ফারুক ছিদ্দিক, ঢাবি
হলের গণরুমে উঠে একপর্যায়ে সিট বরাদ্দ পান। বরাদ্দ অনুযায়ী বিছানাপত্র নিয়ে উঠেও যান সিটে। কিন্তু সেই সিট থেকে ফের তাঁদের নামিয়ে দেওয়া হয়েছে গণরুমেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ভুক্তভোগী কয়েকজন শিক্ষার্থী এমন অভিযোগ করেছেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, হলে সিটসংকট তো রয়েছেই। তা ছাড়া, হলের সিকদার মনোয়ারা ভবনটি বেশ পুরোনো ও ঝুঁকিপূর্ণ, যেখানে হলের প্রায় ২০০ ছাত্রী থাকছেন। ওই ভবনে প্রয়োজনের তুলনায় খুব কম ওয়াশরুম রয়েছে। এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এসব ছাত্রীর। এক ছাত্রী বলেন, ‘জগন্নাথ হল ট্র্যাজেডির মতো আরেকটি ট্র্যাজেডির আশঙ্কা রয়েছে বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলে। প্রশাসনের এমন নীরবতায় যেকোনো সময় বড় বিপদ হতে পারে। আমরা এই দুরবস্থা থেকে মুক্তি চাই। প্রশাসনের এ বিষয়ে অতি দ্রুত সতর্ক হওয়া উচিত।’
২০১৮-১৯ সেশনের এক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমাদের সিট দিতে না পারলে বরাদ্দ কেন দেওয়া হয়? ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে আতঙ্ক নিয়ে থাকতে তো আর আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হইনি। সিট থেকে নামিয়ে দিয়ে হল প্রশাসন আমাদের সঙ্গে তামাশা করেছে।’
আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা পলিটিক্যালি (রাজনৈতিক বিবেচনায়) সিটে উঠেছি। তার মানে এই নয়, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নই। আমাদের ব্যাচের ২০০ জনের মধ্যে ১৭০ জনের বেশি সিট পেয়ে গেছে। অথচ আমাদের ২৪ জনের ক্ষেত্রে এমনটা করা হয়েছে। এমনকি আমরা এখন গণরুমে যাদের সঙ্গে থাকছি, তারা ছোট হলেও সিট পেয়ে যাবে হয়তো।’
আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আবাসিক শিক্ষকদের নির্দেশনা অনুযায়ী, আমরা সবার নাম, বিভাগ, মোবাইল ফোন নম্বর পাঠিয়েছিলাম। হলে আসার পর ১০-১২ জনকে সিট দিয়েছে। কিন্তু কিছুদিন পরেই আবার নতুন কয়েকজনকে বরাদ্দ দিয়ে তাঁদের সিট দিয়ে আমাদের গণরুমে পাঠানো হলো। এটা বৈষম্য, অমানবিকতা।’
হল সূত্রে জানা গেছে, হলের শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ উপাচার্য বা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিদের অনুরোধে বিশেষ বিবেচনায় সিট পেয়ে থাকেন। আবার অনেকেই ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠনের হাত ধরে রাজনৈতিক বিবেচনায় ওঠেন।
হলে সিট পাওয়া ২০১৯-২০ সেশনের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমি বিশেষ বিবেচনায় হলে থাকতে পারছি, কারণ আমার সিট বৈধ নয়। আপাতত হলের অতিথিকক্ষে থাকছি।’
সিকদার মনোয়ার ভবনের দায়িত্বে থাকা হলের আবাসিক শিক্ষক ঈলা ইসমাইল বলেন, ‘আমরা ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের বিষয়ে উপাচার্যকে চিঠি দিয়েছি। আশা করি, সমাধান হবে।’
এই আবাসিক শিক্ষক আরও বলেন, ‘সত্যি বলতে আমরা কাউকেই ঝুঁকিতে রাখতে চাই না। তবে বিশ্ববিদ্যালয়েরও কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। হঠাৎ করে তো আর নতুন ভবন করা সম্ভব নয়। ঠিকমতো পরিকল্পনা করে নতুন ভবন করতে হবে। তখন হয়তো এমনি এমনিই এ ধরনের সমস্যাগুলো সমাধান হয়ে যাবে।’
হলের ২৪ ছাত্রীকে সিট থেকে নামিয়ে ফের গণরুমে পাঠানোর অভিযোগ নিয়ে জানতে চাইলে আবাসিক শিক্ষক ঈলা ইসমাইল বলেন, ‘রাজনৈতিক কিছু কারণে এমন হয়ে থাকতে পারে। তবে ভবিষ্যতে অবশ্যই আমরা এসব বিষয় খেয়াল রাখব।’
বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফরিদা পারভীন বলেন, ‘হল প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। আশা করি, আলোচনা করে শিগগির এসব সমাধান করা যাবে।’
হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. নাজমুন নাহার বলেন, ‘আমাদের সিটসংকট তো রয়েছেই। যে কারণে এসব সমস্যা তৈরি হয়। নতুন বছরে আমরা সার্বিক দিক বিবেচনা করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের সিট বরাদ্দ দেব। তখন হয়তো এমন অভিযোগ কেউ করবে না।’
হলের গণরুমে উঠে একপর্যায়ে সিট বরাদ্দ পান। বরাদ্দ অনুযায়ী বিছানাপত্র নিয়ে উঠেও যান সিটে। কিন্তু সেই সিট থেকে ফের তাঁদের নামিয়ে দেওয়া হয়েছে গণরুমেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ভুক্তভোগী কয়েকজন শিক্ষার্থী এমন অভিযোগ করেছেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, হলে সিটসংকট তো রয়েছেই। তা ছাড়া, হলের সিকদার মনোয়ারা ভবনটি বেশ পুরোনো ও ঝুঁকিপূর্ণ, যেখানে হলের প্রায় ২০০ ছাত্রী থাকছেন। ওই ভবনে প্রয়োজনের তুলনায় খুব কম ওয়াশরুম রয়েছে। এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এসব ছাত্রীর। এক ছাত্রী বলেন, ‘জগন্নাথ হল ট্র্যাজেডির মতো আরেকটি ট্র্যাজেডির আশঙ্কা রয়েছে বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলে। প্রশাসনের এমন নীরবতায় যেকোনো সময় বড় বিপদ হতে পারে। আমরা এই দুরবস্থা থেকে মুক্তি চাই। প্রশাসনের এ বিষয়ে অতি দ্রুত সতর্ক হওয়া উচিত।’
২০১৮-১৯ সেশনের এক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমাদের সিট দিতে না পারলে বরাদ্দ কেন দেওয়া হয়? ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে আতঙ্ক নিয়ে থাকতে তো আর আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হইনি। সিট থেকে নামিয়ে দিয়ে হল প্রশাসন আমাদের সঙ্গে তামাশা করেছে।’
আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা পলিটিক্যালি (রাজনৈতিক বিবেচনায়) সিটে উঠেছি। তার মানে এই নয়, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নই। আমাদের ব্যাচের ২০০ জনের মধ্যে ১৭০ জনের বেশি সিট পেয়ে গেছে। অথচ আমাদের ২৪ জনের ক্ষেত্রে এমনটা করা হয়েছে। এমনকি আমরা এখন গণরুমে যাদের সঙ্গে থাকছি, তারা ছোট হলেও সিট পেয়ে যাবে হয়তো।’
আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আবাসিক শিক্ষকদের নির্দেশনা অনুযায়ী, আমরা সবার নাম, বিভাগ, মোবাইল ফোন নম্বর পাঠিয়েছিলাম। হলে আসার পর ১০-১২ জনকে সিট দিয়েছে। কিন্তু কিছুদিন পরেই আবার নতুন কয়েকজনকে বরাদ্দ দিয়ে তাঁদের সিট দিয়ে আমাদের গণরুমে পাঠানো হলো। এটা বৈষম্য, অমানবিকতা।’
হল সূত্রে জানা গেছে, হলের শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ উপাচার্য বা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিদের অনুরোধে বিশেষ বিবেচনায় সিট পেয়ে থাকেন। আবার অনেকেই ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠনের হাত ধরে রাজনৈতিক বিবেচনায় ওঠেন।
হলে সিট পাওয়া ২০১৯-২০ সেশনের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমি বিশেষ বিবেচনায় হলে থাকতে পারছি, কারণ আমার সিট বৈধ নয়। আপাতত হলের অতিথিকক্ষে থাকছি।’
সিকদার মনোয়ার ভবনের দায়িত্বে থাকা হলের আবাসিক শিক্ষক ঈলা ইসমাইল বলেন, ‘আমরা ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের বিষয়ে উপাচার্যকে চিঠি দিয়েছি। আশা করি, সমাধান হবে।’
এই আবাসিক শিক্ষক আরও বলেন, ‘সত্যি বলতে আমরা কাউকেই ঝুঁকিতে রাখতে চাই না। তবে বিশ্ববিদ্যালয়েরও কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। হঠাৎ করে তো আর নতুন ভবন করা সম্ভব নয়। ঠিকমতো পরিকল্পনা করে নতুন ভবন করতে হবে। তখন হয়তো এমনি এমনিই এ ধরনের সমস্যাগুলো সমাধান হয়ে যাবে।’
হলের ২৪ ছাত্রীকে সিট থেকে নামিয়ে ফের গণরুমে পাঠানোর অভিযোগ নিয়ে জানতে চাইলে আবাসিক শিক্ষক ঈলা ইসমাইল বলেন, ‘রাজনৈতিক কিছু কারণে এমন হয়ে থাকতে পারে। তবে ভবিষ্যতে অবশ্যই আমরা এসব বিষয় খেয়াল রাখব।’
বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফরিদা পারভীন বলেন, ‘হল প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। আশা করি, আলোচনা করে শিগগির এসব সমাধান করা যাবে।’
হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. নাজমুন নাহার বলেন, ‘আমাদের সিটসংকট তো রয়েছেই। যে কারণে এসব সমস্যা তৈরি হয়। নতুন বছরে আমরা সার্বিক দিক বিবেচনা করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের সিট বরাদ্দ দেব। তখন হয়তো এমন অভিযোগ কেউ করবে না।’
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫