Ajker Patrika

সাংসদ হারুনের আপিল খারিজ দণ্ড বহাল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০২১, ১১: ২১
Thumbnail image

শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে দুদকের করা মামলায় বিএনপির সাংসদ হারুন অর রশীদসহ তিনজনের দণ্ডের বিরুদ্ধে করা আপিল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে সাজা সংশোধন করে দিয়েছেন আদালত। এই মামলায় তিন আসামি যত দিন কারাভোগ করেছেন ততদিনই সাজা হিসেবে গণ্য হবে। এর ফলে তাঁদের এখন আর জেলে যেতে হবে না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। হারুন ছাড়া বাকি দুজন হলেন ব্যবসায়ী এনায়েতুর রহমান ও ইশতিয়াক সাদেক। গতকাল বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. সেলিমের একক বেঞ্চ এই রায় দেন।

আসামিদের আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, এই মামলার সাজা পরিবর্তন করেছেন আদালত। এ মামলায়

হারুন অর রশীদ প্রায় ১৬ মাস কারাগারে ছিলেন, এই ১৬ মাস সাজা বহাল রাখা হয়েছে। তবে তিনি নির্দোষ। তিনি গাড়ি বিক্রি করেননি, কোনো অপরাধ করেননি। তাই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করবেন তাঁরা।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় ২০০৫ সালে ব্রিটেন থেকে একটি হ্যামার ব্র্যান্ডের গাড়ি শুল্কমুক্ত সুবিধায় কেনেন হারুন অর রশীদ। পরে তা ইশতিয়াক সাদেকের কাছে ৯৮ লাখ টাকায় বিক্রি করে দেন। এরপর সাদেক গাড়িটি চ্যানেল নাইনের এমডির কাছে বিক্রি করেন।

নিয়ম অনুযায়ী, শুল্কমুক্ত গাড়ি তিন বছরের মধ্যে বিক্রি করলে শুল্ক দিতে হয়। কিন্তু এমপি হারুন শুল্ক না দিয়ে বিশ্বাসভঙ্গ করেছেন। এই অভিযোগে ২০০৭ সালে হারুনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ওই মামলায় ২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে দুদকের মামলায় হারুন অর রশীদকে ৫ বছরের দণ্ড দেন। সেইসঙ্গে তাঁকে ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

মামলার অপর আসামি চ্যানেল নাইনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এনায়েতুর রহমান বাপ্পীকে দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া আসামি ইশতিয়াক সাদেককে তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৪০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে হাইকোর্টে আপিল করেন আসামিরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত