Ajker Patrika

রৌমারীতে বালুচরে বেড়েছে পেঁয়াজের চাষ

রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৯ মার্চ ২০২২, ১২: ৫১
রৌমারীতে বালুচরে বেড়েছে পেঁয়াজের চাষ

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় চরাঞ্চলে বেড়েছে পেঁয়াজের চাষ। চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি পরিমাণ জমিতে পেঁয়াজ আবাদ করা হয়েছে। এবছর রৌমারীতে ২৫৪ হেক্টরের বেশি জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করা হয়েছে।

চরাঞ্চলের কৃষকেরা বলছেন, চরের বেলে মাটিতে ছিটানো পেঁয়াজের ফলন ভালো হয়। তাই তারা চরের জমিতে পেঁয়াজের চাষাবাদ করছেন।

রৌমারী উপজেলা কৃষি অফিস বলছে, উপজেলায় গত বছর ১৬৩ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করা হয়েছিল। চলতি মৌসুমে ২৫৪ হেক্টরের বেশি জমিতে পেঁয়াজের চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে চারা পেঁয়াজ ৯০ হেক্টর, কমবো পেঁয়াজ ১২ হেক্টর, বীজ ১৫২ হেক্টর। এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক জমিতে পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে।

উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়নের ফলুয়ারচর, কুটিরচর, পালেরচর, চরবন্দবেড় বাইসপাড়া, রৌমারী ইউনিয়নের চরইছাকুড়ি, কান্দাপাড়া, যাদুরচর ইউনিয়নের চরপাখিউড়া, চরশৌলমারী ইউনিয়নের খেদাইমারী, চরঘুঘুমারী, পাখিউড়া ও দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের চরইটালুকান্দা, কাজাইকাটা, চরগয়টাপাড়া গ্রামের মাঠে বেশি পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার চরাঞ্চলের ধু-ধু বালুচরে সবুজের সমারোহ। দক্ষিণা বাতাসে উড়ছে চরের ধুলা। সেই ধুলা উপেক্ষা করে পেঁয়াজের পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষকেরা। নাকে মুখে ধুলা ঢোকার কারণে দেখা দিয়েছে শ্রমিক সংকট। কৃষকেরা অতিরিক্ত মূল্যে শ্রমিক সংগ্রহ করে দ্রুত নিড়ানি ও সেচ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।

ফলুয়ারচর গ্রামের পেঁয়াজ চাষি আবু ছাঈদ খাঁন, আলম পাইকের, রাজা মিয়াসহ অনেকেই বলেন, প্রতিদিন পেঁয়াজের জমিতে নিড়ানি ও সেচ দেওয়ার কাজ করা হচ্ছে। একটি জমিতে সেচ দিতে হয়। নিড়ানি দিতে হয়। শ্রমিক প্রতি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা করে প্রতিদিন মজুরি দিতে হয়। এক সপ্তাহের মধ্যেই সেচ ও নিড়ানির কাজ সম্পন্ন হবে জানান তাঁরা।

কুটিরচর গ্রামের পেঁয়াজ চাষি কৃষক সামছুল খাঁ, আফছার আলী, আব্দুল লতিফ, ও আব্দুস ছবুর বলেন-গত বছর পেঁয়াজের দাম ভালো পাওয়ায় এবার কৃষকেরা পেঁয়াজ চাষে ঝুঁকেছেন। তা ছাড়া পেঁয়াজ চাষে খরচ কম, লাভ বেশি।

পেঁয়াজ চাষি ছালাম শেখ বলেন, তিনি ১১ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছেন। তাঁর প্রতি বিঘায় খরচ হয়েছে ২০ হাজার টাকা। ভালো ফলন হলে ৬০ থেকে ৮০ মণ পেঁয়াজ পাবেন। এতে প্রতিমণ পেঁয়াজ বিক্রি করে ভালো টাকা পাবেন।

রৌমারী উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবুল হাসেম বলেন, এ উপজেলায় গতবছর ১৬৩ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করা হয়েছিল। চলতি মৌসুমে ২৫৪ হেক্টরের বেশি জমিতে পেঁয়াজের চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে চারা পেঁয়াজ ৯০ হেক্টর, কমবো পেঁয়াজ ১২ হেক্টর, বীজ ১৫২ হেক্টর। এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক জমিতে পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, আবহাওয়ার অনুকূল পরিবেশ থাকার কারণে চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক জমিতে পেঁয়াজের চাষ হয়েছে। তিনি আরও বলেন, কৃষকদের পেঁয়াজ চাষে প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত