তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে শত কৃষক তাঁদের গভীর-অগভীর নলকূপের পুনঃসংযোগ নিতে ও বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ট্রান্সফরমার তুলতে হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে টাকা দেওয়ার পরও ঠিকাদারেরা ইচ্ছাকৃতভাবে কাজে বিলম্ব করছেন। পাশাপাশি এ কাজে অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছেন। এরপরও পুনঃসংযোগ পেতে দীর্ঘদিন কৃষকদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে। তবে সংশ্লিষ্টরা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
তাড়াশ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির-১-এর তাড়াশ জোনাল অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার আটটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এলাকায় সাশ্রয়ী মূল্যে সেচ সুবিধা দিতে সরকারিভাবে প্রায় ১৭শ বিদ্যুৎচালিত গভীর-অগভীর নলকূপ আছে।
একাধিক কৃষক জানান, মূলত বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে কৃষকদের বোরো আবাদ শেষ হয়। এ সময় বেশির ভাগ কৃষক তাঁদের বিদ্যুৎ-চালিত গভীর অগভীর নলকূপের জন্য বৈদ্যুতিক খুঁটিতে থাকা ট্রান্সফরমার নিরাপত্তার কারণে বাড়িতে নিয়ে আসেন। পরবর্তী সময় আবারও পৌষ-মাঘ মাসে বোরো আবাদের আগমুহূর্ত তাঁরা বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ওঠানোর জন্য ৯৯০ টাকা ও পুনঃ সংযোগ ফি বাবদ আরও ৪৬০ টাকা স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে জমা দিয়ে থাকেন।
তবে নিয়ম মেনেই এ বছরও ওই পরিমাণ টাকা তাড়াশ পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসে জমা দিয়ে সেচযন্ত্রের পুনঃসংযোগের জন্য আবেদন করেন কৃষকেরা। কিন্তু বিপত্তি বাধে এখানেই। এ কাজে নিযুক্ত ঠিকাদাররা বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ট্রান্সফরমার তুলে দিতে নানাভাবে কৃষকদের হয়রানি শুরু করেন।
উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া গ্রামের কৃষক আবদুল আজিজ জানান, তিনি নির্ধারিত ফি দিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ট্রান্সফরমার তুলতে ও পুনরায় সংযোগ পেতে এক মাসের বেশি সময় আগে আবেদন করেছেন। তারপরও এখন পর্যন্ত নিযুক্ত ঠিকাদার তাঁর ট্রান্সফরমার তুলে দেননি। ট্রান্সফরমার তুলতে দেরি হলে বোরো আবাদও বিলম্বিত হচ্ছে।
এ ছাড়া উপজেলার দোগাড়িয়া এলাকার মোয়াজ্জেম হোসেনসহ একাধিক কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় প্রতিটি সেচযন্ত্রের কাজ করার সময় প্রকারভেদে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা বকশিশ দিতে কৃষকদের বাধ্য করেন। যার কোনো নিয়ম নেই।
তবে উল্লাপাড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নির্ধারিত ঠিকাদার সাইম এন্টারপ্রাইজের মালিক রকি হোসেন এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘বকশিশ সবাই দেয় না। আর কৃষকদের সেচযন্ত্রের খুঁটিতে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার তুলতে আমরা তাগাদা দিয়ে থাকি। বরং তাঁরাই সাড়া দেন না।’
তাড়াশ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারের ম্যানেজার মো. আশরাফ আলী খান বলেন, ‘বোরো মৌসুমে আমাদের এখানে কৃষক পুনঃসংযোগ ও ট্রান্সফরমার উত্তোলনের জন্য নির্ধারিত ফি দিয়ে আবেদন করেন। আর আবেদন পাওয়ার পর আমরা তা দ্রুত কাজ করার জন্য নির্ধারিত ঠিকাদারের নিকট পাঠিয়ে দেই। আর তাঁরা কৃষকদের হয়রানি করলে নিয়মানুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে শত কৃষক তাঁদের গভীর-অগভীর নলকূপের পুনঃসংযোগ নিতে ও বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ট্রান্সফরমার তুলতে হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে টাকা দেওয়ার পরও ঠিকাদারেরা ইচ্ছাকৃতভাবে কাজে বিলম্ব করছেন। পাশাপাশি এ কাজে অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছেন। এরপরও পুনঃসংযোগ পেতে দীর্ঘদিন কৃষকদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে। তবে সংশ্লিষ্টরা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
তাড়াশ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির-১-এর তাড়াশ জোনাল অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার আটটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এলাকায় সাশ্রয়ী মূল্যে সেচ সুবিধা দিতে সরকারিভাবে প্রায় ১৭শ বিদ্যুৎচালিত গভীর-অগভীর নলকূপ আছে।
একাধিক কৃষক জানান, মূলত বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে কৃষকদের বোরো আবাদ শেষ হয়। এ সময় বেশির ভাগ কৃষক তাঁদের বিদ্যুৎ-চালিত গভীর অগভীর নলকূপের জন্য বৈদ্যুতিক খুঁটিতে থাকা ট্রান্সফরমার নিরাপত্তার কারণে বাড়িতে নিয়ে আসেন। পরবর্তী সময় আবারও পৌষ-মাঘ মাসে বোরো আবাদের আগমুহূর্ত তাঁরা বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ওঠানোর জন্য ৯৯০ টাকা ও পুনঃ সংযোগ ফি বাবদ আরও ৪৬০ টাকা স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে জমা দিয়ে থাকেন।
তবে নিয়ম মেনেই এ বছরও ওই পরিমাণ টাকা তাড়াশ পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসে জমা দিয়ে সেচযন্ত্রের পুনঃসংযোগের জন্য আবেদন করেন কৃষকেরা। কিন্তু বিপত্তি বাধে এখানেই। এ কাজে নিযুক্ত ঠিকাদাররা বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ট্রান্সফরমার তুলে দিতে নানাভাবে কৃষকদের হয়রানি শুরু করেন।
উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া গ্রামের কৃষক আবদুল আজিজ জানান, তিনি নির্ধারিত ফি দিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ট্রান্সফরমার তুলতে ও পুনরায় সংযোগ পেতে এক মাসের বেশি সময় আগে আবেদন করেছেন। তারপরও এখন পর্যন্ত নিযুক্ত ঠিকাদার তাঁর ট্রান্সফরমার তুলে দেননি। ট্রান্সফরমার তুলতে দেরি হলে বোরো আবাদও বিলম্বিত হচ্ছে।
এ ছাড়া উপজেলার দোগাড়িয়া এলাকার মোয়াজ্জেম হোসেনসহ একাধিক কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় প্রতিটি সেচযন্ত্রের কাজ করার সময় প্রকারভেদে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা বকশিশ দিতে কৃষকদের বাধ্য করেন। যার কোনো নিয়ম নেই।
তবে উল্লাপাড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নির্ধারিত ঠিকাদার সাইম এন্টারপ্রাইজের মালিক রকি হোসেন এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘বকশিশ সবাই দেয় না। আর কৃষকদের সেচযন্ত্রের খুঁটিতে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার তুলতে আমরা তাগাদা দিয়ে থাকি। বরং তাঁরাই সাড়া দেন না।’
তাড়াশ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারের ম্যানেজার মো. আশরাফ আলী খান বলেন, ‘বোরো মৌসুমে আমাদের এখানে কৃষক পুনঃসংযোগ ও ট্রান্সফরমার উত্তোলনের জন্য নির্ধারিত ফি দিয়ে আবেদন করেন। আর আবেদন পাওয়ার পর আমরা তা দ্রুত কাজ করার জন্য নির্ধারিত ঠিকাদারের নিকট পাঠিয়ে দেই। আর তাঁরা কৃষকদের হয়রানি করলে নিয়মানুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪