সম্পাদকীয়
অনেকেই আমরা এখন মাস্ক পরা ছেড়ে দিয়েছি। অথচ করোনা আমাদের পিছু ছাড়ছে না। এই তো সেদিনের খবর, ১৮ জুলাই, দেশে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনায়। ২৪ ঘণ্টায় ১০ হাজারের বেশি মানুষ হয়েছে আক্রান্ত। অথচ আমরা যদি আগের মতো নিয়মিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতাম, তাহলে হয়তো এই সংখ্যা হতো আরও কম।
কোভিড যখন খুব করে ছড়াচ্ছিল, তখন নিয়মিত স্বাস্থ্যবিধি মানার চেষ্টা করা হয়েছে। মাস্ক ভেদ করে নাসারন্ধ্র দিয়ে করোনার প্রবেশ করাটা বেশ মুশকিল। আমরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থেকেছি। সাবান দিয়ে হাত ধুয়েছি বা স্যানিটাইজ করেছি। মাস্ক পরেছি। করোনার পাশাপাশি অন্য অসুখ-বিসুখ পর্যন্ত কমে গিয়েছিল।
এখন আবার আমরা বেপরোয়া হয়েছি। ভাবছি, করোনার টিকা নেওয়া হয়ে গেছে, এখন আর স্বাস্থ্যবিধি না মানলেও চলবে! করোনা তাই আমাদের বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দোর্দণ্ড প্রতাপ নিয়ে আবার সক্রিয় হয়েছে।
আমরা করোনা থেকে বাঁচতে ওষুধপথ্য আর টিকার সাহায্য নিয়েছি। দুষ্ট করোনারও তো বাঁচার খায়েশ আছে! তাই সে সুযোগ পেলেই নিজেকে পাল্টে নিয়ে মানুষের শরীরে ঢুকে যায়। দিনের পর দিন বেঁচে থাকার লড়াইয়ে সে ভোল পাল্টায়—আমরা এক ভ্যারিয়েন্টকে কাবু করতে না করতে আরেক ভ্যারিয়েন্ট চলে আসে।
আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলার উদাসীনতা যে এর জন্য দায়ী, তা নতুন করে ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। সঙ্গে যোগ করা যায় যত্রতত্র কফ-থুতু ফেলা, মাস্ক ছাড়া হাঁচি-কাশি দেওয়া। সাধারণ ফ্লু-ও এই সুযোগ হাতছাড়া করে না।
এখন গোদের ওপর বিষফোড়া হয়ে সামনে এসেছে ডেঙ্গু। একটা সময় ডেঙ্গু নিয়ে ভয় কমে এসেছিল জনমনে। কিন্তু এখন আবার ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ায় তা নিয়ে কপালে পড়ছে দুশ্চিন্তার ভাঁজ। গতকাল আজকের পত্রিকার এক খবরে বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৭০ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত ও ভর্তি হয়েছে, যা এ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগের দিনও রেকর্ড রোগী শনাক্ত হয়েছিল। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে ২৪৪ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, এই বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত ও ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ৯১০ জন।
কীটতত্ত্ববিদেরা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন এই বলে যে দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি চূড়ায় উঠবে আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে। করোনার পাশাপাশি এখন ডেঙ্গু সামাল দেওয়া সরকারের জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার। তবে আমাদের একটু সচেতনতা এই চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। এডিস মশার বিস্তারখানা ধ্বংস করার উপায়ও সবার জানা আছে। আর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেসব বক্তব্য দিয়েছিল করোনা কিংবা ডেঙ্গু প্রতিরোধে, সেসবের বাস্তবায়ন হওয়ার প্রত্যাশা তো দেশবাসী করতেই পারে। শুধু মুখের কথায় তো আর চিড়ে ভেজে না। তাই কথার প্রতিশ্রুতি যেন রক্ষা করা হয়।
শঙ্কাটা সবাই জানি। এবার আসুন তা বুঝে সচেতন হই।
অনেকেই আমরা এখন মাস্ক পরা ছেড়ে দিয়েছি। অথচ করোনা আমাদের পিছু ছাড়ছে না। এই তো সেদিনের খবর, ১৮ জুলাই, দেশে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনায়। ২৪ ঘণ্টায় ১০ হাজারের বেশি মানুষ হয়েছে আক্রান্ত। অথচ আমরা যদি আগের মতো নিয়মিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতাম, তাহলে হয়তো এই সংখ্যা হতো আরও কম।
কোভিড যখন খুব করে ছড়াচ্ছিল, তখন নিয়মিত স্বাস্থ্যবিধি মানার চেষ্টা করা হয়েছে। মাস্ক ভেদ করে নাসারন্ধ্র দিয়ে করোনার প্রবেশ করাটা বেশ মুশকিল। আমরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থেকেছি। সাবান দিয়ে হাত ধুয়েছি বা স্যানিটাইজ করেছি। মাস্ক পরেছি। করোনার পাশাপাশি অন্য অসুখ-বিসুখ পর্যন্ত কমে গিয়েছিল।
এখন আবার আমরা বেপরোয়া হয়েছি। ভাবছি, করোনার টিকা নেওয়া হয়ে গেছে, এখন আর স্বাস্থ্যবিধি না মানলেও চলবে! করোনা তাই আমাদের বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দোর্দণ্ড প্রতাপ নিয়ে আবার সক্রিয় হয়েছে।
আমরা করোনা থেকে বাঁচতে ওষুধপথ্য আর টিকার সাহায্য নিয়েছি। দুষ্ট করোনারও তো বাঁচার খায়েশ আছে! তাই সে সুযোগ পেলেই নিজেকে পাল্টে নিয়ে মানুষের শরীরে ঢুকে যায়। দিনের পর দিন বেঁচে থাকার লড়াইয়ে সে ভোল পাল্টায়—আমরা এক ভ্যারিয়েন্টকে কাবু করতে না করতে আরেক ভ্যারিয়েন্ট চলে আসে।
আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলার উদাসীনতা যে এর জন্য দায়ী, তা নতুন করে ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। সঙ্গে যোগ করা যায় যত্রতত্র কফ-থুতু ফেলা, মাস্ক ছাড়া হাঁচি-কাশি দেওয়া। সাধারণ ফ্লু-ও এই সুযোগ হাতছাড়া করে না।
এখন গোদের ওপর বিষফোড়া হয়ে সামনে এসেছে ডেঙ্গু। একটা সময় ডেঙ্গু নিয়ে ভয় কমে এসেছিল জনমনে। কিন্তু এখন আবার ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ায় তা নিয়ে কপালে পড়ছে দুশ্চিন্তার ভাঁজ। গতকাল আজকের পত্রিকার এক খবরে বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৭০ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত ও ভর্তি হয়েছে, যা এ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগের দিনও রেকর্ড রোগী শনাক্ত হয়েছিল। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে ২৪৪ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, এই বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত ও ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ৯১০ জন।
কীটতত্ত্ববিদেরা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন এই বলে যে দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি চূড়ায় উঠবে আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে। করোনার পাশাপাশি এখন ডেঙ্গু সামাল দেওয়া সরকারের জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার। তবে আমাদের একটু সচেতনতা এই চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। এডিস মশার বিস্তারখানা ধ্বংস করার উপায়ও সবার জানা আছে। আর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেসব বক্তব্য দিয়েছিল করোনা কিংবা ডেঙ্গু প্রতিরোধে, সেসবের বাস্তবায়ন হওয়ার প্রত্যাশা তো দেশবাসী করতেই পারে। শুধু মুখের কথায় তো আর চিড়ে ভেজে না। তাই কথার প্রতিশ্রুতি যেন রক্ষা করা হয়।
শঙ্কাটা সবাই জানি। এবার আসুন তা বুঝে সচেতন হই।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৫ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪