Ajker Patrika

সামান্য বৃষ্টিতে সড়কে ভোগান্তি

আরিফুল হক তারেক, মুলাদী
আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০২১, ১১: ৩৪
সামান্য বৃষ্টিতে সড়কে ভোগান্তি

অল্প বৃষ্টিতেই সোনামদ্দিন-রামচর লঞ্চঘাটর সড়কে পানি জমে কাঁদা হয়ে যায়। এতে আশপাশের গ্রামগুলোর মানুষেরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। ভাঙা সড়কে শুকনো মৌসুমে কোনোমতে চলাচল করা গেলেও বৃষ্টিতে সমস্যা প্রবল হয়। ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে দুই দিনের বর্ষণে সড়কটির অবস্থা ভয়ানক হয়ে পড়েছে বলে জানান ভুক্তভোগীরা। জানা যায়, বাটামারা ও সফিপুর দুই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) মধ্যে পড়েছে সড়কটি।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে সোনামদ্দিন-রামচর লঞ্চঘাট সড়কটি সংস্কার না করায় বিভিন্ন স্থানে ভেঙে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এই ভাঙা সড়ক দিয়েই প্রতিদিন স্থানীয় লোকজন, ব্যবসায়ী ও লঞ্চযাত্রীরা যাতায়াত করছেন।

জানা গেছে, সোনামদ্দিন বন্দর থেকে রামচর লঞ্চঘাট পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৪ কিলোমিটার সড়ক। এর রামচর লঞ্চঘাট অংশের প্রায় এক কিলোমিটার পিচঢালাই করা হয়েছে। বাকি সাড়ে তিন কিলোমিটার সড়কে ইট বসানো হয়।

চরকালেখান কলেজের শিক্ষক এ কে এম আরিফ বলেন, ‘আমি প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করি। দীর্ঘদিন ধরে সড়কে খানাখন্দ ও কাদার সৃষ্টি হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের কারণে দুই দিনের গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

সোনামদ্দিন বন্দরের ব্যবসায়ী আবুল কালাম বলেন, ব্যবসায়ীদের পণ্য পরিবহন ও ক্রেতাদের জন্য সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সড়কটির বিভিন্ন স্থানে ভেঙে যাওয়ায় ভ্যান, অটোরিকশা চলাচল করতে পারছে না। এতে ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের সমস্যা হচ্ছে।

সফিপুর ইউপির চেয়ারম্যান আবু মুছা হিমু মুন্সী বলেন, সড়কটি সফিপুর ইউনিয়নের আওতায় যে অংশ পড়েছে তা সংস্কারের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল দপ্তরের তালিকা দেওয়া হয়েছে।

বাটামারা ইউপির চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম সিকদার জানান, এসব কাজ এলজিইডি থেকে করা হয়। ভাঙা সড়কটি সংস্কারের জন্য ওই দপ্তরে চাহিদা দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল দপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী জিয়াউর রহমান বলেন, উপজেলার ভাঙা সড়কগুলো সংস্কারের জন্য বরিশাল নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে চাহিদা দেওয়া আছে। বরাদ্দ হলে সংস্কারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত