আনিসুল হক জুয়েল, দিনাজপুর
দিনাজপুরে লোকসানের মুখে একের পর এক বন্ধ হচ্ছে পোলট্রি খামার। প্রতিদিনই লাফিয়ে বাড়ছে মুরগির বাচ্চা ও পোলট্রি ফিডের দাম।
কিন্তু সে অনুপাতে লাভ না আসছে না। এই অবস্থায় আমিষের ঘাটতি পূরণে বাচ্চা ও খাবারের দাম কমানোসহ এ খাতে সরকারি সহায়তার দাবি জানিয়েছেন খামারিরা। তা না হলে ছোট খামারগুলো বন্ধ হয়ে গেলে ডিম ও মুরগির দাম দ্বিগুণ হবে বলে মনে করেন তাঁরা।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আলতাফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাজারে সবকিছুর সঙ্গে বেড়েছে পোলট্রি খাদ্যের দাম। এতে ছোট খামারিরা কুলিয়ে উঠতে পারছেন না। ফলে অনেক খামার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
পোলট্রি শিল্পকে বাঁচাতে পোলট্রি খাদ্যে ভর্তুকি দেওয়া আবশ্যক বলে মনে করেন তিনি।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী জেলায় সব মিলিয়ে ১ হাজার ৮৭৬টি পোলট্রি খামার আছে। তবে খামারিদের হিসাবে এ
সংখ্যা হাজারেরও বেশি। এসব খামারে ৫০০ থেকে ১ লাখ পর্যন্ত মুরগি রয়েছে। গত কয়েক দিন দিনাজপুর সদর, চিরিরবন্দর ও বিরলসহ
কয়েকটি উপজেলার বেশকিছু খামার ঘুরে দেখা গেছে, গত বছরও মুরগির কক কক শব্দে মুখর ছিল যে খামারগুলো, সেখানে এখন সুনসান নীরবতা। মুরগির বাচ্চা আর খাদ্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে পুষিয়ে উঠতে না পেরে মুরগি কমিয়ে ফেলছেন খামারিরা।
কেউবা পুঁজি হারানোর ভয়ে একেবারেই খামার গুটিয়ে নিয়েছেন।
চিরিরবন্দর উপজেলার আন্ধারমুহা গ্রামের সোনালি মুরগির খামারি আব্দুস সালাম বলেন, মুরগির খামার করে আর টিকে থাকা যাচ্ছে না। তার খামারে ২ হাজার ২০০ মুরগি বিক্রি করা পর্যন্ত খরচ হয়েছে ২ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। আর বিক্রি করেছেন ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা। একটি শেডেই তিনি লোকসান দিয়েছেন ১৯ হাজার টাকা।
একই উপজেলার হাজির মোড়ের খামারি দুলাল ইসলাম বলেন, ‘প্রবাস থেকে ফিরে মুরগির খামার করছি, এখন পুঁজি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ছি। মুরগির বাচ্চা আর খাদ্যের দামের সঙ্গে পেরে ওঠা যাচ্ছে না।
মুরগির বাচ্চার দাম এর আগে ২৫ থেকে ৩১ টাকা করে কিনেছি; আর গত শেডে কিনেছি ১ হাজার ৫০০ বাচ্চা, প্রতিটি ৬১ টাকা করে। ২ হাজার ৭০০ টাকার খাদ্য এবার কিনেছি ৩ হাজার ১০০ টাকায়, তাহলে কিভাবে খামার করে লাভবান হব।’
বিরল উপজেলার খামারি খলিলুল্লাহর তিনটি শেড ছিল। মুরগি ছিল চার হাজার। এখন দুটি শেড বন্ধ।
একটিতে ১ হাজার ২০০ মুরগি আছে। জানালেন মুরগির বয়স বেশি হওয়ায় ডিমের পরিমাণও কমে গেছে। সেই সঙ্গে ওজন কমেছে ডিমের। নতুন করে এবার মুরগি তোলেননি।
দিনাজপুরে লোকসানের মুখে একের পর এক বন্ধ হচ্ছে পোলট্রি খামার। প্রতিদিনই লাফিয়ে বাড়ছে মুরগির বাচ্চা ও পোলট্রি ফিডের দাম।
কিন্তু সে অনুপাতে লাভ না আসছে না। এই অবস্থায় আমিষের ঘাটতি পূরণে বাচ্চা ও খাবারের দাম কমানোসহ এ খাতে সরকারি সহায়তার দাবি জানিয়েছেন খামারিরা। তা না হলে ছোট খামারগুলো বন্ধ হয়ে গেলে ডিম ও মুরগির দাম দ্বিগুণ হবে বলে মনে করেন তাঁরা।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আলতাফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাজারে সবকিছুর সঙ্গে বেড়েছে পোলট্রি খাদ্যের দাম। এতে ছোট খামারিরা কুলিয়ে উঠতে পারছেন না। ফলে অনেক খামার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
পোলট্রি শিল্পকে বাঁচাতে পোলট্রি খাদ্যে ভর্তুকি দেওয়া আবশ্যক বলে মনে করেন তিনি।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী জেলায় সব মিলিয়ে ১ হাজার ৮৭৬টি পোলট্রি খামার আছে। তবে খামারিদের হিসাবে এ
সংখ্যা হাজারেরও বেশি। এসব খামারে ৫০০ থেকে ১ লাখ পর্যন্ত মুরগি রয়েছে। গত কয়েক দিন দিনাজপুর সদর, চিরিরবন্দর ও বিরলসহ
কয়েকটি উপজেলার বেশকিছু খামার ঘুরে দেখা গেছে, গত বছরও মুরগির কক কক শব্দে মুখর ছিল যে খামারগুলো, সেখানে এখন সুনসান নীরবতা। মুরগির বাচ্চা আর খাদ্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে পুষিয়ে উঠতে না পেরে মুরগি কমিয়ে ফেলছেন খামারিরা।
কেউবা পুঁজি হারানোর ভয়ে একেবারেই খামার গুটিয়ে নিয়েছেন।
চিরিরবন্দর উপজেলার আন্ধারমুহা গ্রামের সোনালি মুরগির খামারি আব্দুস সালাম বলেন, মুরগির খামার করে আর টিকে থাকা যাচ্ছে না। তার খামারে ২ হাজার ২০০ মুরগি বিক্রি করা পর্যন্ত খরচ হয়েছে ২ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। আর বিক্রি করেছেন ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা। একটি শেডেই তিনি লোকসান দিয়েছেন ১৯ হাজার টাকা।
একই উপজেলার হাজির মোড়ের খামারি দুলাল ইসলাম বলেন, ‘প্রবাস থেকে ফিরে মুরগির খামার করছি, এখন পুঁজি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ছি। মুরগির বাচ্চা আর খাদ্যের দামের সঙ্গে পেরে ওঠা যাচ্ছে না।
মুরগির বাচ্চার দাম এর আগে ২৫ থেকে ৩১ টাকা করে কিনেছি; আর গত শেডে কিনেছি ১ হাজার ৫০০ বাচ্চা, প্রতিটি ৬১ টাকা করে। ২ হাজার ৭০০ টাকার খাদ্য এবার কিনেছি ৩ হাজার ১০০ টাকায়, তাহলে কিভাবে খামার করে লাভবান হব।’
বিরল উপজেলার খামারি খলিলুল্লাহর তিনটি শেড ছিল। মুরগি ছিল চার হাজার। এখন দুটি শেড বন্ধ।
একটিতে ১ হাজার ২০০ মুরগি আছে। জানালেন মুরগির বয়স বেশি হওয়ায় ডিমের পরিমাণও কমে গেছে। সেই সঙ্গে ওজন কমেছে ডিমের। নতুন করে এবার মুরগি তোলেননি।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪