Ajker Patrika

লোকসানের পর চরে শসা চাষে লাভের আশা কৃষকের

সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি
আপডেট : ১২ মার্চ ২০২২, ১২: ২০
লোকসানের পর চরে শসা চাষে লাভের আশা কৃষকের

বগুড়ার সারিয়াকান্দির অনাবাদি বালুচরে শসা চাষ করে লাভের স্বপ্ন বুনছেন কৃষক। গত বছর করোনার কারণে লোকসানের মুখে পড়লেও এবার চাষ ভালো হয়েছে। তবে বাজারে এখন ভালো দাম থাকায় কৃষকেরা আবারও শসা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।

সারিয়াকান্দি উপজেলার আট ইউনিয়নের ফসলি জমি যমুনা নদীগর্ভে চলে গেছে। প্রতিবছর বন্যায় জমিতে বালু পড়ে বিশাল এলাকা অনাবাদি হয়ে যায়। এসব জমিতে এ বছর কৃষকেরা শসার আবাদ করেছেন। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় বেড়ে ওঠা শসার গাছ ভালো ফলনের জানান দিচ্ছে। প্রতিটি গাছে প্রচুর পরিমাণে ফুল ধরেছে।

কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জমিতে জো আসার পর তাঁরা শসার চাষ করেছিলেন। দাম ভালো থাকলে লাভবান হবেন কৃষকেরা। তবে দাম কমে গেলে লোকসান গুনতে হয়। কারণ শসা চাষে খরচ অপেক্ষাকৃত একটু বেশি। নিড়ানি দিতে হয় কয়েকবার। গাছ বড় হলে লাঠির সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে দিতে হয়। এরপর গাছ বিছিয়ে যাওয়ার জন্য মাচা করে দিতে হয়। প্রতিনিয়ত খেত পরিচর্যা করতে হয়।

সারিয়াকান্দি কৃষি অফিসের তথ্যমতে, শসার বীজ বপনের পর পাঁচ-ছয় দিন পর চারা গজায়। চারা গজানোর ৩০-৩৫ দিন পর থেকেই শসা সংগ্রহ করা যায়। সর্বোচ্চ ৭৫ থেকে ১২০ দিন পর্যন্ত শসার গাছ থেকে কয়েকবার শসা সংগ্রহ করা হয়। শসার ফলন বিঘাপ্রতি ৪৫-৬০ মণ পর্যন্ত হয়ে থাকে।

বর্তমানে প্রতি মণ শসা ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি বিঘা জমিতে উৎপাদন খরচ ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত। এ হিসাবে প্রতি বিঘা জমি থেকে শসা বিক্রি করে কৃষকের ৩০-৩৫ হাজার টাকা পর্যন্ত লাভ হয়। তবে এটি বাজারদরের ওপর নির্ভর করে।

উপজেলার কাজলা ইউনিয়নের পাকেরদহ চরের চাষি মালেক মিয়া বলেন, ‘গত কয়েক বছর ধরে শসার চাষ করি। দাম ভালো থাকলে লাভও ভালো হয়। করোনার জন্য গত দুই বছর শসার দাম কমই পেয়েছি। এ বছর শসার ফলন খুবই ভালো। দামও ভালো শুনছি। মনে হয় ভালোই লাভ হবে। এ বছর আমার চার বিঘা জমিতে শসার আবাদ করেছি।’

একই ইউনিয়নের টেংরাকুড়া চরের আলম খাঁ আজকের পত্রিকাকে জানান, তিনি প্রতিবছর শসার চাষ করেন। গত বছর শসার ভালো দাম পাননি। তাই এ বছর মাত্র তিন বিঘা জমিতে শসা লাগিয়েছেন। গাছগুলো এক ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর শসার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১০০ হেক্টর। অর্জন হয়েছে ৩০ হেক্টর। ৩০ হেক্টরের মধ্যে শুধু চরাঞ্চলেই ২০ হেক্টর জমিতে শসার চাষ হয়েছে।

জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল হালিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতিবছরের তুলনায় এ বছরও কৃষকেরা শসার চাষ করেছেন। ফলন মোটামুটি ভালো হয়েছে। করোনার কারণে দাম কম থাকায় গত বছর কৃষকেরা শসাতে লোকসানে পড়েছিল। তবে এখন বাজারে ভালো দাম থাকায় কৃষকেরা আবারও শসা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রশিক্ষণ ছাড়াই মাঠে ৪২৬ সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা

গ্রাহকের ২,৬৩৫ কোটি টাকা দিচ্ছে না ৪৬ বিমা কোম্পানি

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

মারধর করে ছাত্রলীগ কর্মীর পিঠে পাড়া দিয়ে অটোরিকশায় শহর ঘোরাল ছাত্রদল, সঙ্গে উচ্চ স্বরে গান

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়: তিন দফা দাবিতে সোমবার মাঠে নামছেন শিক্ষার্থীরা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত