সেনবাগ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
নোয়াখালীর সেনবাগবাসীর জন্য শোকাবহ এক দিন ১৯ ফেব্রুয়ারি। ১৯৬৯ সালের এই দিনে পাকিস্তানি পুলিশের গুলিতে সেনবাগের চার যুবক নিহত হয়েছিলেন।
নিহত চার যুবক হলেন পৌর শহরের অর্জুনতলা গ্রামের অফিজের রহমান, বাবুপুর গ্রামের আবুল কালাম, জিরুয়া গ্রামের সামছুল হক ও মোহাম্মদপুর গ্রামের খুরশিদ আলম। ওই ঘটনায় পুলিশের গুলিতে আরও ১৮ জন গুরুতর আহত হয়েছিলেন।
উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান, ছয় দফা, ছাত্রদের ১১ দফা দাবি আদায়ের সংগ্রামে জাতি তখন ঐক্যবদ্ধ। এ সময় আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার ১৭ নম্বর আসামি নোয়াখালীর সন্তান ফ্লাইট সার্জেন্ট জহুরুল হককে ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে বন্দী অবস্থায় হত্যা করা হয়। সার্জেন্ট জহুরুল হক ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. সামসুজ্জোহাকে হত্যার প্রতিবাদে ১৯ ফেব্রুয়ারি সেনবাগে কালো দিবস পালনকালে পুলিশের গুলিতে চার যুবক নিহত হন।
দীর্ঘ ৫২ বছর পেরিয়ে গেলেও সেই ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পায়নি। ঘটনার পর ২২ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেনবাগে এসে শহীদদের কবর জিয়ারত করে পরিবারের লোকজনের হাতে ৫০০ টাকা অনুদান ও একটি করে সনদপত্র তুলে দেন।
সরকারিভাবে আর কোনো সুযোগ-সুবিধা মেলেনি। জিরুয়া গ্রামের শহীদ সামছুল হকের মা স্বামীর সম্পত্তি বিক্রি করে ছেলের কবর পাকা করেন। তা ছাড়া ছেলের নামে একটি মসজিদের নির্মাণকাজ শুরু করার কিছুদিন পর ইন্তেকাল করেন।
চার শহীদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে বছরের পর বছর সেনবাগ প্রেসক্লাব, মুক্তিযোদ্ধা, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন সংগঠনের অংশগ্রহণে মানববন্ধন, স্মারকলিপি পেশসহ নানা কর্মসূচি পালন করা হয়। ১৯ ফেব্রুয়ারি এলে স্বজনেরা দোয়া ও মিলাদের আয়োজন করে চোখের জলে তাঁদের স্মরণ করেন।
গণমাধ্যমকর্মী ও পেশাজীবীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালে সেনবাগ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আহম্মদ চৌধুরী উপজেলা পরিষদের তহবিল থেকে চার শহীদের কবর পাকাকরণ ও স্মৃতিফলক নির্মাণ করে দেন।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাফর আহম্মদ চৌধুরী বলেন, ‘চার শহীদের নামানুসারে চারটি রাস্তার নামকরণ ও একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের যৌক্তিক দাবিগুলো পূরণের চেষ্টা করব। চার পরিবারের সদস্যদের পুনর্বাসন এবং রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির বিষয়টি ওপর মহলের বিষয়।’
যাঁদের রক্তের সিঁড়ি বেয়ে জাতি আজ মুক্ত স্বাধীন, উনসত্তরের পথ বেয়ে পরবর্তী সময়ে একাত্তরের স্বাধিকার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা লাভ।
পাকিস্তানি পুলিশের সেদিনের বর্বরতার তিলক ধারণ করে আজও বেঁচে আছেন উনসত্তরে ডান হাতে গুলিবিদ্ধ পঙ্গু হরিয়ানা গ্রামের আহত মাস্টার নাছির উদ্দিন। এত দিনেও চার শহীদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি না মেলায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
নোয়াখালীর সেনবাগবাসীর জন্য শোকাবহ এক দিন ১৯ ফেব্রুয়ারি। ১৯৬৯ সালের এই দিনে পাকিস্তানি পুলিশের গুলিতে সেনবাগের চার যুবক নিহত হয়েছিলেন।
নিহত চার যুবক হলেন পৌর শহরের অর্জুনতলা গ্রামের অফিজের রহমান, বাবুপুর গ্রামের আবুল কালাম, জিরুয়া গ্রামের সামছুল হক ও মোহাম্মদপুর গ্রামের খুরশিদ আলম। ওই ঘটনায় পুলিশের গুলিতে আরও ১৮ জন গুরুতর আহত হয়েছিলেন।
উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান, ছয় দফা, ছাত্রদের ১১ দফা দাবি আদায়ের সংগ্রামে জাতি তখন ঐক্যবদ্ধ। এ সময় আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার ১৭ নম্বর আসামি নোয়াখালীর সন্তান ফ্লাইট সার্জেন্ট জহুরুল হককে ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে বন্দী অবস্থায় হত্যা করা হয়। সার্জেন্ট জহুরুল হক ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. সামসুজ্জোহাকে হত্যার প্রতিবাদে ১৯ ফেব্রুয়ারি সেনবাগে কালো দিবস পালনকালে পুলিশের গুলিতে চার যুবক নিহত হন।
দীর্ঘ ৫২ বছর পেরিয়ে গেলেও সেই ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পায়নি। ঘটনার পর ২২ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেনবাগে এসে শহীদদের কবর জিয়ারত করে পরিবারের লোকজনের হাতে ৫০০ টাকা অনুদান ও একটি করে সনদপত্র তুলে দেন।
সরকারিভাবে আর কোনো সুযোগ-সুবিধা মেলেনি। জিরুয়া গ্রামের শহীদ সামছুল হকের মা স্বামীর সম্পত্তি বিক্রি করে ছেলের কবর পাকা করেন। তা ছাড়া ছেলের নামে একটি মসজিদের নির্মাণকাজ শুরু করার কিছুদিন পর ইন্তেকাল করেন।
চার শহীদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে বছরের পর বছর সেনবাগ প্রেসক্লাব, মুক্তিযোদ্ধা, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন সংগঠনের অংশগ্রহণে মানববন্ধন, স্মারকলিপি পেশসহ নানা কর্মসূচি পালন করা হয়। ১৯ ফেব্রুয়ারি এলে স্বজনেরা দোয়া ও মিলাদের আয়োজন করে চোখের জলে তাঁদের স্মরণ করেন।
গণমাধ্যমকর্মী ও পেশাজীবীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালে সেনবাগ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আহম্মদ চৌধুরী উপজেলা পরিষদের তহবিল থেকে চার শহীদের কবর পাকাকরণ ও স্মৃতিফলক নির্মাণ করে দেন।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাফর আহম্মদ চৌধুরী বলেন, ‘চার শহীদের নামানুসারে চারটি রাস্তার নামকরণ ও একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের যৌক্তিক দাবিগুলো পূরণের চেষ্টা করব। চার পরিবারের সদস্যদের পুনর্বাসন এবং রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির বিষয়টি ওপর মহলের বিষয়।’
যাঁদের রক্তের সিঁড়ি বেয়ে জাতি আজ মুক্ত স্বাধীন, উনসত্তরের পথ বেয়ে পরবর্তী সময়ে একাত্তরের স্বাধিকার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা লাভ।
পাকিস্তানি পুলিশের সেদিনের বর্বরতার তিলক ধারণ করে আজও বেঁচে আছেন উনসত্তরে ডান হাতে গুলিবিদ্ধ পঙ্গু হরিয়ানা গ্রামের আহত মাস্টার নাছির উদ্দিন। এত দিনেও চার শহীদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি না মেলায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
২ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪