ঘিওর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
আজ পয়লা বৈশাখ। বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন। বাঙালির প্রাণের এ উৎসব ঘিরে মানিকগঞ্জের ঘিওরের বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে মেলা। আজ বৃহস্পতিবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলেও গতকাল বুধবার অর্থাৎ চৈত্রসংক্রান্তির দিন থেকেই মেলায় শুরু হয়েছে বেচাকেনা। মেলা ঘিরে বৈশাখী আমেজে মেতেছেন ঘিওরবাসী।
মেলার আয়োজক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত দুই বছর করোনাভাইরাসের কারণে মেলা বন্ধ ছিল। ফলে এসব পেশায় জড়িতরা অনেকটাই মানবেতর জীবন পার করেছেন। এবার উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ছোট-বড় মিলিয়ে ২০টি স্থানে মেলার আয়োজন করা হয়েছে। এক দিন থেকে তিন দিন পর্যন্ত চলবে এসব মেলা।
বৈশাখ উপলক্ষে এসব মেলাজুড়ে বসছে নানা দোকানপাট। এর মধ্যে তাঁতের কাপড়, রঙিন পাখা, হস্তশিল্প, মাটির তৈজসপত্র, শিশুদের খেলনা, সাজ, কদমা আর বাহারি মিষ্টির দোকান অন্যতম। তবে পবিত্র রমজান মাস থাকায় দিনের বেলা তেমন না জমলেও সন্ধ্যার পর লোকসমাগম বেশি হবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। মেলা উপলক্ষে চলছে তাঁদের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। অনেকে ইতিমধ্যেই মেলায় নিয়ে এসেছেন তাঁদের পণ্যসামগ্রী।
উপজেলার উপজেলার সিংজুরী, ঘিওর সদর ইউনিয়নের রাধাকান্তপুর, বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের পেঁচারকান্দা, পয়লা ইউনিয়নের পয়লা উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠ, নালী বাজারে আজ থেকে শুরু হয়েছে মেলা। এ মেলা চলবে তিন দিন। পয়লা উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে গিয়ে দেখা যায়, আজ থেকে মেলা শুরুর কথা থাকলেও গতকাল থেকেই বিক্রি শুরু হয়েছে। অধিকাংশ মেলারই এ অবস্থা।
এদিকে কয়েকটি জায়গায় এক দিনের জন্য শুধু নববর্ষের দিন মেলা বসে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো উপজেলা সদরের মাইলাঘী, তরা কালীগঙ্গা নদীর পাড়, পঞ্চ রাস্তা এলাকা, পুখুরিয়া স্বপ্নের মোড়ে। বৈশাখের দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ কাল শুক্রবার এক দিনের জন্য মেলা বসবে উপজেলার তেরশ্রী, বড় কুষ্টিয়া ও উত্তর তরা গ্রামে।
মেলার প্রস্তুতি সম্পর্কে জাবরা পালপাড়ার তরুণী পাল, সুখেন পাল ও রানী পাল জানান, তাঁরা প্রত্যেকেই মেলার জন্য মাটি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের খেলনা ও তৈজসপত্র তৈরি করেছেন। চাহিদার কথা চিন্তা করে পুতুল, ব্যাংক, আম, কাঁঠাল, হরিণ, ঘোড়া, হাতি, মাছ, ময়ূর, সিংহসহ শিশুদের হরেক রকম খেলনা তৈরি করেছেন। গৃহস্থালি পণ্যের মধ্যে হাঁড়ি, পাতিল, ঢাকনা, ঝাঁজর, কলসসহ নানা তৈজসপত্র তৈরি করেছেন। এ ছাড়া তৈরি করেছেন ঘর সাজানোর জন্য ফুলদানি, টবসহ নানা জিনিসপত্র।
হরেক রকমের মিষ্টি ছাড়া বৈশাখী মেলা কল্পনাও করতে পারেন না ঘিওরবাসী। উপজেলার ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি বিক্রির দোকান নিজাম সুইটমিটের ব্যবস্থাপক মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের মিষ্টির চাহিদা এমনিতেই ব্যাপক। এ ছাড়া পয়লা বৈশাখে অতিরিক্ত ৪০-৫০ মণ মিষ্টি বিক্রি বেশি হবে। তাই কারিগরেরা এখন ভীষণ ব্যস্ত।’
ঘিওর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান বলেন, তাঁত, হস্ত, মৃৎশিল্পী, কুটির শিল্প, মিষ্টির কারিগরসহ বৈশাখী উপলক্ষে ১০ হাজারের মতো লোকজন সম্পৃক্ত রয়েছে। তাঁদের বৈশাখজুড়ে থাকবে ব্যস্ততা। মূলত এই মাসকে টার্গেট করেই তাঁরা অপেক্ষায় থাকেন।
ঘিওর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হামিদুর রহমান বলেন, বৈশাখ মানেই বাঙালির প্রাণের উৎসব। নতুন বর্ষকে বরণের পাশাপাশি উৎসবকে পরিপূর্ণতা দেয় বৈশাখী মেলা। এসব পেশায় জড়িতরা অনেকটাই মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এসব শিল্পী ও কারিগরদের উন্নয়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছেন। পাশাপাশি সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। নইলে কালের আবর্তে হারিয়ে যাবে বাঙালির আদি ঐতিহ্য।
আজ পয়লা বৈশাখ। বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন। বাঙালির প্রাণের এ উৎসব ঘিরে মানিকগঞ্জের ঘিওরের বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে মেলা। আজ বৃহস্পতিবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলেও গতকাল বুধবার অর্থাৎ চৈত্রসংক্রান্তির দিন থেকেই মেলায় শুরু হয়েছে বেচাকেনা। মেলা ঘিরে বৈশাখী আমেজে মেতেছেন ঘিওরবাসী।
মেলার আয়োজক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত দুই বছর করোনাভাইরাসের কারণে মেলা বন্ধ ছিল। ফলে এসব পেশায় জড়িতরা অনেকটাই মানবেতর জীবন পার করেছেন। এবার উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ছোট-বড় মিলিয়ে ২০টি স্থানে মেলার আয়োজন করা হয়েছে। এক দিন থেকে তিন দিন পর্যন্ত চলবে এসব মেলা।
বৈশাখ উপলক্ষে এসব মেলাজুড়ে বসছে নানা দোকানপাট। এর মধ্যে তাঁতের কাপড়, রঙিন পাখা, হস্তশিল্প, মাটির তৈজসপত্র, শিশুদের খেলনা, সাজ, কদমা আর বাহারি মিষ্টির দোকান অন্যতম। তবে পবিত্র রমজান মাস থাকায় দিনের বেলা তেমন না জমলেও সন্ধ্যার পর লোকসমাগম বেশি হবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। মেলা উপলক্ষে চলছে তাঁদের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। অনেকে ইতিমধ্যেই মেলায় নিয়ে এসেছেন তাঁদের পণ্যসামগ্রী।
উপজেলার উপজেলার সিংজুরী, ঘিওর সদর ইউনিয়নের রাধাকান্তপুর, বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের পেঁচারকান্দা, পয়লা ইউনিয়নের পয়লা উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠ, নালী বাজারে আজ থেকে শুরু হয়েছে মেলা। এ মেলা চলবে তিন দিন। পয়লা উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে গিয়ে দেখা যায়, আজ থেকে মেলা শুরুর কথা থাকলেও গতকাল থেকেই বিক্রি শুরু হয়েছে। অধিকাংশ মেলারই এ অবস্থা।
এদিকে কয়েকটি জায়গায় এক দিনের জন্য শুধু নববর্ষের দিন মেলা বসে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো উপজেলা সদরের মাইলাঘী, তরা কালীগঙ্গা নদীর পাড়, পঞ্চ রাস্তা এলাকা, পুখুরিয়া স্বপ্নের মোড়ে। বৈশাখের দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ কাল শুক্রবার এক দিনের জন্য মেলা বসবে উপজেলার তেরশ্রী, বড় কুষ্টিয়া ও উত্তর তরা গ্রামে।
মেলার প্রস্তুতি সম্পর্কে জাবরা পালপাড়ার তরুণী পাল, সুখেন পাল ও রানী পাল জানান, তাঁরা প্রত্যেকেই মেলার জন্য মাটি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের খেলনা ও তৈজসপত্র তৈরি করেছেন। চাহিদার কথা চিন্তা করে পুতুল, ব্যাংক, আম, কাঁঠাল, হরিণ, ঘোড়া, হাতি, মাছ, ময়ূর, সিংহসহ শিশুদের হরেক রকম খেলনা তৈরি করেছেন। গৃহস্থালি পণ্যের মধ্যে হাঁড়ি, পাতিল, ঢাকনা, ঝাঁজর, কলসসহ নানা তৈজসপত্র তৈরি করেছেন। এ ছাড়া তৈরি করেছেন ঘর সাজানোর জন্য ফুলদানি, টবসহ নানা জিনিসপত্র।
হরেক রকমের মিষ্টি ছাড়া বৈশাখী মেলা কল্পনাও করতে পারেন না ঘিওরবাসী। উপজেলার ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি বিক্রির দোকান নিজাম সুইটমিটের ব্যবস্থাপক মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের মিষ্টির চাহিদা এমনিতেই ব্যাপক। এ ছাড়া পয়লা বৈশাখে অতিরিক্ত ৪০-৫০ মণ মিষ্টি বিক্রি বেশি হবে। তাই কারিগরেরা এখন ভীষণ ব্যস্ত।’
ঘিওর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান বলেন, তাঁত, হস্ত, মৃৎশিল্পী, কুটির শিল্প, মিষ্টির কারিগরসহ বৈশাখী উপলক্ষে ১০ হাজারের মতো লোকজন সম্পৃক্ত রয়েছে। তাঁদের বৈশাখজুড়ে থাকবে ব্যস্ততা। মূলত এই মাসকে টার্গেট করেই তাঁরা অপেক্ষায় থাকেন।
ঘিওর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হামিদুর রহমান বলেন, বৈশাখ মানেই বাঙালির প্রাণের উৎসব। নতুন বর্ষকে বরণের পাশাপাশি উৎসবকে পরিপূর্ণতা দেয় বৈশাখী মেলা। এসব পেশায় জড়িতরা অনেকটাই মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এসব শিল্পী ও কারিগরদের উন্নয়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছেন। পাশাপাশি সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। নইলে কালের আবর্তে হারিয়ে যাবে বাঙালির আদি ঐতিহ্য।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪