Ajker Patrika

অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার পরও ঠিকাদারদের কাজে বিলম্ব

তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১২: ০৯
অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার পরও  ঠিকাদারদের কাজে বিলম্ব

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে শত কৃষক তাঁদের গভীর-অগভীর নলকূপের পুনঃসংযোগ নিতে ও বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ট্রান্সফরমার তুলতে হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে টাকা দেওয়ার পরও ঠিকাদারেরা ইচ্ছাকৃতভাবে কাজে বিলম্ব করছেন। পাশাপাশি এ কাজে অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছেন। এরপরও পুনঃসংযোগ পেতে দীর্ঘদিন কৃষকদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে। তবে সংশ্লিষ্টরা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

তাড়াশ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির-১-এর তাড়াশ জোনাল অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার আটটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এলাকায় সাশ্রয়ী মূল্যে সেচ সুবিধা দিতে সরকারিভাবে প্রায় ১৭শ বিদ্যুৎচালিত গভীর-অগভীর নলকূপ আছে।

একাধিক কৃষক জানান, মূলত বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে কৃষকদের বোরো আবাদ শেষ হয়। এ সময় বেশির ভাগ কৃষক তাঁদের বিদ্যুৎ-চালিত গভীর অগভীর নলকূপের জন্য বৈদ্যুতিক খুঁটিতে থাকা ট্রান্সফরমার নিরাপত্তার কারণে বাড়িতে নিয়ে আসেন। পরবর্তী সময় আবারও পৌষ-মাঘ মাসে বোরো আবাদের আগমুহূর্ত তাঁরা বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ওঠানোর জন্য ৯৯০ টাকা ও পুনঃ সংযোগ ফি বাবদ আরও ৪৬০ টাকা স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে জমা দিয়ে থাকেন।

তবে নিয়ম মেনেই এ বছরও ওই পরিমাণ টাকা তাড়াশ পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসে জমা দিয়ে সেচযন্ত্রের পুনঃসংযোগের জন্য আবেদন করেন কৃষকেরা। কিন্তু বিপত্তি বাধে এখানেই। এ কাজে নিযুক্ত ঠিকাদাররা বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ট্রান্সফরমার তুলে দিতে নানাভাবে কৃষকদের হয়রানি শুরু করেন।

উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া গ্রামের কৃষক আবদুল আজিজ জানান, তিনি নির্ধারিত ফি দিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ট্রান্সফরমার তুলতে ও পুনরায় সংযোগ পেতে এক মাসের বেশি সময় আগে আবেদন করেছেন। তারপরও এখন পর্যন্ত নিযুক্ত ঠিকাদার তাঁর ট্রান্সফরমার তুলে দেননি। ট্রান্সফরমার তুলতে দেরি হলে বোরো আবাদও বিলম্বিত হচ্ছে।

এ ছাড়া উপজেলার দোগাড়িয়া এলাকার মোয়াজ্জেম হোসেনসহ একাধিক কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় প্রতিটি সেচযন্ত্রের কাজ করার সময় প্রকারভেদে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা বকশিশ দিতে কৃষকদের বাধ্য করেন। যার কোনো নিয়ম নেই।

তবে উল্লাপাড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নির্ধারিত ঠিকাদার সাইম এন্টারপ্রাইজের মালিক রকি হোসেন এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘বকশিশ সবাই দেয় না। আর কৃষকদের সেচযন্ত্রের খুঁটিতে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার তুলতে আমরা তাগাদা দিয়ে থাকি। বরং তাঁরাই সাড়া দেন না।’

তাড়াশ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারের ম্যানেজার মো. আশরাফ আলী খান বলেন, ‘বোরো মৌসুমে আমাদের এখানে কৃষক পুনঃসংযোগ ও ট্রান্সফরমার উত্তোলনের জন্য নির্ধারিত ফি দিয়ে আবেদন করেন। আর আবেদন পাওয়ার পর আমরা তা দ্রুত কাজ করার জন্য নির্ধারিত ঠিকাদারের নিকট পাঠিয়ে দেই। আর তাঁরা কৃষকদের হয়রানি করলে নিয়মানুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রশিক্ষণ ছাড়াই মাঠে ৪২৬ সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা

গ্রাহকের ২,৬৩৫ কোটি টাকা দিচ্ছে না ৪৬ বিমা কোম্পানি

১০০ বছর পর জানা গেল ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত