আল মামুন জীবন, বালিয়াডাঙ্গী (ঠাকুরগাঁও)
দূর থেকে দেখলেই মনে হবে বিশাল আকৃতির বট কিংবা এজাতীয় কোনো গাছ নিজেকে ছড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছে। কাছে গেলে বোঝা যায়, এটি আসলে একটি আমগাছ। প্রায় তিন একর জমির ওপর ডালপালা ছড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছে দুই শতাব্দী প্রাচীন সূর্যপুরী জাতের আমগাছটি।
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার হরিণমারী গ্রামে গেলে গাছটির দেখা পাওয়া যায়। অনেকেই গাছটি দেখতে এখানে ছুটে আসেন। ঢাকা থেকে সড়কপথে বাসে করে সরাসরি বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় পৌঁছানো যায়। আকাশপথে যেতে চাইলে আগে সৈয়দপুর যেতে হবে। এর পর সেখান থেকে সড়কপথে বালিয়াডাঙ্গী যেতে হবে। এ ছাড়া রেলপথেও যাওয়া যায়। সে ক্ষেত্রে সৈয়দপুর অথবা দিনাজপুর গিয়ে সড়কপথে বালিয়াডাঙ্গী যেতে হবে। উপজেলা সদর থেকে ভ্যান, বাস বা মিশুকে চেপে সহজেই পৌঁছানো যায় হরিণমারী গ্রামে।
স্থানীয় সাইদুর রহমান ও নূর ইসলামের জমিতে দাঁড়িয়ে আছে আমগাছটি। তাঁরা জানান, পূর্বপুরুষের লাগানো এ গাছটির মালিকানা তাঁরা পৈত্রিক সূত্রে পেয়েছেন। পূর্বপুরুষের কথা অনুযায়ী গাছটির বয়স ২২৪ বছরের বেশি।
সম্প্রতি হরিণমারী গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বিশাল আকৃতির আমগাছটি ডালপালা ছড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছে। কাণ্ড খুব বেশি বড় না হলেও এর ডালগুলো অনেক বড়। চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে এসব। বয়স কিংবা অতি ভার—যে কারণেই হোক, কোনো কোনো ডাল একেবারে মাটি ছুঁয়েছে। দেখলে মনে হবে, গা এলিয়ে যেন ধুলোমাখা মাটিতে বিশ্রাম করছে ডালগুলো। গাছটি দেখতে অনেকেই এসেছেন। তবে বিনা মূল্যে গাছের ছায়াতলে যাওয়া যাবে না। রীতিমতো টিকিট কেটে গাছ দর্শন করতে হচ্ছে দর্শনার্থীদের। টিকিটের মূল্য ১০ টাকা।
শুধু কী তাই, এই গাছের আমেরও চাহিদা রয়েছে। গত মৌসুমে এই গাছের আম তিন বছরের জন্য কিনে নিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী সোলেমান আলী। তিনি জানালেন, বাজারে অন্য বাগানের সূর্যপুরী আমের তুলনায় এ গাছের আম বিক্রি হয় তিন-চারগুণ বেশি দরে।
সম্প্রতি নীলফামারী থেকে গাছটিকে দেখতে এসেছিলেন কলেজছাত্র আসাদুল হক। তিনি বলেন, ‘বন্ধুমহল অনেকেই এসে গাছটি দেখে গেছে। আমার আসার সুযোগ হয়নি। তাই দেখতে এসেছি। ছবি ও ভিডিও দেখে যতটা বড় মনে করেছিলাম গাছটিকে, এসে দেখি তার চেয়েও বড়।’ নীলফামারী থেকে আসা স্কুলশিক্ষক মমতাজ উদ্দীন জানান, ‘ভিডিও স্ট্রিমিং সাইট ইউটিউবে আমগাছটির ভিডিও দেখে গাছটি স্বচক্ষে দেখার আগ্রহ হয়। তাই সপরিবারে চলে এসেছি।’
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আকালু আজকের পত্রিকাকে বলেন, আমগাছটি ঘিরে ছোটখাট পর্যটন গড়ে উঠেছে। বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দর্শনার্থী আসে। দর্শনার্থীদের জন্য থাকা-খাওয়ার মানসম্পন্ন ব্যবস্থা করতে পারলে দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়বে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন।
বালিয়াডাঙ্গীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) যোবায়ের হোসেন বলেন, গাছটি রক্ষণাবেক্ষণসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে জায়গাটিকে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে ইতিমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পরিকল্পনা তৈরি করে জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানোও হয়েছে। খুব শিগগির পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
দূর থেকে দেখলেই মনে হবে বিশাল আকৃতির বট কিংবা এজাতীয় কোনো গাছ নিজেকে ছড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছে। কাছে গেলে বোঝা যায়, এটি আসলে একটি আমগাছ। প্রায় তিন একর জমির ওপর ডালপালা ছড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছে দুই শতাব্দী প্রাচীন সূর্যপুরী জাতের আমগাছটি।
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার হরিণমারী গ্রামে গেলে গাছটির দেখা পাওয়া যায়। অনেকেই গাছটি দেখতে এখানে ছুটে আসেন। ঢাকা থেকে সড়কপথে বাসে করে সরাসরি বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় পৌঁছানো যায়। আকাশপথে যেতে চাইলে আগে সৈয়দপুর যেতে হবে। এর পর সেখান থেকে সড়কপথে বালিয়াডাঙ্গী যেতে হবে। এ ছাড়া রেলপথেও যাওয়া যায়। সে ক্ষেত্রে সৈয়দপুর অথবা দিনাজপুর গিয়ে সড়কপথে বালিয়াডাঙ্গী যেতে হবে। উপজেলা সদর থেকে ভ্যান, বাস বা মিশুকে চেপে সহজেই পৌঁছানো যায় হরিণমারী গ্রামে।
স্থানীয় সাইদুর রহমান ও নূর ইসলামের জমিতে দাঁড়িয়ে আছে আমগাছটি। তাঁরা জানান, পূর্বপুরুষের লাগানো এ গাছটির মালিকানা তাঁরা পৈত্রিক সূত্রে পেয়েছেন। পূর্বপুরুষের কথা অনুযায়ী গাছটির বয়স ২২৪ বছরের বেশি।
সম্প্রতি হরিণমারী গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বিশাল আকৃতির আমগাছটি ডালপালা ছড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছে। কাণ্ড খুব বেশি বড় না হলেও এর ডালগুলো অনেক বড়। চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে এসব। বয়স কিংবা অতি ভার—যে কারণেই হোক, কোনো কোনো ডাল একেবারে মাটি ছুঁয়েছে। দেখলে মনে হবে, গা এলিয়ে যেন ধুলোমাখা মাটিতে বিশ্রাম করছে ডালগুলো। গাছটি দেখতে অনেকেই এসেছেন। তবে বিনা মূল্যে গাছের ছায়াতলে যাওয়া যাবে না। রীতিমতো টিকিট কেটে গাছ দর্শন করতে হচ্ছে দর্শনার্থীদের। টিকিটের মূল্য ১০ টাকা।
শুধু কী তাই, এই গাছের আমেরও চাহিদা রয়েছে। গত মৌসুমে এই গাছের আম তিন বছরের জন্য কিনে নিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী সোলেমান আলী। তিনি জানালেন, বাজারে অন্য বাগানের সূর্যপুরী আমের তুলনায় এ গাছের আম বিক্রি হয় তিন-চারগুণ বেশি দরে।
সম্প্রতি নীলফামারী থেকে গাছটিকে দেখতে এসেছিলেন কলেজছাত্র আসাদুল হক। তিনি বলেন, ‘বন্ধুমহল অনেকেই এসে গাছটি দেখে গেছে। আমার আসার সুযোগ হয়নি। তাই দেখতে এসেছি। ছবি ও ভিডিও দেখে যতটা বড় মনে করেছিলাম গাছটিকে, এসে দেখি তার চেয়েও বড়।’ নীলফামারী থেকে আসা স্কুলশিক্ষক মমতাজ উদ্দীন জানান, ‘ভিডিও স্ট্রিমিং সাইট ইউটিউবে আমগাছটির ভিডিও দেখে গাছটি স্বচক্ষে দেখার আগ্রহ হয়। তাই সপরিবারে চলে এসেছি।’
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আকালু আজকের পত্রিকাকে বলেন, আমগাছটি ঘিরে ছোটখাট পর্যটন গড়ে উঠেছে। বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দর্শনার্থী আসে। দর্শনার্থীদের জন্য থাকা-খাওয়ার মানসম্পন্ন ব্যবস্থা করতে পারলে দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়বে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন।
বালিয়াডাঙ্গীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) যোবায়ের হোসেন বলেন, গাছটি রক্ষণাবেক্ষণসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে জায়গাটিকে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে ইতিমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পরিকল্পনা তৈরি করে জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানোও হয়েছে। খুব শিগগির পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৮ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৮ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৮ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫