বেলাল হোসাইন, রামগড় (খাগড়াছড়ি)
খাগড়াছড়ির রামগড় পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বল্টুরামটিলা এলাকায় এখনো বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য খুঁটির পরিবর্তে ব্যবহার করা হচ্ছে জীবন্ত গাছ। প্রায় ২০ বছর ধরে এভাবেই জীবন্ত গাছকে বিদ্যুতের খুঁটি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে ২৪ আগস্ট দৈনিক আজকের পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। তখন আবাসিক প্রকৌশলী (আরই) গাছ থেকে ক্যাব্ল অপসারণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু ৪ মাসেও গাছ থেকে ক্যাব্ল অপসারণ করেনি কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই ৪ মাসে একবারের জন্যও পিডিবি থেকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে কেউ আসেনি। এতে যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তবে আবাসিক প্রকৌশলী বলছেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বিষয়টি নিয়ে কোনো আবেদন করেননি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বল্টুরাম টিলার মসজিদের সামনের একটি বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে গাছের সঙ্গে ক্যাব্ল বেঁধে বাসাবাড়ি ও দোকানপাটে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে রক্ষণাবেক্ষণ না থাকায় বৈদ্যুতিক লাইনগুলো ঝুলে মাটিতে এসে পড়েছে। ঝড়, বৃষ্টি কিংবা বাতাসে ক্যাব্ল ছিঁড়ে গেলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানিয়েছেন কয়েকজন বাসিন্দা।
স্থানীয় বাসিন্দা খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী অহিদুর রহমান জানান, মসজিদের সামনে থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার পর্যন্ত ৫০-৬০টি গাছের সঙ্গে বেঁধে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। গ্রামীণ সড়কের পাশে অবস্থিত গাছগুলো দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে। এলোমেলোভাবে ছড়িয়ে থাকায় যেকোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
স্থানীয় বাসিন্দা মৌলভি গোলাপ মিয়া (৭৫) জানান, প্রায় ২০ বছর ধরে এভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হচ্ছে। তাঁর ঘরের টিনের ওপর দিয়ে বিদ্যুতের লাইন নেওয়া হয়েছে। ফলে গত বছর তাঁর বাড়িতে আগুন লাগে। পিডিবিকে জানালেও তাঁরা কোনো প্রকার ব্যবস্থা নেয়নি।
রামগড় পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুল হক জানান, নিয়মের তোয়াক্কা না করে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছে পিডিবি। তারের কাছে থাকা গাছের ডাল দীর্ঘদিন কাটা হয়নি। সামান্য বাতাসেই ডালে আগুন ধরে যায়। তারগুলো খুব নিচে ঝুলে থাকায় গ্রামবাসী আতঙ্কে থাকে। পিডিবি থেকে কেউ পরিদর্শনে আসেনি।
রামগড় পিডিবির আবাসিক প্রকৌশলী (আরই) আহসান উল্ল্যাহ জানান, আজকের পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা কেউ তার সরানোর জন্য আবেদন করেননি। আবেদনের পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
এভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ ঝুঁকিপূর্ণ স্বীকার করে তিনি বলেন, বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে ১০০-২০০ ফুট দূরত্বের বেশি বিদ্যুৎ সরবরাহ করা উচিত নয়। লিখিত আবেদন করলে শিগগিরই গাছ থেকে লাইনগুলো সরিয়ে নতুন বৈদ্যুতিক পিলারে সেগুলো স্থাপন করে দেওয়া হবে।
রামগড় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ ত্রিপুরা জানান, স্থানীয় বাসিন্দারা বিষয়টি তাঁকে অবহিত করলে তিনি পিডিবিকে মৌখিকভাবে গাছ থেকে তার সরানোর জন্য অনুরোধ করেন।
খাগড়াছড়ির রামগড় পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বল্টুরামটিলা এলাকায় এখনো বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য খুঁটির পরিবর্তে ব্যবহার করা হচ্ছে জীবন্ত গাছ। প্রায় ২০ বছর ধরে এভাবেই জীবন্ত গাছকে বিদ্যুতের খুঁটি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে ২৪ আগস্ট দৈনিক আজকের পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। তখন আবাসিক প্রকৌশলী (আরই) গাছ থেকে ক্যাব্ল অপসারণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু ৪ মাসেও গাছ থেকে ক্যাব্ল অপসারণ করেনি কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই ৪ মাসে একবারের জন্যও পিডিবি থেকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে কেউ আসেনি। এতে যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তবে আবাসিক প্রকৌশলী বলছেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বিষয়টি নিয়ে কোনো আবেদন করেননি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বল্টুরাম টিলার মসজিদের সামনের একটি বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে গাছের সঙ্গে ক্যাব্ল বেঁধে বাসাবাড়ি ও দোকানপাটে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে রক্ষণাবেক্ষণ না থাকায় বৈদ্যুতিক লাইনগুলো ঝুলে মাটিতে এসে পড়েছে। ঝড়, বৃষ্টি কিংবা বাতাসে ক্যাব্ল ছিঁড়ে গেলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানিয়েছেন কয়েকজন বাসিন্দা।
স্থানীয় বাসিন্দা খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী অহিদুর রহমান জানান, মসজিদের সামনে থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার পর্যন্ত ৫০-৬০টি গাছের সঙ্গে বেঁধে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। গ্রামীণ সড়কের পাশে অবস্থিত গাছগুলো দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে। এলোমেলোভাবে ছড়িয়ে থাকায় যেকোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
স্থানীয় বাসিন্দা মৌলভি গোলাপ মিয়া (৭৫) জানান, প্রায় ২০ বছর ধরে এভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হচ্ছে। তাঁর ঘরের টিনের ওপর দিয়ে বিদ্যুতের লাইন নেওয়া হয়েছে। ফলে গত বছর তাঁর বাড়িতে আগুন লাগে। পিডিবিকে জানালেও তাঁরা কোনো প্রকার ব্যবস্থা নেয়নি।
রামগড় পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুল হক জানান, নিয়মের তোয়াক্কা না করে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছে পিডিবি। তারের কাছে থাকা গাছের ডাল দীর্ঘদিন কাটা হয়নি। সামান্য বাতাসেই ডালে আগুন ধরে যায়। তারগুলো খুব নিচে ঝুলে থাকায় গ্রামবাসী আতঙ্কে থাকে। পিডিবি থেকে কেউ পরিদর্শনে আসেনি।
রামগড় পিডিবির আবাসিক প্রকৌশলী (আরই) আহসান উল্ল্যাহ জানান, আজকের পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা কেউ তার সরানোর জন্য আবেদন করেননি। আবেদনের পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
এভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ ঝুঁকিপূর্ণ স্বীকার করে তিনি বলেন, বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে ১০০-২০০ ফুট দূরত্বের বেশি বিদ্যুৎ সরবরাহ করা উচিত নয়। লিখিত আবেদন করলে শিগগিরই গাছ থেকে লাইনগুলো সরিয়ে নতুন বৈদ্যুতিক পিলারে সেগুলো স্থাপন করে দেওয়া হবে।
রামগড় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ ত্রিপুরা জানান, স্থানীয় বাসিন্দারা বিষয়টি তাঁকে অবহিত করলে তিনি পিডিবিকে মৌখিকভাবে গাছ থেকে তার সরানোর জন্য অনুরোধ করেন।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
২০ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪