Ajker Patrika

শীতের পিঠা বিক্রির ধুম

মো. খায়রুল ইসলাম, গৌরনদী
আপডেট : ২৪ নভেম্বর ২০২১, ১৩: ১০
শীতের পিঠা বিক্রির ধুম

শীতের সকালে মাটির চুলায় মায়ের হাতে বানানো ভাপা, চিতইসহ হরেক পিঠা খাওয়াটার সৌভাগ্য এখন আর খুব বেশি মানুষের হয় না। তবে বিভিন্ন অস্থায়ী দোকানে বানানো পিঠা খাওয়ার ধুম পরেছে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বিভিন্ন রাস্তার পাশে ও পাড়া মহল্লায়। উপজেলার মোড়গুলোতে এখন পিঠার ঘ্রাণ। এসব পিঠায় মায়ের আদর মাখা না থাকলেও আছে শহুরে ব্যবসাূীদের যত্ন। রাস্তায় অলিগলি ও ফুটপাতে পছন্দের শীতের পিঠা খেতে পেরে খুশি গৌরনদী উপজেলা শহরের মানুষগুলো।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার অধিকাংশ স্থানে বসেছে অস্থায়ী পিঠা বিক্রির দোকান। অল্প পুঁজি আর কম পরিশ্রমে বেশি লাভ হওয়ায় পিঠা ব্যবসায় নেমেছেন অনেকেই। দোকানগুলোয় পিঠার পাশাপাশি থাকছে হরেক ভর্তা। প্রতিদিন বিকেল থেকেই পিঠা বিক্রির ধুম পড়ে মোড়ের দোকানগুলোয়। সন্ধ্যা হলেই বেড়ে যায় ক্রেতা সমাগম, যা গভীর রাত পর্যন্ত থাকে। রসুন-মরিচবাটা, ধনিয়াপাতা বাটা, শুঁটকি, কালোজিরা, সর্ষে ভর্তাসহ নানা রকম উপকরণ মিলিয়ে বিক্রি করা হয় চিতই পিঠা। সন্ধ্যায় হিমেল হাওয়ায় খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে পিঠা খেতে অনেকেই ভিড় জমাচ্ছেন ভ্রাম্যমাণ পিঠার দোকানগুলোতে।

গৌরনদী উপজেলার টরকির চর এলাকার পিঠা বিক্রেতা হাসান, গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডের আব্দুল হক এবং মাহিলাড়া বাজারের নজরুল ইসলাম জানান, চিতই, কুলি, ভাপা, ডিমচিতই, তেলের পিঠা ও পাটিসাপটা পিঠাসহ বিভিন্ন ধরনের পিঠা বিক্রি করেন তাঁরা। এর মধ্যে ভাপা আর চিতই পিঠার কদর বেশি। বেচা হয় পাঁচ টাকা করে।

সহকর্মীদের নিয়ে পিঠা খেতে আসা মিজান সরদার বলেন, শীতের সন্ধ্যায় চিতই পিঠার সঙ্গে সরিষা ও ধনে পাতা ভর্তার স্বাদের তুলনা নেই।

পিঠা খেতে আশা নান্টু চন্দ্র দাস বলেন, কাজ শেষ করে বন্ধুদের নিয়ে পিঠা খেতে এসেছি। বিভিন্ন ভর্তা দিয়ে পিঠা খেতে ভারি মজা লাগে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত