ফুটবল বিশ্বকাপ শুরু হতে পাঁচ মাসও নেই। শুরু হয়েছে ফেবারিটদের প্রস্তুতি। আর বিশ্বকাপে আকর্ষণের কেন্দ্রে থাকা দলগুলোর অন্যতম ব্রাজিল। এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ পাঁচ বিশ্বকাপ জিতেছে তারা। তবে সেলেসাওরা ২০ বছর শিরোপাহীন। তবু শক্তি ও ঐতিহ্য বিবেচনায় কাতার বিশ্বকাপেও ফেবারিটের তালিকায় ওপরের দিকে থাকবে ব্রাজিলের নাম। কদিন আগে বিশ্বকাপে নিজেদের সম্ভাবনা ও প্রস্তুতি নিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানকে বিশেষ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ব্রাজিল কোচ তিতে। সেটির চুম্বকাংশ থাকল এখানে—
প্রশ্ন: বিশ্বকাপের আগ মুহূর্তে উদ্বেগ কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করছেন?
তিতে: আমি রোমাঞ্চিত তবে মনোযোগী। আমরা বিশ্বকাপে পৌঁছেছি, এখন সময় হচ্ছে ফাইনালে গিয়ে বিশ্বকাপ জেতার। এটাই সত্য। গতবার আমি কোচ ছিলাম পরিস্থিতির কারণে। কিন্তু এখন আমার চার বছরের চক্র পূরণ হয়েছে। প্রত্যাশা অনেক উঁচুতে তবে আমি কাজের ওপর মনোযোগী।
প্রশ্ন: আপনি কি কিছু নিয়ে ভয় পাচ্ছেন?
তিতে: আমরা যে চাপের মুখোমুখি হই সেটা সমস্যা; দায়িত্ব, পজিশনের চাপ এবং প্রত্যাশা। আমি যখন সমর্থক ছিলাম তখন দলের কাছ থেকে সেরাটা চাইতাম। সেটা আমাদের চালিত করে। তবে এখানে মানসিক স্বাস্থ্যও গুরুত্বপূর্ণ। আমি ভাবি (নেলসন) ম্যান্ডেলার সেই কথা, ‘সাহস হচ্ছে ভয়কে মোকাবিলার সক্ষমতা।’ যত সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছেন ভয় সেখানে ছিল। সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমারও নিজের ভয় আছে, দুঃস্বপ্ন আছে, শিহরণ আছে। ভয় তবে আতঙ্ক না। স্যার আলেক্স ফার্গুসন বলেছেন, মহান পেশাদাররা নিরন্তর উন্নতির জন্য নিজেদের সঙ্গেই লড়াই করেন। আপনি জানেন কেন? যদি আমি অন্যের সঙ্গে লড়াই করি, তবে হতাশ হয়ে পড়ব এবং আঘাত পাব। কিছু ক্ষেত্রে হয়তো আমি ভালো থাকব, তবে অন্য কিছুতে খারাপ। সুস্থ মানসিকতার সঙ্গে আমার ভালো থাকা জরুরি।
প্রশ্ন: গত বছর সমালোচিত হওয়ার পর কি কষ্ট পেয়েছিলেন?
তিতে: আমাদের বুঝতে সময় দরকার। আমাদের সঙ্গে ফল আছে। মানুষ কী আশা করে? আমরা বাছাইয়ে সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট পাওয়ার রেকর্ড ভেঙেছি। আমাদের সর্বোচ্চ ১২ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড ছিল। এখন ১৭ ম্যাচ হারিনি। সব মিলিয়ে ২৯ ম্যাচ। দক্ষিণ আমেরিকার বাছাইয়ে এটা কঠিন। আমরা ১৭ ম্যাচে আর্জেন্টিনার চেয়ে বেশি গোল করেছি। আমরা ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে উঠেছি। ২০১৯ সালের কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন। ২০২১ সালে দ্বিতীয় হয়েছি। আমরা বাছাইয়ে ১৭ ম্যাচের ১৩টিতে গোল খাইনি। আমাদের ম্যাচপ্রতি গোল ছিল ২ দশমিক ৫টি। আরেকটি বিষয় নিয়ে বলতে চাই, কেউই কোপা আমেরিকা খেলতে চায়নি। সবাই সভাপতিকে (ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন) সেটা বলেছিল।
প্রশ্ন: ব্রাজিল দল কি সবচেয়ে বেশি ঈর্ষার মুখোমুখি হয়?
তিতে: আমি আপনাকে একটা গল্প বলি। একজন ইতালিয়ান কোচ মিরান্দাকে (ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার) ২০১৮ সালের বিশ্বকাপে বেলজিয়ামের বিপক্ষে হারের পর তাঁকে কটাক্ষ করেছিল এই বলে, বেলজিয়ামের কাছে হেরে বিদায় নিতে কেমন লাগে? আমি এটা মিরান্দার কাছে শুনি। আমি মিরান্দাকে বলি, সে কখনো এই অনুভূতি বুঝতে পারবে না। সে কখনো ব্রাজিল বা তার দেশের মতো দলের কোচের দায়িত্ব পালন করেনি। এটা ঈর্ষা। সে কারণেই এটা বলেছে। অনেক মানুষ ব্রাজিলকে ঈর্ষা করে। তারা এটা বলে না। সম্ভবত এটাই বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ঈর্ষার মুখে পড়া দল।
প্রশ্ন: নেইমার কি আপনার সেরা খেলোয়াড়, নাকি এখন ভিনিসিয়ুসের সময়?
তিতে: নেইমার হচ্ছে নেইমার। সে আমাদের সবচেয়ে বড় তারকা। তবে এখন ব্যাপার হচ্ছে, তার আশপাশে কিছু তারকার উপস্থিতির কারণে ওর আভা কিছুটা কম দেখাতে পারে। নেইমারের মহত্ত্ব হচ্ছে, এই বাচ্চাদের বেড়ে ওঠার বিষয়টি সে বুঝতে পারে। সে ছেলেদের উৎসাহিত করে। সময় ও অভিজ্ঞতা পরিণত করে।
ফুটবল বিশ্বকাপ শুরু হতে পাঁচ মাসও নেই। শুরু হয়েছে ফেবারিটদের প্রস্তুতি। আর বিশ্বকাপে আকর্ষণের কেন্দ্রে থাকা দলগুলোর অন্যতম ব্রাজিল। এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ পাঁচ বিশ্বকাপ জিতেছে তারা। তবে সেলেসাওরা ২০ বছর শিরোপাহীন। তবু শক্তি ও ঐতিহ্য বিবেচনায় কাতার বিশ্বকাপেও ফেবারিটের তালিকায় ওপরের দিকে থাকবে ব্রাজিলের নাম। কদিন আগে বিশ্বকাপে নিজেদের সম্ভাবনা ও প্রস্তুতি নিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানকে বিশেষ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ব্রাজিল কোচ তিতে। সেটির চুম্বকাংশ থাকল এখানে—
প্রশ্ন: বিশ্বকাপের আগ মুহূর্তে উদ্বেগ কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করছেন?
তিতে: আমি রোমাঞ্চিত তবে মনোযোগী। আমরা বিশ্বকাপে পৌঁছেছি, এখন সময় হচ্ছে ফাইনালে গিয়ে বিশ্বকাপ জেতার। এটাই সত্য। গতবার আমি কোচ ছিলাম পরিস্থিতির কারণে। কিন্তু এখন আমার চার বছরের চক্র পূরণ হয়েছে। প্রত্যাশা অনেক উঁচুতে তবে আমি কাজের ওপর মনোযোগী।
প্রশ্ন: আপনি কি কিছু নিয়ে ভয় পাচ্ছেন?
তিতে: আমরা যে চাপের মুখোমুখি হই সেটা সমস্যা; দায়িত্ব, পজিশনের চাপ এবং প্রত্যাশা। আমি যখন সমর্থক ছিলাম তখন দলের কাছ থেকে সেরাটা চাইতাম। সেটা আমাদের চালিত করে। তবে এখানে মানসিক স্বাস্থ্যও গুরুত্বপূর্ণ। আমি ভাবি (নেলসন) ম্যান্ডেলার সেই কথা, ‘সাহস হচ্ছে ভয়কে মোকাবিলার সক্ষমতা।’ যত সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছেন ভয় সেখানে ছিল। সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমারও নিজের ভয় আছে, দুঃস্বপ্ন আছে, শিহরণ আছে। ভয় তবে আতঙ্ক না। স্যার আলেক্স ফার্গুসন বলেছেন, মহান পেশাদাররা নিরন্তর উন্নতির জন্য নিজেদের সঙ্গেই লড়াই করেন। আপনি জানেন কেন? যদি আমি অন্যের সঙ্গে লড়াই করি, তবে হতাশ হয়ে পড়ব এবং আঘাত পাব। কিছু ক্ষেত্রে হয়তো আমি ভালো থাকব, তবে অন্য কিছুতে খারাপ। সুস্থ মানসিকতার সঙ্গে আমার ভালো থাকা জরুরি।
প্রশ্ন: গত বছর সমালোচিত হওয়ার পর কি কষ্ট পেয়েছিলেন?
তিতে: আমাদের বুঝতে সময় দরকার। আমাদের সঙ্গে ফল আছে। মানুষ কী আশা করে? আমরা বাছাইয়ে সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট পাওয়ার রেকর্ড ভেঙেছি। আমাদের সর্বোচ্চ ১২ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড ছিল। এখন ১৭ ম্যাচ হারিনি। সব মিলিয়ে ২৯ ম্যাচ। দক্ষিণ আমেরিকার বাছাইয়ে এটা কঠিন। আমরা ১৭ ম্যাচে আর্জেন্টিনার চেয়ে বেশি গোল করেছি। আমরা ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে উঠেছি। ২০১৯ সালের কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন। ২০২১ সালে দ্বিতীয় হয়েছি। আমরা বাছাইয়ে ১৭ ম্যাচের ১৩টিতে গোল খাইনি। আমাদের ম্যাচপ্রতি গোল ছিল ২ দশমিক ৫টি। আরেকটি বিষয় নিয়ে বলতে চাই, কেউই কোপা আমেরিকা খেলতে চায়নি। সবাই সভাপতিকে (ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন) সেটা বলেছিল।
প্রশ্ন: ব্রাজিল দল কি সবচেয়ে বেশি ঈর্ষার মুখোমুখি হয়?
তিতে: আমি আপনাকে একটা গল্প বলি। একজন ইতালিয়ান কোচ মিরান্দাকে (ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার) ২০১৮ সালের বিশ্বকাপে বেলজিয়ামের বিপক্ষে হারের পর তাঁকে কটাক্ষ করেছিল এই বলে, বেলজিয়ামের কাছে হেরে বিদায় নিতে কেমন লাগে? আমি এটা মিরান্দার কাছে শুনি। আমি মিরান্দাকে বলি, সে কখনো এই অনুভূতি বুঝতে পারবে না। সে কখনো ব্রাজিল বা তার দেশের মতো দলের কোচের দায়িত্ব পালন করেনি। এটা ঈর্ষা। সে কারণেই এটা বলেছে। অনেক মানুষ ব্রাজিলকে ঈর্ষা করে। তারা এটা বলে না। সম্ভবত এটাই বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ঈর্ষার মুখে পড়া দল।
প্রশ্ন: নেইমার কি আপনার সেরা খেলোয়াড়, নাকি এখন ভিনিসিয়ুসের সময়?
তিতে: নেইমার হচ্ছে নেইমার। সে আমাদের সবচেয়ে বড় তারকা। তবে এখন ব্যাপার হচ্ছে, তার আশপাশে কিছু তারকার উপস্থিতির কারণে ওর আভা কিছুটা কম দেখাতে পারে। নেইমারের মহত্ত্ব হচ্ছে, এই বাচ্চাদের বেড়ে ওঠার বিষয়টি সে বুঝতে পারে। সে ছেলেদের উৎসাহিত করে। সময় ও অভিজ্ঞতা পরিণত করে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪