আনিসুল হক জুয়েল, দিনাজপুর
হতাশায় থাকা আলুচাষিদের মুখে স্বস্তির হাসি ফুটতে শুরু করেছে। গত দুই সপ্তাহে কেজিপ্রতি আলুর দাম বেড়েছে ৩-৫ টাকা। তবে সার্বিক বাজার পরিস্থিতিতে আলুর দাম আর কমার কোনো লক্ষণ নেই বলে জানান বাজার-সংশ্লিষ্টরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ সূত্র জানায়, এ বছর ৪৭ হাজার ৩৯০ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ করা হয়েছে। হেক্টরপ্রতি ফলন ২৩ মেট্রিক টন প্রায়। সে অনুযায়ী জেলায় মোট উৎপাদিত আলুর পরিমাণ প্রায় ১১ লাখ মেট্রিক টন। জেলার ১৩টি আলুর হিমাগারের ধারণ ক্ষমতা ১ লাখ ৬ হাজার মেট্রিক টন। দিনাজপুর থেকে ইতিমধ্যে ৪ হাজার মেট্রিক টন আলু রপ্তানি করা হয়েছে। এ বছর জেলা থেকে ২০ হাজার মেট্রিক টন আলু রপ্তানির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানায় কৃষি বিভাগ।
সরেজমিন জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও কৃষি বিভাগের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মূলত কয়েকটি কারণে বাড়ছে আলুর দাম। প্রথমত, বাজারে সবজিসহ নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় তুলনামূলক দাম কম হওয়ায় চাহিদা বেড়েছে আলুর। দ্বিতীয়ত, দীর্ঘমেয়াদি সংরক্ষণের জন্য হিমাগারে রাখা শুরু হওয়া। তৃতীয়ত, আলু রপ্তানি শুরু হওয়া। পাশাপাশি ডিজেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ার কারণেও আলুর দাম বেড়েছে।
এদিকে, দাম বাড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন আলুচাষিদের অনেকেই। তাঁদের অভিযোগ, ‘প্রয়োজনের তাগিদে তারা ইতিমধ্যেই আলু বিক্রি করে দিয়েছেন। আলু এখন কৃষকের হাত পেরিয়ে মজুতদার ও ব্যবসায়ীদের হাতে। তাই দাম বাড়লেও লাভের মুখ দেখতে পাচ্ছেন না তাঁরা।’
দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার আউলিয়া পুকুর গ্রামের কৃষক মোহসিন আলী বলেন, ‘আগাম আলু চাষ করে এবার খরচটাও ঠিকমতো তুলতে পারি নাই। শুরুতেই আলুর দাম ছিল না, কৃষকের হাত থেকে যখন পাইকারদের হাতে আলু চলে গেল, তখন আলুর দাম বেড়ে গেল। পাইকারেরা কৃষকের কাছে কম দামে আলু কিনে বেশি দামে বিক্রি করে। সমস্যা শুধু আমাদের কৃষকের, আমার ন্যায্য মূল্য পাই না আমাদের উৎপাদিত ফসলের।’
একই উপজেলার খুনিয়াদীঘি গ্রামের কৃষক মোকসেদুল শুরুতেই নতুন আলু বিক্রি করেছি ৬ টাকা কেজি দরে, এখন সেই আলু বাজরে ১৫-২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আমার আলু শুরুতেই বিক্রি করে দিয়েছি। এখন আলুর বাজার ভালো। কী এমন হলো যে এক মাসের ব্যবধানে আলুর দাম কেজি প্রতি ১০ থেকে ১২ টাকা বেড়ে গেল।
বিরল উপজেলার আলুচাষি মতিউর রহমান জানান, তিনি এস্টারিস্ট জাতের আলু আবাদ করেছেন। বর্তমানে সাড়ে ১২ থেকে ১৩ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হচ্ছে। গত এক মাসে দাম বেড়েছে। শুরু থেকে এ রকম দাম থাকলে আমরা লাভবান হতাম। পাশাপাশি যেহেতু আমাদের দেশে প্রচুর পরিমাণে আলু আবাদ হয়, সেহেতু বেশি পরিমাণে রপ্তানি হলে কৃষকেরা উপকৃত হতো।
জেলা কৃষি বিভাগের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) খালেদুর রহমান জানান, জেলার ১৩টি আলুর হিমাগারের ধারণক্ষমতা ১ লাখ ৬ হাজার মেট্রিক টন। গত বছর আলু সংরক্ষণ করে পরবর্তী সময়ে কৃষকেরা ভালো দাম পেয়েছেন। আশা করি, এ বছরও তাঁরা লাভবান হবেন। দিনাজপুর থেকে ইতিমধ্যে ৪ হাজার মেট্রিক টন আলু রপ্তানি হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ বছর জেলা থেকে ২০ হাজার মেট্রিক টন আলু রপ্তানির সম্ভাবনা রয়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশ, নেপাল, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়াতে আলু রপ্তানি হচ্ছে।
হতাশায় থাকা আলুচাষিদের মুখে স্বস্তির হাসি ফুটতে শুরু করেছে। গত দুই সপ্তাহে কেজিপ্রতি আলুর দাম বেড়েছে ৩-৫ টাকা। তবে সার্বিক বাজার পরিস্থিতিতে আলুর দাম আর কমার কোনো লক্ষণ নেই বলে জানান বাজার-সংশ্লিষ্টরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ সূত্র জানায়, এ বছর ৪৭ হাজার ৩৯০ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ করা হয়েছে। হেক্টরপ্রতি ফলন ২৩ মেট্রিক টন প্রায়। সে অনুযায়ী জেলায় মোট উৎপাদিত আলুর পরিমাণ প্রায় ১১ লাখ মেট্রিক টন। জেলার ১৩টি আলুর হিমাগারের ধারণ ক্ষমতা ১ লাখ ৬ হাজার মেট্রিক টন। দিনাজপুর থেকে ইতিমধ্যে ৪ হাজার মেট্রিক টন আলু রপ্তানি করা হয়েছে। এ বছর জেলা থেকে ২০ হাজার মেট্রিক টন আলু রপ্তানির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানায় কৃষি বিভাগ।
সরেজমিন জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও কৃষি বিভাগের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মূলত কয়েকটি কারণে বাড়ছে আলুর দাম। প্রথমত, বাজারে সবজিসহ নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় তুলনামূলক দাম কম হওয়ায় চাহিদা বেড়েছে আলুর। দ্বিতীয়ত, দীর্ঘমেয়াদি সংরক্ষণের জন্য হিমাগারে রাখা শুরু হওয়া। তৃতীয়ত, আলু রপ্তানি শুরু হওয়া। পাশাপাশি ডিজেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ার কারণেও আলুর দাম বেড়েছে।
এদিকে, দাম বাড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন আলুচাষিদের অনেকেই। তাঁদের অভিযোগ, ‘প্রয়োজনের তাগিদে তারা ইতিমধ্যেই আলু বিক্রি করে দিয়েছেন। আলু এখন কৃষকের হাত পেরিয়ে মজুতদার ও ব্যবসায়ীদের হাতে। তাই দাম বাড়লেও লাভের মুখ দেখতে পাচ্ছেন না তাঁরা।’
দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার আউলিয়া পুকুর গ্রামের কৃষক মোহসিন আলী বলেন, ‘আগাম আলু চাষ করে এবার খরচটাও ঠিকমতো তুলতে পারি নাই। শুরুতেই আলুর দাম ছিল না, কৃষকের হাত থেকে যখন পাইকারদের হাতে আলু চলে গেল, তখন আলুর দাম বেড়ে গেল। পাইকারেরা কৃষকের কাছে কম দামে আলু কিনে বেশি দামে বিক্রি করে। সমস্যা শুধু আমাদের কৃষকের, আমার ন্যায্য মূল্য পাই না আমাদের উৎপাদিত ফসলের।’
একই উপজেলার খুনিয়াদীঘি গ্রামের কৃষক মোকসেদুল শুরুতেই নতুন আলু বিক্রি করেছি ৬ টাকা কেজি দরে, এখন সেই আলু বাজরে ১৫-২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আমার আলু শুরুতেই বিক্রি করে দিয়েছি। এখন আলুর বাজার ভালো। কী এমন হলো যে এক মাসের ব্যবধানে আলুর দাম কেজি প্রতি ১০ থেকে ১২ টাকা বেড়ে গেল।
বিরল উপজেলার আলুচাষি মতিউর রহমান জানান, তিনি এস্টারিস্ট জাতের আলু আবাদ করেছেন। বর্তমানে সাড়ে ১২ থেকে ১৩ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হচ্ছে। গত এক মাসে দাম বেড়েছে। শুরু থেকে এ রকম দাম থাকলে আমরা লাভবান হতাম। পাশাপাশি যেহেতু আমাদের দেশে প্রচুর পরিমাণে আলু আবাদ হয়, সেহেতু বেশি পরিমাণে রপ্তানি হলে কৃষকেরা উপকৃত হতো।
জেলা কৃষি বিভাগের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) খালেদুর রহমান জানান, জেলার ১৩টি আলুর হিমাগারের ধারণক্ষমতা ১ লাখ ৬ হাজার মেট্রিক টন। গত বছর আলু সংরক্ষণ করে পরবর্তী সময়ে কৃষকেরা ভালো দাম পেয়েছেন। আশা করি, এ বছরও তাঁরা লাভবান হবেন। দিনাজপুর থেকে ইতিমধ্যে ৪ হাজার মেট্রিক টন আলু রপ্তানি হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ বছর জেলা থেকে ২০ হাজার মেট্রিক টন আলু রপ্তানির সম্ভাবনা রয়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশ, নেপাল, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়াতে আলু রপ্তানি হচ্ছে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪