Ajker Patrika

ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে চলাচল

লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৩ নভেম্বর ২০২১, ১৭: ৪২
Thumbnail image

ভোলার লালমোহনে একটি সেতু দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় ভোগান্তিতে রয়েছেন তিন গ্রামের হাজারো মানুষ। এই তিন গ্রামের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা বেতুয়া খালের ওপর নির্মিত ঝুঁকিপূর্ণ সেতু। জরাজীর্ণ এই সেতুর ওপর দিয়ে প্রতিদিন রিকশা, সিএনজি চালিত গাড়ি, টেম্পু, মোটরসাইকেল ও মানুষজন চলাচল করছে। কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে যানবাহন চলাচলের সময় মাঝে মধ্যেই ঘটে দুর্ঘটনা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, লালমোহন উপজেলার লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে বেতুয়া খালের ওপর ঝুঁকিপূর্ণ আয়রন সেতু। সেতুটি ফাতেমাবাদ, চাঁদপুর ও অন্নদা প্রসাদ গ্রামের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা। তবে এটি জরাজীর্ণ থাকায় এখন মানুষজন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। সেতুটির উভয় পাশের রেলিং ভেঙে গেছে। এ ছাড়া স্ল্যাব ভেঙে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সেতুর চারপাশে ফাটল দেখে দিয়েছে। পুরো সেতুটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি যে কোনো সময় ধসে পড়তে পারে বলে স্থানীয়দের আশঙ্কা।

স্থানীয়রা বাঁশ ও কাঠ দিয়ে মেরামত করলেও মাঝে মধ্যেই ঘটছে দুর্ঘটনা। এতে প্রায় আহত হচ্ছে পথচারী, যাত্রী ও এলাকাবাসী। স্থানীয় বাসিন্দা মহিউদ্দিন ও নূরউদ্দিন জানান, প্রায় ৫-৬ বছর ধরে সেতুটি জরাজীর্ণ। গ্রামবাসী বাঁশ ও কাঠ দিয়ে সেতুটি মেরামত করে কোনো রকম চলাচলের উপযোগী করেছে, কিন্তু তাতেও যানবাহন চলাচলে ঘটছে দুর্ঘটনা। এই সেতুটি আমাদের একমাত্র ভরসা।

স্থানীয় বাসিন্দা সাহেব আলী বলেন, ‘বেতুয়া খালের ওপরের সেতুটি মেরামতের জন্য বারবার কর্তৃপক্ষকে জানালেও কাজ হয়নি। এতে দুর্ভোগে পড়েছে এলাকার মানুষ।’

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘সেতুটি ভাঙা থাকায় গ্রামের মানুষ অনেক ঝুঁকি নিয়ে বেতুয়া খাল পারাপার হয়। এটি দ্রুত মেরামত করা প্রয়োজন।’

লালমোহন উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘আয়রন সেতুটি ২০-২৫ বছর আগে নির্মিত হয়েছিল। বর্তমানে এটি জরাজীর্ণ হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ওই স্থানে নতুন করে একটি সেতু নির্মাণের জন্য একটি প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত