মো. বেলাল হোসাইন, রামগড় (খাগড়াছড়ি)
খাগড়াছড়ির রামগড়ে ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে চলছে লিকুয়িফাইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) ব্যবসা। সনদপত্র ও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছাড়াই ব্যাঙের ছাতার মতো পৌরসভার অলিগলিতে গড়ে উঠেছে এসব এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান। প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পুরো রামগড়ে বিস্ফোরকদ্রব্য বিক্রির লাইসেন্স রয়েছে মাত্র ৩টি। কিন্তু রামগড় সদর, সিনেমা হল, কালাডেবা এবং সোনাইপুল এলাকায় অন্তত ৬০টি দোকানে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে। সরকারি নীতিমালা না মেনে সার দোকান, মুদি দোকান, চা দোকান এবং প্রকাশ্যে রাস্তার পাশে এসব গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে। বেশির ভাগ দোকানে নেই এসব বিস্ফোরকদ্রব্য বিক্রির লাইসেন্স। আইনের তোয়াক্কা না করে প্রকাশ্যে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে তারা।
বিস্ফোরক পরিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করতে হলে ফায়ার সার্ভিস লাইসেন্স, জ্বালানি অধিদপ্তরের লাইসেন্স, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র, পৌরসভা কিংবা ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইসেন্স এবং অগ্নিনির্বাপণ সিলিন্ডার অবশ্যই থাকতে হবে। আলো-বাতাসপূর্ণ ঘরে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি এবং সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। এসব শর্ত পূরণ করলেই শুধু বিস্ফোরকদ্রব্য বিক্রির অনুমতি মিলবে।
২০০৩ সালের দাহ্য পদার্থ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি যদি লাইসেন্স না নিয়ে বিস্ফোরকদ্রব্যের ব্যবসা করেন, তবে তার তিন বছরের কারাদণ্ড ও অতিরিক্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার বিধান রয়েছে। প্রয়োজনে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সমস্ত মালামাল বাজেয়াপ্ত করা যাবে। কিন্তু এসবের কোনো কিছুই মানা হচ্ছে না রামগড়ে।
মেসার্স এ কে বি এন্টারপ্রাইজের ব্যবসায়ী পারেসুল ইসলাম বলেন, ‘শুধু তিনটি প্রতিষ্ঠানের বিস্ফোরকদ্রব্য বিক্রির পরিপূর্ণ লাইসেন্স রয়েছে। এর মধ্যে দুজন এখন ব্যবসা করেন না। দীর্ঘদিন ধরে লাইসেন্স করে ব্যবসা করছি। অথচ যত্রতত্র রাস্তার পাশে এসব সিলিন্ডার গ্যাস বিক্রির দোকান গড়ে উঠেছে। অবৈধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন থেকে কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়ায় এ ব্যবসার প্রসার ঘটছে। রামগড়ে বেশির ভাগ ব্যবসায়ীই বিস্ফোরক পরিদপ্তরের লাইসেন্স নেননি।’
জনসমাগমপূর্ণ সার (কীটনাশক) দোকানে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করছিলেন রাহিম মিয়া। তাঁকে অবৈধভাবে সিলিন্ডার গ্যাস বিক্রির ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে বিস্ফোরক পরিদপ্তরের লাইসেন্স রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। অথচ তাঁকে লাইসেন্স দেখাতে বললে তিনি তা দেখাতে পারেননি।
রামগড় ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউস ইন্সপেক্টর মো. ইফতেখার উদ্দীন বলেন, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ছাড়া এ ব্যবসা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে এসব বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে হাবিবা বলেন, ‘যত্রতত্র সিলিন্ডার গ্যাস বিক্রির বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। খুব দ্রুত ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অবৈধ সিলিন্ডার গ্যাস বিক্রি বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
খাগড়াছড়ির রামগড়ে ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে চলছে লিকুয়িফাইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) ব্যবসা। সনদপত্র ও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছাড়াই ব্যাঙের ছাতার মতো পৌরসভার অলিগলিতে গড়ে উঠেছে এসব এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান। প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পুরো রামগড়ে বিস্ফোরকদ্রব্য বিক্রির লাইসেন্স রয়েছে মাত্র ৩টি। কিন্তু রামগড় সদর, সিনেমা হল, কালাডেবা এবং সোনাইপুল এলাকায় অন্তত ৬০টি দোকানে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে। সরকারি নীতিমালা না মেনে সার দোকান, মুদি দোকান, চা দোকান এবং প্রকাশ্যে রাস্তার পাশে এসব গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে। বেশির ভাগ দোকানে নেই এসব বিস্ফোরকদ্রব্য বিক্রির লাইসেন্স। আইনের তোয়াক্কা না করে প্রকাশ্যে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে তারা।
বিস্ফোরক পরিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করতে হলে ফায়ার সার্ভিস লাইসেন্স, জ্বালানি অধিদপ্তরের লাইসেন্স, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র, পৌরসভা কিংবা ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইসেন্স এবং অগ্নিনির্বাপণ সিলিন্ডার অবশ্যই থাকতে হবে। আলো-বাতাসপূর্ণ ঘরে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি এবং সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। এসব শর্ত পূরণ করলেই শুধু বিস্ফোরকদ্রব্য বিক্রির অনুমতি মিলবে।
২০০৩ সালের দাহ্য পদার্থ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি যদি লাইসেন্স না নিয়ে বিস্ফোরকদ্রব্যের ব্যবসা করেন, তবে তার তিন বছরের কারাদণ্ড ও অতিরিক্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার বিধান রয়েছে। প্রয়োজনে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সমস্ত মালামাল বাজেয়াপ্ত করা যাবে। কিন্তু এসবের কোনো কিছুই মানা হচ্ছে না রামগড়ে।
মেসার্স এ কে বি এন্টারপ্রাইজের ব্যবসায়ী পারেসুল ইসলাম বলেন, ‘শুধু তিনটি প্রতিষ্ঠানের বিস্ফোরকদ্রব্য বিক্রির পরিপূর্ণ লাইসেন্স রয়েছে। এর মধ্যে দুজন এখন ব্যবসা করেন না। দীর্ঘদিন ধরে লাইসেন্স করে ব্যবসা করছি। অথচ যত্রতত্র রাস্তার পাশে এসব সিলিন্ডার গ্যাস বিক্রির দোকান গড়ে উঠেছে। অবৈধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন থেকে কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়ায় এ ব্যবসার প্রসার ঘটছে। রামগড়ে বেশির ভাগ ব্যবসায়ীই বিস্ফোরক পরিদপ্তরের লাইসেন্স নেননি।’
জনসমাগমপূর্ণ সার (কীটনাশক) দোকানে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করছিলেন রাহিম মিয়া। তাঁকে অবৈধভাবে সিলিন্ডার গ্যাস বিক্রির ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে বিস্ফোরক পরিদপ্তরের লাইসেন্স রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। অথচ তাঁকে লাইসেন্স দেখাতে বললে তিনি তা দেখাতে পারেননি।
রামগড় ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউস ইন্সপেক্টর মো. ইফতেখার উদ্দীন বলেন, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ছাড়া এ ব্যবসা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে এসব বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে হাবিবা বলেন, ‘যত্রতত্র সিলিন্ডার গ্যাস বিক্রির বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। খুব দ্রুত ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অবৈধ সিলিন্ডার গ্যাস বিক্রি বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৯ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪