Ajker Patrika

‘প্রথম যাত্রাপালা দেখে প্রাণ জুড়িয়ে গেছে’

রাজশাহী প্রতিনিধি
আপডেট : ২১ মার্চ ২০২২, ১৫: ২৪
‘প্রথম যাত্রাপালা দেখে প্রাণ জুড়িয়ে গেছে’

‘যাত্রাপালা কেমন হয়, তা শুধু বইপত্র আর নাটক-সিনেমায় দেখেছি। বাস্তবে কখনো যাত্রাপালা দেখার সুযোগ হয়নি। প্রথম দেখলাম। প্রাণ জুড়িয়ে গেছে। বাঙালির হারানো সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নেওয়ায় সংশ্লিষ্টদের সাধুবাদ জানাই।’ কথাগুলো বলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র মামুনুজ্জামান স্নিগ্ধ।

গত শনিবার রাতে রাবির শেখ রাসেল মাঠে আব্দুল্লাহ আল-মামুনের ‘মেরাজ ফকিরের মা’ অবলম্বনে যাত্রাপালা মঞ্চায়ন হয়। এটিকে যাত্রাপালায় রূপ দেন আসাদ সরকার। নির্দেশনা দেন রহমান রাজু। যাত্রাপালাটি পরিবেশন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের ‘ফোকলোর রেপাটরি যাত্রাদল’। ফোকলোর বিভাগ, জেলা প্রশাসন ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় ৫০ জনের একটি দল যাত্রাপালাটি পরিবেশন করে।

কথা বলে জানা গেছে, দর্শকদের বেশির ভাগই জীবনে প্রথমবারের মতো কোনো যাত্রাপালা উপভোগ করলেন। যাত্রা দেখার পর চারুকলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র অভয় চরণ সূত্রধর বলেন, ‘সমাজের সাম্প্রদায়িক শক্তির জন্য আমরা আমাদের মা, মাটি ও ধর্মকে চিনতে ভুল করি। ধর্মের দোহাই দিয়ে ভেদাভেদ তৈরি করি। কিন্তু আমাদের মা, মাটি ও মানুষ যে সবকিছুর ঊর্ধ্বে তা এই যাত্রাপালার মাধ্যমে অনুধাবন করতে পারলাম।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার নিজেও এক ঘণ্টা ৪০ মিনিটের এই যাত্রাপালা উপভোগ করেন। পালা শেষে তিনি জানান, ৪২ বছর পর যাত্রাপালা দেখলেন। সর্বশেষ ১৯৮০ সালে নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজ মাঠে নবাব সিরাজউদ্দৌলার পালা দেখেছিলেন। তিনি বলেন, ‘যাত্রাপালা, আলকাপ, মাদারের গান আমাদের সংস্কৃতির অনুষঙ্গ। দিন দিন তা হারিয়ে গেছে। এটা ভালো লাগছে যে এখন আবার তা জাগ্রত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যাত্রাপালার নবযাত্রা শুভ হোক।’

‘যাত্রাশিল্পের নবযাত্রা’ প্রতিপাদ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির দেশব্যাপী ১০০ নতুন যাত্রাপালা মঞ্চায়ন কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশ যাত্রা উৎসব-২০২২ শুরু করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত