ফয়েজ আহমেদ, শাহরাস্তি (চাঁদপুর)
চাঁদপুরের শাহরাস্তির একসময়ের পরিচিত সেচযন্ত্র দোন ও সেঁউতি হারিয়ে যাচ্ছে। প্রযুক্তির উৎকর্ষের ফলে উপজেলার বহুল ব্যবহৃত এই কৃষিযন্ত্রের দেখা আর মেলে না। তবে মাটির উপরিভাগের পানির সঠিক ব্যবহারের জন্য এই ধরনের পরিবেশ বান্ধব সেচযন্ত্র গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন কৃষকেরা। এ ছাড়া এই যন্ত্র ভূগর্ভের পানির ব্যবহারও কমাতে পারে। এ জন্য নদী, খালসহ মাটির উপরিভাগে পর্যাপ্ত পানি থাকার ব্যবস্থা করা হবে।
আগের দিনে জমিতে সেচের জন্য টিন বা বাঁশের তৈরি সেঁউতি ও কাঠের দোন ব্যবহার করা হতো। স্থানীয়রা সেঁউতিকে ‘হেইত’ ও দোনকে ‘দোংগা’ বলে জানেন। এক সময় গ্রাম বাংলার কৃষিতে সেচযন্ত্র হিসেবে এর ব্যাপক চাহিদা ছিল। টিন বা বাঁশের চাটাই দিয়ে তৈরি সেঁউতি দিয়ে খাল বা নিচু জমি থেকে সেজ করা হতো। এ ছাড়া উঁচু-নিচু জমিতে সেচ দিতে কাঠের দোন ব্যবহার হতো।
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আম, কাঁঠাল গাছের মাঝের অংশ খুঁড়ে নালার মতো করে তৈরি হতো দোন। এ দিয়ে জমিতে সেচকাজ চলত। দোন দিয়ে সেচ দিতে শ্রমিকের খরচ ছাড়া বাড়তি কোনো খরচ হয় না। তা ছাড়া এটি সহজে বহনীয়। এ কারণে দোন দিয়ে সেচ দেওয়ায় স্বচ্ছন্দ বোধ করতেন চাষিরা।
এর ব্যবহার সম্পর্কে জানা গেছে, একটি বাঁশের শক্ত খুঁটি পুঁতে তার সঙ্গে লম্বা অন্য একটি বাঁশ বাঁধা হতো। এর এক অংশে দোনের মাথা, অন্য অংশে ভারসাম্য তৈরির জন্য মাটির ভরা বস্তা তুলে দেওয়া হয়। দোনটি পানিতে ডুবিয়ে তুললে এক সঙ্গে অনেক পানি উঠে আসে। এভাবে অনেকটা সময় সেচ দিলে জমিতে পানির চাহিদা মেটে।
উপজেলার শাহরাস্তি মডেল স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র মো. ফজলে নূর নেহাল জানায়, সে কখনো দোন বা সেঁউতি দেখেনি। তবে বই পড়ে জানতে পেরেছে এসব কৃষি কাজে ব্যবহার করা হয়।
নিজমেহার গ্রামের কৃষক মো. আবু ইউসুফ (৪৫) জানান, ‘আমি বাপ-দাদাদের দোন ও সেঁউতি ব্যবহার করে সেচকাজ করতে দেখেছি। এ জন্য শখের বশে একটি সেঁউতি তৈরি করে তা দিয়ে পানি সেচ দিয়েছি।’
একই গ্রামের মো. আলমাছ (৬৮) জানান, ‘আগে আমরা দোন-সেঁউতি দিয়েই সেচ চালাতাম। এখন আধুনিক অনেক যন্ত্রপাতি আসায় এগুলোর ব্যবহার হয় না।’
চাষিরা বলেন, আধুনিক যন্ত্র তাঁদের জন্য আশীর্বাদ হলেও গ্রামীণ ঐতিহ্যের ধারক-বাহক হিসেবে এই ধরনের সহজলভ্য কৃষিযন্ত্র ব্যবহারে উৎসাহিত করা উচিত।
চাঁদপুরের শাহরাস্তির একসময়ের পরিচিত সেচযন্ত্র দোন ও সেঁউতি হারিয়ে যাচ্ছে। প্রযুক্তির উৎকর্ষের ফলে উপজেলার বহুল ব্যবহৃত এই কৃষিযন্ত্রের দেখা আর মেলে না। তবে মাটির উপরিভাগের পানির সঠিক ব্যবহারের জন্য এই ধরনের পরিবেশ বান্ধব সেচযন্ত্র গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন কৃষকেরা। এ ছাড়া এই যন্ত্র ভূগর্ভের পানির ব্যবহারও কমাতে পারে। এ জন্য নদী, খালসহ মাটির উপরিভাগে পর্যাপ্ত পানি থাকার ব্যবস্থা করা হবে।
আগের দিনে জমিতে সেচের জন্য টিন বা বাঁশের তৈরি সেঁউতি ও কাঠের দোন ব্যবহার করা হতো। স্থানীয়রা সেঁউতিকে ‘হেইত’ ও দোনকে ‘দোংগা’ বলে জানেন। এক সময় গ্রাম বাংলার কৃষিতে সেচযন্ত্র হিসেবে এর ব্যাপক চাহিদা ছিল। টিন বা বাঁশের চাটাই দিয়ে তৈরি সেঁউতি দিয়ে খাল বা নিচু জমি থেকে সেজ করা হতো। এ ছাড়া উঁচু-নিচু জমিতে সেচ দিতে কাঠের দোন ব্যবহার হতো।
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আম, কাঁঠাল গাছের মাঝের অংশ খুঁড়ে নালার মতো করে তৈরি হতো দোন। এ দিয়ে জমিতে সেচকাজ চলত। দোন দিয়ে সেচ দিতে শ্রমিকের খরচ ছাড়া বাড়তি কোনো খরচ হয় না। তা ছাড়া এটি সহজে বহনীয়। এ কারণে দোন দিয়ে সেচ দেওয়ায় স্বচ্ছন্দ বোধ করতেন চাষিরা।
এর ব্যবহার সম্পর্কে জানা গেছে, একটি বাঁশের শক্ত খুঁটি পুঁতে তার সঙ্গে লম্বা অন্য একটি বাঁশ বাঁধা হতো। এর এক অংশে দোনের মাথা, অন্য অংশে ভারসাম্য তৈরির জন্য মাটির ভরা বস্তা তুলে দেওয়া হয়। দোনটি পানিতে ডুবিয়ে তুললে এক সঙ্গে অনেক পানি উঠে আসে। এভাবে অনেকটা সময় সেচ দিলে জমিতে পানির চাহিদা মেটে।
উপজেলার শাহরাস্তি মডেল স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র মো. ফজলে নূর নেহাল জানায়, সে কখনো দোন বা সেঁউতি দেখেনি। তবে বই পড়ে জানতে পেরেছে এসব কৃষি কাজে ব্যবহার করা হয়।
নিজমেহার গ্রামের কৃষক মো. আবু ইউসুফ (৪৫) জানান, ‘আমি বাপ-দাদাদের দোন ও সেঁউতি ব্যবহার করে সেচকাজ করতে দেখেছি। এ জন্য শখের বশে একটি সেঁউতি তৈরি করে তা দিয়ে পানি সেচ দিয়েছি।’
একই গ্রামের মো. আলমাছ (৬৮) জানান, ‘আগে আমরা দোন-সেঁউতি দিয়েই সেচ চালাতাম। এখন আধুনিক অনেক যন্ত্রপাতি আসায় এগুলোর ব্যবহার হয় না।’
চাষিরা বলেন, আধুনিক যন্ত্র তাঁদের জন্য আশীর্বাদ হলেও গ্রামীণ ঐতিহ্যের ধারক-বাহক হিসেবে এই ধরনের সহজলভ্য কৃষিযন্ত্র ব্যবহারে উৎসাহিত করা উচিত।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
২ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪