Ajker Patrika

আগামী সপ্তাহে শুরু ধান সংগ্রহ

নোয়াখালী প্রতিনিধি
আপডেট : ১২ মে ২০২২, ১৩: ৫৩
Thumbnail image

নোয়াখালীতে আগামী সপ্তাহ থেকে শুরু হচ্ছে বোরো ধান সংগ্রহ। ইতিমধ্যে জেলার ৯টি উপজেলায় ৯৭ ভাগ ধান কাটা শেষ হয়েছে। আবহাওয়া ঠিক থাকলে চলতি সপ্তাহে শতভাগ ধান কাটা শেষ হবে বলে আশা করছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, জেলায় গত বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে বোরোর আবাদ বেড়েছে। চলতি মৌসুমে ৯২ হাজার ২১০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে জেলার সদর উপজেলায় ৭ হাজার ৯৪০ হেক্টর, কবিরহাটে ৯ হাজার ৫০০ হেক্টর, কোম্পানীগঞ্জে ৭ হাজার ৪৯০ হেক্টর, সুবর্ণচরে ১৩ হাজার হেক্টর, হাতিয়ায় ১১ হাজার ৫৫০ হেক্টর, বেগমগঞ্জে ১৬ হাজার ৬৬০ হেক্টর, সেনবাগে ৮ হাজার ৮২০ হেক্টর, চাটখিলে ৭ হাজার ৪০০ হেক্টর, সোনাইমুড়ীতে ৯ হাজার ৮৫০ হেক্টরসহ ৯২ হাজার ২১০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে।

এ ছাড়া চলতি মৌসুমে বোরো ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৮০২ মেট্রিক টন। আবহাওয়া ভালো থাকায় এবার বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে। সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত জেলায় ৪ লাখ ৩১ হাজার ৪৩৮ মেট্রিক টন ধান উৎপাদিত হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭১ হাজার ৬৩৬ মেট্রিক টন বেশি।

কৃষকদের ধান কাটার সুবিধার জন্য জেলার ৪টি উপজেলায় ৭০ ভাগ এবং ৫টি উপজেলায় ৫০ ভাগ সরকারি ভর্তুকি দিয়ে ৬৪টি কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন উপজেলা কৃষি কার্যালয়ে সরবরাহ করা হয়েছে।

এদিকে সারা দেশে গত ২৮ এপ্রিল ধান সংগ্রহ শুরু হলেও নোয়াখালীতে শতভাগ ধান কাটা এবং না শুকানোয় এখনো তা শুরু করেনি খাদ্য নিয়ন্ত্রণ বিভাগ। তবে আগামী সপ্তাহের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ধান সংগ্রহ শুরু করবেন তাঁরা। প্রতি মণ ধান ১ হাজার ৮০ টাকা করে কৃষকপ্রতি সর্বনিম্ন ১২০ কেজি ও সর্বোচ্চ ৩ টন পর্যন্ত শুকনো ধান সংগ্রহ করা হবে।

জেলা কৃষি প্রকৌশলী শারমিন নাসরিন বলেন, কৃষকদের চাহিদাপত্রের ভিত্তিতে নিজ নিজ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন কৃষকদের সরবরাহ করেন। বোরো মৌসুমে জেলার প্রায় ৩০ ভাগ ধান কাটায় এ মেশিন ব্যবহার করা হয়।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) হুমায়ন কবির বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে জেলার সদর, বেগমগঞ্জ, চাটখিল, কোম্পানীগঞ্জ ও সুবর্ণচর উপজেলায় কৃষি নিবন্ধিত অ্যাপের মাধ্যমে কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করা হবে। এ ছাড়া অন্য উপজেলার কৃষকদের উপজেলা কমিটির তালিকার ভিত্তিতে তা যাচাই-বাছাই করে যাঁদের নাম চূড়ান্ত তালিকায় আসবে, সেসব কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় করা হবে। তালিকাভুক্ত কৃষকদের বিক্রি করতে আনা ধান কোনো কারণে ভেজা থাকলে তা তাঁদের খরচে মেশিনে শুকিয়ে ক্রয় করা হবে। ধান বিক্রি করতে আসা কোনো কৃষককে ফিরিয়ে দেওয়া হবে না বলেও জানান এ কর্মকর্তা।

নোয়াখালী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. শহীদুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, বোরো মৌসুমের শুরুতে জেলার ১০ হাজার কৃষকের মাঝে উফশী বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ২৭ হাজার চাষিকে হাইব্রিড বোরো বীজ এবং বিভিন্ন প্রকল্পের অধীনে কৃষকদের খেত প্রদর্শনী ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত