শাপলা খন্দকার, বগুড়া
দেশে প্রতিবছর মসলাজাত পণ্য জিরার চাহিদা থাকে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার মেট্রিক টন, যার সম্পূর্ণটাই আসে বিদেশ থেকে। এই পরিমাণ জিরার বর্তমান বাজার অনুযায়ী আর্থিক মূল্য দাঁড়ায় ৫০০ থেকে সাড়ে ৫০০ কোটি টাকা।
কিন্তু এখন থেকে দেশেই হবে জিরা চাষ। এতে ক্রমান্বয়ে কমবে আমদানিনির্ভরতা। ধীরে ধীরে জিরা উৎপাদনে বাংলাদেশ স্বাবলম্বী হয়ে উঠবে বলে দাবি গবেষকদের।
দীর্ঘ এক যুগের গবেষণায় সফলতা লাভ করেছেন বগুড়ার মসলা গবেষণাকেন্দ্রের গবেষকেরা। এ বছর ফেব্রুয়ারি থেকে বাণিজ্যিকভাবে জিরা চাষের অনুমোদন দিয়েছে বীজ প্রত্যয়ন সংস্থা (সিডস সার্টিফিকেশন এজেন্সি)।
বগুড়ার শিবগঞ্জে অবস্থিত মসলা গবেষণাকেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, দেশে জিরা মসলার চাহিদা মেটাতে ২০০৭ সালে ভারত থেকে জিরার বীজ সংগ্রহ করে পরের বছর থেকে গবেষণা শুরু করা হয়।
গবেষণাকেন্দ্রে দেড় বিঘা জমিতে জিরার চাষ করা হয়েছে। সেখান থেকে প্রথমে সর্বোচ্চ ১০০ গ্রাম জিরা উৎপাদনে সক্ষম হন গবেষকেরা। পরে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে জিরার উৎপাদন।
ওই জমি থেকে এবার প্রায় ৮০ কেজি (দুই মণ) জিরা পাওয়া যাবে। এবারই প্রথম ওই জমি থেকে উৎপাদিত জিরার পরিমাণ বেশি।
এটাকে গবেষণার সফলতা বলছেন শিবগঞ্জ মসলা গবেষণাকেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মাজহারুল আনোয়ার। তিনি বলেন, আগামী মৌসুম থেকে এক বিঘা জমি থেকে আড়াই মণ জিরা মসলা পাওয়া যাবে।
সিডস সার্টিফিকেশন এজেন্সি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে বাণিজ্যিকভাবে জিরা চাষের অনুমতি দেয়। তবে এ বিষয়ক চিঠি এখনো গবেষণাকেন্দ্রে এসে পৌঁছায়নি। অফিশিয়াল প্রসিডিউর শেষে খুব তাড়াতাড়িই চিঠি এসে পৌঁছাবে বলে জানান মাজহারুল আনোয়ার।
শুধু গবেষণাগারেই নয়; কৃষকের জমিতেও জিরা চাষে সফলতা এসেছে।
শিবগঞ্জ মসলা গবেষণাকেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সুজা জানান, পরীক্ষামূলক চাষের জন্য গত বছরের নভেম্বর মাসে বগুড়ার সারিয়াকান্দি ও সোনাতলা উপজেলার এবং গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার চরাঞ্চলের এবং শিবগঞ্জের ৬৫ কৃষককে জিরার বীজ দেওয়া হয়। তাঁরা প্রত্যেকে গড়ে ৫ শতক জমিতে জিরার চাষ শুরু করেছেন। সফল হয়েছেন বেশির ভাগ কৃষক।
গবেষকেরা জানান, প্রতি বিঘায় এক কেজি জিরার বীজ বপন করতে হয়। বীজ বপনের ১০৫-১১০ দিন পর জিরা পাওয়া যায়। এতে বিঘাপ্রতি খরচ হবে ৭-৮ হাজার টাকা। বর্তমানে প্রতি কেজি জিরার দাম ২৫০-৩০০। সেই অনুযায়ী এক বিঘা থেকে প্রায় ৩০ হাজার টাকার জিরা বিক্রি করতে পারবেন কৃষকেরা।
গাবতলী উপজেলার কৃষক ফোরকান এবং বাদশা মিয়ার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবারই প্রথম তাঁরা জিরা চাষ করেছেন। গাছ ভালো আছে। জিরার ফলনও ভালো হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তাঁরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মাজহারুল আনোয়ার আজকের পত্রিকাকে আরও বলেন, ‘এক যুগেরও অধিক সময় গবেষণা করে অবশেষে আমরা সফল হয়েছি। বাণিজ্যিকভাবে জিরা চাষে ক্রমান্বয়ে ৫০০ কোটি টাকা আমদানি খরচ সাশ্রয় হবে বাংলাদেশের। চরের কৃষকরাও হবেন লাভবান।’
দেশে প্রতিবছর মসলাজাত পণ্য জিরার চাহিদা থাকে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার মেট্রিক টন, যার সম্পূর্ণটাই আসে বিদেশ থেকে। এই পরিমাণ জিরার বর্তমান বাজার অনুযায়ী আর্থিক মূল্য দাঁড়ায় ৫০০ থেকে সাড়ে ৫০০ কোটি টাকা।
কিন্তু এখন থেকে দেশেই হবে জিরা চাষ। এতে ক্রমান্বয়ে কমবে আমদানিনির্ভরতা। ধীরে ধীরে জিরা উৎপাদনে বাংলাদেশ স্বাবলম্বী হয়ে উঠবে বলে দাবি গবেষকদের।
দীর্ঘ এক যুগের গবেষণায় সফলতা লাভ করেছেন বগুড়ার মসলা গবেষণাকেন্দ্রের গবেষকেরা। এ বছর ফেব্রুয়ারি থেকে বাণিজ্যিকভাবে জিরা চাষের অনুমোদন দিয়েছে বীজ প্রত্যয়ন সংস্থা (সিডস সার্টিফিকেশন এজেন্সি)।
বগুড়ার শিবগঞ্জে অবস্থিত মসলা গবেষণাকেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, দেশে জিরা মসলার চাহিদা মেটাতে ২০০৭ সালে ভারত থেকে জিরার বীজ সংগ্রহ করে পরের বছর থেকে গবেষণা শুরু করা হয়।
গবেষণাকেন্দ্রে দেড় বিঘা জমিতে জিরার চাষ করা হয়েছে। সেখান থেকে প্রথমে সর্বোচ্চ ১০০ গ্রাম জিরা উৎপাদনে সক্ষম হন গবেষকেরা। পরে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে জিরার উৎপাদন।
ওই জমি থেকে এবার প্রায় ৮০ কেজি (দুই মণ) জিরা পাওয়া যাবে। এবারই প্রথম ওই জমি থেকে উৎপাদিত জিরার পরিমাণ বেশি।
এটাকে গবেষণার সফলতা বলছেন শিবগঞ্জ মসলা গবেষণাকেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মাজহারুল আনোয়ার। তিনি বলেন, আগামী মৌসুম থেকে এক বিঘা জমি থেকে আড়াই মণ জিরা মসলা পাওয়া যাবে।
সিডস সার্টিফিকেশন এজেন্সি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে বাণিজ্যিকভাবে জিরা চাষের অনুমতি দেয়। তবে এ বিষয়ক চিঠি এখনো গবেষণাকেন্দ্রে এসে পৌঁছায়নি। অফিশিয়াল প্রসিডিউর শেষে খুব তাড়াতাড়িই চিঠি এসে পৌঁছাবে বলে জানান মাজহারুল আনোয়ার।
শুধু গবেষণাগারেই নয়; কৃষকের জমিতেও জিরা চাষে সফলতা এসেছে।
শিবগঞ্জ মসলা গবেষণাকেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সুজা জানান, পরীক্ষামূলক চাষের জন্য গত বছরের নভেম্বর মাসে বগুড়ার সারিয়াকান্দি ও সোনাতলা উপজেলার এবং গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার চরাঞ্চলের এবং শিবগঞ্জের ৬৫ কৃষককে জিরার বীজ দেওয়া হয়। তাঁরা প্রত্যেকে গড়ে ৫ শতক জমিতে জিরার চাষ শুরু করেছেন। সফল হয়েছেন বেশির ভাগ কৃষক।
গবেষকেরা জানান, প্রতি বিঘায় এক কেজি জিরার বীজ বপন করতে হয়। বীজ বপনের ১০৫-১১০ দিন পর জিরা পাওয়া যায়। এতে বিঘাপ্রতি খরচ হবে ৭-৮ হাজার টাকা। বর্তমানে প্রতি কেজি জিরার দাম ২৫০-৩০০। সেই অনুযায়ী এক বিঘা থেকে প্রায় ৩০ হাজার টাকার জিরা বিক্রি করতে পারবেন কৃষকেরা।
গাবতলী উপজেলার কৃষক ফোরকান এবং বাদশা মিয়ার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবারই প্রথম তাঁরা জিরা চাষ করেছেন। গাছ ভালো আছে। জিরার ফলনও ভালো হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তাঁরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মাজহারুল আনোয়ার আজকের পত্রিকাকে আরও বলেন, ‘এক যুগেরও অধিক সময় গবেষণা করে অবশেষে আমরা সফল হয়েছি। বাণিজ্যিকভাবে জিরা চাষে ক্রমান্বয়ে ৫০০ কোটি টাকা আমদানি খরচ সাশ্রয় হবে বাংলাদেশের। চরের কৃষকরাও হবেন লাভবান।’
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫