেলা খেয়ে আরেক বেলা কী খাব, তা-ও ঘরে থাকে না।’
ছেলেটিকে যে ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠাতে পারেননি, তা নিয়ে আফসোস আছে ফরিদা বেগমের। তিনি বলেন, ‘বেশি টাকা খরচ হবে, তাই বাইরে যেতে দেওয়া হয়নি ছেলেটিকে।’
আফসোস থাকলেও স্বামীর সম্মানে গর্ববোধ করেন ফরিদা। স্বামীর পরবর্তী সংকল্পের ঘোষণাও তিনি দিলেন, একুশে পদকের সঙ্গে যে অর্থ ও সম্মাননা দেওয়া হবে, পুরোটা বিলিয়ে দিতে চান জনগণের মাঝে।
জিয়াউল হকও তাঁর শুভ সংকল্পে অটল। তিনি বলেন, ‘যে টাকা উপার্জন করি, সবই তো মানুষের সেবায় চলে যায়। ছেলের পেছনে এত টাকা খরচ করলে তো মানুষের সেবায় বিঘ্ন ঘটবে। আমার প্রথম কাজ জনগণের জন্য, তারপর নিজের পরিবার।’
তবু ছেলেকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেন এই বাবা। বলেন, ‘ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও দুই মেয়েকে পড়াশোনা করাতে পারিনি। আশা আছে ছেলেকে পড়াশোনা করিয়ে জনগণের সেবায় কাজে লাগাব।’
জীবনভর মাথায় দই নিয়ে বিক্রি করে সংসার চালানো জিয়াউল হককে এখন দেশের অনেক মানুষ চেনে। চিনেছে তাঁর মহতী কাজের জন্য। কিন্তু এই কাজ করতে গিয়েই তিনি মন দিতে পারেননি স্ত্রী-সন্তানের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে। মানুষের সেবায় বিলিয়ে দিয়েছেন নিজের কষ্টার্জিত বেশির ভাগ অর্থ।
সব ত্যাগের পুরস্কার হয়ে জিয়াউল হকের হাতে উঠছে রাষ্ট্রের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা একুশে পদক। এই পদকের অর্থমূল্য হিসেবে যে অর্থ তিনি পাবেন, সেটাও মানুষের সেবায় ব্যয় করবেন বলে মনস্থির করেছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার মুসরিভূজা গ্রামের বাসিন্দা জিয়াউল হক।
দীর্ঘ ৬৫ বছর ধরে মাথায় দই চেপে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করেন তিনি। দই বিক্রির টাকা দিয়ে ১৯৬৯ সালে প্রথমে নিজের গ্রামে একটি সাধারণ পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর থেকে সমাজসেবা শুরু করেন। এলাকার স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে বই দেওয়া, স্কুল-কলেজে বেতন দেওয়াসহ সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত অনুদান দিয়ে আসছেন তিনি। তাঁর এই সমাজসেবার জন্য এ বছর একুশে পদক পাচ্ছেন।
জানা গেছে, জিয়াউল হকের তিন সন্তান। দুই মেয়ে বড়। প্রথমে তাহমিনা বেগম, এরপর সুলতানা বেগম। দুজনই বাবার মতো পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। অর্থের অভাবে পড়াশোনা করতে পারেননি তাঁরা। দুজনেরই বিয়ে হয়েছে একই এলাকায়। স্বামী-সংসার নিয়ে তাঁরা আছেন নিজেদের মতো।
জিয়াউল হকের ছেলে সবার ছোট, মহব্বত আলী। পড়াশোনা করছেন বটতলা মুসরিভূজা ইউসুফ আলী হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণিতে। মহব্বত আলী বলেন, ‘বাবা অন্যের সমাজসেবা করতে গিয়ে নিজের সন্তানদের দিকে নজর রাখতে ভুলেই গেছেন।
বড় দুই বোনকে পড়াশোনা করাতে পারেননি। আমি এসএসসি পরীক্ষায় ভালো ফল করার পর ইচ্ছে ছিল রাজশাহী অথবা ঢাকার একটি ভালো কলেজে ভর্তি হব। বাবা-মা রাজি হননি। কারণ, আমি বাইরে পড়াশোনা করলে তাঁদের খরচ বেশি লাগবে।’
জিয়াউল হকের স্ত্রী ফরিদা বেগম বলেন, ‘স্বামীর উপার্জিত সমস্ত অর্থ সমাজসেবায় খরচ হয়ে যায়। এক বেলা খেয়ে আরেক বেলা কী খাব, তা-ও ঘরে থাকে না।’
ছেলেটিকে যে ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠাতে পারেননি, তা নিয়ে আফসোস আছে ফরিদা বেগমের। তিনি বলেন, ‘বেশি টাকা খরচ হবে, তাই বাইরে যেতে দেওয়া হয়নি ছেলেটিকে।’
আফসোস থাকলেও স্বামীর সম্মানে গর্ববোধ করেন ফরিদা। স্বামীর পরবর্তী সংকল্পের ঘোষণাও তিনি দিলেন, একুশে পদকের সঙ্গে যে অর্থ ও সম্মাননা দেওয়া হবে, পুরোটা বিলিয়ে দিতে চান জনগণের মাঝে।
জিয়াউল হকও তাঁর শুভ সংকল্পে অটল। তিনি বলেন, ‘যে টাকা উপার্জন করি, সবই তো মানুষের সেবায় চলে যায়। ছেলের পেছনে এত টাকা খরচ করলে তো মানুষের সেবায় বিঘ্ন ঘটবে। আমার প্রথম কাজ জনগণের জন্য, তারপর নিজের পরিবার।’
তবু ছেলেকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেন এই বাবা। বলেন, ‘ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও দুই মেয়েকে পড়াশোনা করাতে পারিনি। আশা আছে ছেলেকে পড়াশোনা করিয়ে জনগণের সেবায় কাজে লাগাব।’
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৮ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫