Ajker Patrika

কাউনিয়ায় সরিষার আবাদ বেড়ে হয়েছে ৪৮৫ হেক্টর

কাউনিয়া প্রতিনিধি
আপডেট : ২৬ জানুয়ারি ২০২২, ১২: ৩১
কাউনিয়ায় সরিষার আবাদ বেড়ে হয়েছে ৪৮৫ হেক্টর

কাউনিয়ার বিভিন্ন মাঠ ছেয়ে গেছে সরিষায়। উত্তুরে বাতাসে দোল খাচ্ছে হলুদ ফুল। কৃষকেরা এখন খেত পরিচর্যার কাজ করছেন।

উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কাউনিয়ায় এবার ৪৮৫ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ করেছেন চাষিরা। এর মধ্যে টরি-৭, বারি ১৪, ১৫, ১৭, ১৮, বিনা ৪ ও ৯ জাতসহ বিভিন্ন ধরনের সরিষা আবাদ করা হয়েছে। উপজেলায় গত বছরের চেয়ে এবার প্রায় ৫০ হেক্টর বেশি জমিতে ফসলটির চাষ হয়েছে।

স্থানীয় কৃষকেরা জানান, আমন ধান কাটার পর জমি তৈরি করে সরিষা আবাদ করা হয়। বীজ বপনের ৫৫ থেকে ৬০ দিনের মাথায় ফলন পাওয়া যায়।

রাজিব গ্রামের আব্দুল হাকিম জানান, সরিষা আবাদে এক বিঘা জমিতে দেড় হাজার টাকা খরচ হয়। গড়ে প্রতি বিঘা জমিতে ৪৫ কেজির হিসেবে প্রায় চার মণ সরিষা পাওয়া যায়। ভরা মৌসুমে প্রতি মণ সরিষা আড়াই থেকে ৩ হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়। গত বছর ভালো দাম পাওয়ায় এবার তিনি চার বিঘা জমিতে সরিষা আবাদ করেছেন।

গদাই গ্রামের কৃষক আব্দুল আউয়াল বলেন, ‘আমন ধান কাটার পর জমিগুলো পড়ে থাকে। জমি পতিত না রেখে সরিষা চাষ করি। এবারও চাষ করেছি। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবার ভালো ফলন পাওয়া যাবে।’

জমিতে সরিষা চাষের সময় সার প্রয়োগ করলে ইরি-বোরো আবাদে আর সার দিতে হয় না। সরিষা আবাদ কৃষকদের অনেক উপকার হয় বলে জানান পল্লীমারী গ্রামের শরিফুল ইসলাম।

সিংগার কুড়া গ্রামের কৃষক মতলেব বলেন, ‘সরিষা কাটাই-মাড়াই করে বিক্রি করে দেই। সেই টাকা দিয়ে বোরো আবাদের খরচ জোগান হয়। আমন আবাদের পর এটা বোনাস ফসল। স্বল্প খরচের সরিষা প্রান্তিক কৃষকদের অনেক উপকারে আসে।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহানাজ পারভীন জানান, চলতি মৌসুমে সরিষা চাষাবাদে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ৯৬০ কৃষকের মধ্যে বিনা মূল্যে ডিএপি ও পটাশ সার এবং বীজ বিতরণ করা হয়েছে। ভালো ফলনের জন্য কৃষি বিভাগের লোকজন প্রতিদিন মাঠে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে গত বছরের তুলনায় এবার সরিষার ভালো ফলন পাওয়া যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত