Ajker Patrika

কাবিখা প্রকল্পে শ্রমিকের বদলে খননযন্ত্র

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৫: ৪৮
কাবিখা প্রকল্পে শ্রমিকের বদলে খননযন্ত্র

সাতক্ষীরায় কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচিতে (কাবিখা) শ্রমিকের বদলে এক্সকাভেটর (খননযন্ত্র) দিয়ে মাটি কেটে সড়ক সংস্কার করার অভিযোগ উঠেছে। সদর উপজেলার বৈকারী ইউনিয়নের খলিলনগর গ্রামে কাবিখা প্রকল্পে এ ঘটনা ঘটছে। প্রকল্প সভাপতি ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে এ অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কয়েক দিন ধরেই এক্সাভেটর মেশিন দিয়ে খলিলনগরের গ্রামীণ সড়ক সংস্কারের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন মেহেদী হাসান দোলন। শ্রমিকের কাজ এক্সাভেটর মেশিনে কম খরচে করিয়ে নিয়ে লাভবান হচ্ছেন তিনি। অন্যদিকে এলাকার শ্রমজীবী মানুষেরা কাবিখা প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।’

ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে কাবিখা কর্মসূচির আওতায় খলিলনগর গ্রামের আবদার গাজীর বাড়ি থেকে ময়না ডাক্তারের ঘের পর্যন্ত সড়ক সংস্কারের জন্য দুই লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।

খলিলনগর গ্রামের মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। কামলা খেটে খাই। মেশিন দিয়ে মাটি কাটলে তো আমাদের পেটে লাথি পড়ে।’

একই এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রকল্পটির সভাপতি নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে খননযন্ত্র দিয়ে মাটি কেটে সড়ক সংস্কার করছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘সড়কের ধার থেকে খননযন্ত্র দিয়ে গভীর করে মাটি খনন করায় সড়ক ধসে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’

অভিযুক্ত ইউপি সদস্য ও প্রকল্পটির সভাপতি মেহেদী হাসান দোলন বলেন, ‘খননযন্ত্র দিয়ে কম খরচে বেশি মাটি কাটা যায় বলে এমনটা করেছি।’

বৈকারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সচিব মনোতোজ সাধু বলেন, ‘কাবিখা কর্মসূচিতে খননযন্ত্র ব্যবহারের কোনো নিয়ম নেই। যত দূর জানি, ওই প্রকল্পটি স্থানীয় শ্রমিকদের দিয়ে করানোর কথা। খননযন্ত্র দিয়ে কেন কাজ করা হচ্ছে তা আমার বোধগম্য নয়।’

সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাতেমা-তুজ-জোহরা বলেন, ‘যেকোনো প্রকল্পের একটা নিজস্ব নিয়মনীতি রয়েছে। নিয়মের মধ্যে থেকেই প্রকল্পের কাজ শেষ করতে হবে। বিষয়টি সম্পর্কে আমি মাত্রই জানতে পারলাম। খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত