জিআরই বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন ইটিএস অনুমোদিত পরীক্ষা কেন্দ্রে অনলাইনে নেওয়া হয় এবং পরীক্ষার জন্য নিবন্ধন করতে প্রায় ২০৫ ডলার খরচ হয়। যে কেউ ইটিএস অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনে নিবন্ধন করতে পারেন। সম্প্রতি কিছু আইন ও ব্যবসায়িক স্কুলও GMAT বা LSAT-এর পরিবর্তে জিআরই গ্রহণ করা শুরু করেছে।
পরীক্ষার বিবরণ
জিআরই পরীক্ষা প্রায় ৪ ঘণ্টা সময় ধরে হয়ে থাকে। ঢাকায়, আমেরিকান অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন (এএএ), ডেলটা ডাহলিয়া টাওয়ার ও ইউএস সফটওয়্যার লিমিটেড, পান্থপথে জিআরই পরীক্ষা দেওয়া যাবে। ২১ দিনে একবার এবং ১২ মাস সময়ের মধ্যে পাঁচবার পরীক্ষা দেওয়া যাবে। একটি জিআরই পরীক্ষায় পাঁচটি বিভাগ হয়ে থাকে। একটি বিশ্লেষণমূলক লেখার অংশ, যা দুটি ৩০ মিনিটের টাস্ক (৬০ মিনিট) নিয়ে গঠিত। এই বিভাগে এক ঘণ্টার মধ্যে দুটি প্রবন্ধ লিখতে হবে, রচনাগুলো ETS ওয়েবসাইটে তালিকাভুক্ত পুল থেকে হতে হবে। দুটি প্রশ্ন মৌখিক ক্ষমতা বিভাগ (৩০ মিনিট প্রতিটি) এবং দুটি প্রশ্ন পরিমাণগত ক্ষমতা বিভাগ (৩৫ মিনিট প্রতিটি)। মৌখিক ও পরিমাণগত বিভাগ যেকোনো ক্রমে আসতে পারে। জিআরইর জন্য কোনো আংশিক ক্রেডিট নেই।
জিআরই প্রস্তুতি
জিআরই প্রস্তুতি কিছুটা কঠিন হলেও সঠিক নির্দেশনা এবং মানসম্পন্ন কোর্স উপকরণ থাকলে যে কেউ ভালো করতে পারে। মাত্র এক বা দুই সপ্তাহ পড়াশোনা করে জিআরইতে ভালো করা প্রায় অসম্ভব। একজন পরীক্ষার্থীকে পদ্ধতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে এবং ভুলগুলো সংশোধন করার ক্ষমতা থাকতে হবে। কেউ যদি ধাপে ধাপে প্রস্তুতির পদ্ধতি অনুসরণ করেন, তাহলে জিআরইর জন্য ভালোভাবে প্রস্তুতি নেওয়া সত্যিই সহজ:
পরীক্ষার দিন
পরীক্ষার দিনটি আপনার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যথাযথ প্রস্তুতি নিয়েছেন কিন্তু আপনি যদি পরীক্ষার দিন ভালো না অনুভব করেন বা নার্ভাসনেসের কারণে গোলমাল পাকিয়ে ফেলেন, তবে এত পরিশ্রম বৃথা। পরীক্ষার আগের রাতে একটি ভালো ঘুম আবশ্যক। এ ছাড়া কমপক্ষে এক ঘণ্টা হাতে রেখে পরীক্ষাকেন্দ্রের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। কঠিন প্রশ্নগুলোতে আটকে থেকে সময় নষ্ট না করে অন্য প্রশ্নের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যতটা সম্ভব সঠিক উত্তর করতে হবে।
গড় জিআরই স্কোর ৩০০-৩০৫ পর্যন্ত। ৩০০ পাওয়া আপনাকে নির্দিষ্ট কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তি হতে সাহায্য করতে পারে, যেখানে শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য ৩২৫ বা তার বেশি স্কোর প্রয়োজন।
পরীক্ষার পরে
আপনি পরীক্ষা দেওয়ার পরেই অনানুষ্ঠানিক ফলাফল দেখতে পাবেন। পরীক্ষার পরে আপনি বিনা মূল্যে আপনার স্কোর ৪টি প্রতিষ্ঠানে পাঠাতে পারেন। পরীক্ষার ১৪ দিন পরে অফিশিয়াল স্কোর আপলোড করা হয় এবং আপনি ফলাফল দেখতে পারেন। আপনি প্রতিবার ২৭ ডলারে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কোর পাঠাতে পারেন। কোনো ভালো বা খারাপ GRE স্কোর নেই। গড় জিআরই স্কোর ৩০০-৩০৫ পর্যন্ত। ৩০০ পাওয়া আপনাকে নির্দিষ্ট কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তি হতে সাহায্য করতে পারে, যেখানে শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য ৩২৫ বা তার বেশি স্কোর প্রয়োজন। স্কোর অনুসারে উপযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন করা এবং আবেদন করা ভর্তির সম্ভাবনা বৃদ্ধির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটাও মনে রাখা জরুরি যে জিআরই হলো ভর্তির অনেকগুলোর মধ্যে শুধু একটি মাপকাঠি। ভর্তির আবেদনের ক্ষেত্রে লেটার অফ রেকমেন্ডেশন, জিপিএ, আইইএলটিএস বা টোফেল স্কোর, কাজের অভিজ্ঞতা এবং গবেষণা প্রকাশনা সংযুক্ত করলে আবেদন গৃহীত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এ ছাড়া অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, যেগুলো তাদের ভর্তির জন্য জিআরই ছাড় দিচ্ছে, সেগুলোও একবার দেখে নিলে ভালো ধারণা পাওয়া যায়।
অনুলিখন: জুবায়ের আহম্মেদ
জিআরই বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন ইটিএস অনুমোদিত পরীক্ষা কেন্দ্রে অনলাইনে নেওয়া হয় এবং পরীক্ষার জন্য নিবন্ধন করতে প্রায় ২০৫ ডলার খরচ হয়। যে কেউ ইটিএস অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনে নিবন্ধন করতে পারেন। সম্প্রতি কিছু আইন ও ব্যবসায়িক স্কুলও GMAT বা LSAT-এর পরিবর্তে জিআরই গ্রহণ করা শুরু করেছে।
পরীক্ষার বিবরণ
জিআরই পরীক্ষা প্রায় ৪ ঘণ্টা সময় ধরে হয়ে থাকে। ঢাকায়, আমেরিকান অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন (এএএ), ডেলটা ডাহলিয়া টাওয়ার ও ইউএস সফটওয়্যার লিমিটেড, পান্থপথে জিআরই পরীক্ষা দেওয়া যাবে। ২১ দিনে একবার এবং ১২ মাস সময়ের মধ্যে পাঁচবার পরীক্ষা দেওয়া যাবে। একটি জিআরই পরীক্ষায় পাঁচটি বিভাগ হয়ে থাকে। একটি বিশ্লেষণমূলক লেখার অংশ, যা দুটি ৩০ মিনিটের টাস্ক (৬০ মিনিট) নিয়ে গঠিত। এই বিভাগে এক ঘণ্টার মধ্যে দুটি প্রবন্ধ লিখতে হবে, রচনাগুলো ETS ওয়েবসাইটে তালিকাভুক্ত পুল থেকে হতে হবে। দুটি প্রশ্ন মৌখিক ক্ষমতা বিভাগ (৩০ মিনিট প্রতিটি) এবং দুটি প্রশ্ন পরিমাণগত ক্ষমতা বিভাগ (৩৫ মিনিট প্রতিটি)। মৌখিক ও পরিমাণগত বিভাগ যেকোনো ক্রমে আসতে পারে। জিআরইর জন্য কোনো আংশিক ক্রেডিট নেই।
জিআরই প্রস্তুতি
জিআরই প্রস্তুতি কিছুটা কঠিন হলেও সঠিক নির্দেশনা এবং মানসম্পন্ন কোর্স উপকরণ থাকলে যে কেউ ভালো করতে পারে। মাত্র এক বা দুই সপ্তাহ পড়াশোনা করে জিআরইতে ভালো করা প্রায় অসম্ভব। একজন পরীক্ষার্থীকে পদ্ধতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে এবং ভুলগুলো সংশোধন করার ক্ষমতা থাকতে হবে। কেউ যদি ধাপে ধাপে প্রস্তুতির পদ্ধতি অনুসরণ করেন, তাহলে জিআরইর জন্য ভালোভাবে প্রস্তুতি নেওয়া সত্যিই সহজ:
পরীক্ষার দিন
পরীক্ষার দিনটি আপনার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যথাযথ প্রস্তুতি নিয়েছেন কিন্তু আপনি যদি পরীক্ষার দিন ভালো না অনুভব করেন বা নার্ভাসনেসের কারণে গোলমাল পাকিয়ে ফেলেন, তবে এত পরিশ্রম বৃথা। পরীক্ষার আগের রাতে একটি ভালো ঘুম আবশ্যক। এ ছাড়া কমপক্ষে এক ঘণ্টা হাতে রেখে পরীক্ষাকেন্দ্রের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। কঠিন প্রশ্নগুলোতে আটকে থেকে সময় নষ্ট না করে অন্য প্রশ্নের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যতটা সম্ভব সঠিক উত্তর করতে হবে।
গড় জিআরই স্কোর ৩০০-৩০৫ পর্যন্ত। ৩০০ পাওয়া আপনাকে নির্দিষ্ট কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তি হতে সাহায্য করতে পারে, যেখানে শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য ৩২৫ বা তার বেশি স্কোর প্রয়োজন।
পরীক্ষার পরে
আপনি পরীক্ষা দেওয়ার পরেই অনানুষ্ঠানিক ফলাফল দেখতে পাবেন। পরীক্ষার পরে আপনি বিনা মূল্যে আপনার স্কোর ৪টি প্রতিষ্ঠানে পাঠাতে পারেন। পরীক্ষার ১৪ দিন পরে অফিশিয়াল স্কোর আপলোড করা হয় এবং আপনি ফলাফল দেখতে পারেন। আপনি প্রতিবার ২৭ ডলারে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কোর পাঠাতে পারেন। কোনো ভালো বা খারাপ GRE স্কোর নেই। গড় জিআরই স্কোর ৩০০-৩০৫ পর্যন্ত। ৩০০ পাওয়া আপনাকে নির্দিষ্ট কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তি হতে সাহায্য করতে পারে, যেখানে শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য ৩২৫ বা তার বেশি স্কোর প্রয়োজন। স্কোর অনুসারে উপযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন করা এবং আবেদন করা ভর্তির সম্ভাবনা বৃদ্ধির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটাও মনে রাখা জরুরি যে জিআরই হলো ভর্তির অনেকগুলোর মধ্যে শুধু একটি মাপকাঠি। ভর্তির আবেদনের ক্ষেত্রে লেটার অফ রেকমেন্ডেশন, জিপিএ, আইইএলটিএস বা টোফেল স্কোর, কাজের অভিজ্ঞতা এবং গবেষণা প্রকাশনা সংযুক্ত করলে আবেদন গৃহীত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এ ছাড়া অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, যেগুলো তাদের ভর্তির জন্য জিআরই ছাড় দিচ্ছে, সেগুলোও একবার দেখে নিলে ভালো ধারণা পাওয়া যায়।
অনুলিখন: জুবায়ের আহম্মেদ
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪