সৌগত বসু, ঢাকা
২০১৩ সালের সাভারে রানা প্লাজা ধসে মারা গিয়েছিলেন ১ হাজার ১৩৪ জন মানুষ। এরপর পেরিয়ে গেছে ১০ বছর। ১০ দিন আগে ঢাকা শহরের সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণে ধসে পড়ল একটি ভবনের কিছু অংশ। প্রাণ গেল ২৪ জনের। কিন্তু উদ্ধারকাজে অপ্রস্তুতি-ধীরগতি-ভোগান্তি সেই ১০ বছর আগের মতোই।
এই অবস্থায় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকাসহ দেশের কিছু এলাকা বড় মাত্রার ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে আছে। যদি তেমন কিছু হয়ে যায়, তাহলে প্রাণরক্ষা, ক্ষয়ক্ষতি সামলানোর প্রস্তুতি কতটুকু আছে কর্তৃপক্ষের। তুরস্ক ও সিরিয়ার সাম্প্রতিক বিধ্বংসী ভূমিকম্পের পর সেই উদ্বেগ-শঙ্কা আরও বড় হয়ে সামনে আসছে। কেননা দেশে প্রায় প্রতিটি বড় দুর্ঘটনার পরই প্রশ্ন উঠেছে উদ্ধারকাজের সক্ষমতা নিয়ে।
বড় ধরনের দুর্ঘটনায় সবার আগে ডাকা হয় ফায়ার সার্ভিসকে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, ভূমিকম্পের ওপর দেশে কাজ করার অভিজ্ঞতা কারও নেই। ফায়ার সার্ভিসে লোকবল সব মিলিয়ে ১০ থেকে ১২ হাজার। এটা নিতান্তই অপ্রতুল।
উদ্ধার সক্ষমতার বিষয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেন, ৪৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবী তৈরি করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস ও অন্যান্য বাহিনীকে ২২০ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি দেওয়া হয়েছে। আরও ২০০ কোটি টাকার দেওয়া হবে। দরকার হলে অন্য দেশের সহযোগিতা নেওয়া হবে।
ভয় ধরাচ্ছে সমীক্ষা-জরিপের ফল
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) অতিসম্প্রতি একটি সমীক্ষা চালিয়েছে। এতে জানা যাচ্ছে, মধুপুর ফল্টে দিনের বেলায় ৬ দশমিক ৯ মাত্রা ভূমিকম্প হলে ঢাকার ৮ লাখ ৬৪ হাজার ৬১৯টি ভবন অর্থাৎ মোট ভবনের ৪০ দশমিক ২৮ শতাংশ ভেঙে পড়বে। মৃত্যু হবে ২ লাখ ১০ হাজার মানুষের। আর্থিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা ২ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের। তখন বাড়িঘর, ভবন পুনর্নির্মাণে দরকার হবে ৪ হাজার ৩৭০ কোটি ডলার।
এই সমীক্ষা বলছে, সিলেট ফল্টে দিনের বেলায় ৭ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ঢাকায় ৪০ হাজার ৯৩৫টি ভবন ভেঙে পড়বে। মৃত্যু হবে ১৬ হাজার মানুষের। আর্থিক ক্ষতি হবে ৫০০ কোটি ডলার।
রাজউকের এই সমীক্ষাটি নিয়ে গতকাল বুধবার ঢাকায় বৈঠকে বসেছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। তবে বৈঠকটি কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তারা জানান।
এর আগে ২০০৯ সালে সরকারের সমন্বিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মসূচি (সিডিএমপি) ও জাপানের জাইকার যৌথ জরিপে বলা হয়, ঢাকায় সাত বা তার বেশি মাত্রার ভূমিকম্প হলে ৭২ হাজার ভবন ভেঙে পড়বে। ১ লাখ ৩৫ হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তৈরি হবে ৭ কোটি টন কংক্রিটের স্তূপ।
সমীক্ষা-জরিপে ভূমিকম্পের আশঙ্কা ও তাতে যে ক্ষয়ক্ষতির কথা বলছে, তা সামাল দেওয়ার কী প্রস্তুতি আছে, এমন প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যে পরিমাণ ধংসের কথা বলা হয়েছে, তাতে ব্যাপক পরিমাণ ধ্বংসাবশেষ (ডেব্রিজ) তৈরি হবে। এই ধ্বংসাবশেষ থেকে আহত ও নিহত মানুষদের উদ্ধার একটি বড় চ্যালেঞ্জ হবে।’ এ ক্ষেত্রে উদ্ধার সক্ষমতা বাড়ানো দরকার হবে বলে প্রতিমন্ত্রী মনে করেন।
ঝুঁকি বাড়াচ্ছে অপরিকল্পিত নগরায়ণ
২০২২ সালের জনশুমারি অনুযায়ী, ঢাকার দুই মহানগরীতে বর্তমানে ১ কোটি ২ লাখ ৭৮ হাজার ৭০৮ জন মানুষের বাস। আর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে ৩২ লাখ ২৭ হাজার ২৪৬ জন এবং সিলেট সিটি করপোরেশনে ১০ লাখ মানুষ থাকে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ভালনারেবিলিটি স্টাডিজের অধ্যাপক ড. খোন্দকার মোকাদ্দেম হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেশে মাত্র ৩ শতাংশ ভবন ভূমিকম্প সহ্য করতে পারবে।
নজরদারির অভাব ও বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের সমন্বয়হীনতা ঢাকায় দিন দিন ভয়াবহ ঝুঁকি তৈরি করছে বলে মনে করেন এই অধ্যাপক। তিনি বলেন, এখানে আবাসিক ভবনকে বাণিজ্যিক করা হয়েছে। অবৈধভাবে গ্যাস ও বিদ্যুতের সংযোগ নেওয়া হয়েছে। ফলে ভয়াবহতা আরও বাড়ার ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে।
ভূমিকম্পের ঝুঁকির দিক থেকে ঢাকা শহর রেড জোনের মধ্যে আছে উল্লেখ করে মোকাদ্দেম হোসেন বলেন, ১৯৯০ সালের বিল্ডিং কোডটি ২০১০-এ কার্যকর হয়েছে। ১৯৯০ সালের আগে যে ভবন তৈরি হয়েছে, তার ৯০ ভাগ ভেঙে পড়ার ঝুঁকি আছে। আর এতে যেসব মানুষ আটকা পড়বে, তাদের ২৫ ভাগ উদ্ধারের সক্ষমতা এখনো তৈরি করা যায়নি।
রাজউকের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকায় মোট ভবন ২১ লাখ ৪৭ হাজার ২১৯টি। এর মধ্যে পাকা ভবন ৫ লাখ ১৩ হাজার ৬০৭ টি। আর নির্মাণাধীন রয়েছে ২০ হাজার ৩২টি।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মেহেদী আহমেদ আনসারীর গবেষণা বলছে, দেশে ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার আশঙ্কা আছে। তবে এই ভূমিকম্প ঠিক কোন সময়ে হবে, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। তবে প্রতি ১০০ থেকে ১৫০ বছর পর ভূমিকম্প হতে পারে।
এই অধ্যাপক বলেন, ঢাকার গার্মেন্টস ও স্কুল নিয়ে রাজউকের একটি গবেষণা আছে। তাতে ২৫ শতাংশ গার্মেন্টস ও স্কুলভবন ঝুঁকিপূর্ণ বলা হয়েছিল। যদি স্কুল ও গার্মেন্টসের ক্ষেত্রে এমন হয় তাহলে মানুষ বাস করে, এমন ভবনের ক্ষেত্রে ঝুঁকি বেশি হবে।
বড় ভূমিকম্প হলে উদ্ধারকাজে সমস্যা থাকবেই, এ কথা উল্লেখ করে ফায়ার সার্ভিসের সাবেক মহাপরিচালক সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, ‘ভূমিকম্প নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা বলতে, প্রতি বছর আমেরিকার সঙ্গে মিলে দেশে ফায়ার সার্ভিস একটি মহড়া চালায়।’
২০১৩ সালের সাভারে রানা প্লাজা ধসে মারা গিয়েছিলেন ১ হাজার ১৩৪ জন মানুষ। এরপর পেরিয়ে গেছে ১০ বছর। ১০ দিন আগে ঢাকা শহরের সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণে ধসে পড়ল একটি ভবনের কিছু অংশ। প্রাণ গেল ২৪ জনের। কিন্তু উদ্ধারকাজে অপ্রস্তুতি-ধীরগতি-ভোগান্তি সেই ১০ বছর আগের মতোই।
এই অবস্থায় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকাসহ দেশের কিছু এলাকা বড় মাত্রার ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে আছে। যদি তেমন কিছু হয়ে যায়, তাহলে প্রাণরক্ষা, ক্ষয়ক্ষতি সামলানোর প্রস্তুতি কতটুকু আছে কর্তৃপক্ষের। তুরস্ক ও সিরিয়ার সাম্প্রতিক বিধ্বংসী ভূমিকম্পের পর সেই উদ্বেগ-শঙ্কা আরও বড় হয়ে সামনে আসছে। কেননা দেশে প্রায় প্রতিটি বড় দুর্ঘটনার পরই প্রশ্ন উঠেছে উদ্ধারকাজের সক্ষমতা নিয়ে।
বড় ধরনের দুর্ঘটনায় সবার আগে ডাকা হয় ফায়ার সার্ভিসকে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, ভূমিকম্পের ওপর দেশে কাজ করার অভিজ্ঞতা কারও নেই। ফায়ার সার্ভিসে লোকবল সব মিলিয়ে ১০ থেকে ১২ হাজার। এটা নিতান্তই অপ্রতুল।
উদ্ধার সক্ষমতার বিষয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেন, ৪৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবী তৈরি করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস ও অন্যান্য বাহিনীকে ২২০ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি দেওয়া হয়েছে। আরও ২০০ কোটি টাকার দেওয়া হবে। দরকার হলে অন্য দেশের সহযোগিতা নেওয়া হবে।
ভয় ধরাচ্ছে সমীক্ষা-জরিপের ফল
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) অতিসম্প্রতি একটি সমীক্ষা চালিয়েছে। এতে জানা যাচ্ছে, মধুপুর ফল্টে দিনের বেলায় ৬ দশমিক ৯ মাত্রা ভূমিকম্প হলে ঢাকার ৮ লাখ ৬৪ হাজার ৬১৯টি ভবন অর্থাৎ মোট ভবনের ৪০ দশমিক ২৮ শতাংশ ভেঙে পড়বে। মৃত্যু হবে ২ লাখ ১০ হাজার মানুষের। আর্থিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা ২ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের। তখন বাড়িঘর, ভবন পুনর্নির্মাণে দরকার হবে ৪ হাজার ৩৭০ কোটি ডলার।
এই সমীক্ষা বলছে, সিলেট ফল্টে দিনের বেলায় ৭ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ঢাকায় ৪০ হাজার ৯৩৫টি ভবন ভেঙে পড়বে। মৃত্যু হবে ১৬ হাজার মানুষের। আর্থিক ক্ষতি হবে ৫০০ কোটি ডলার।
রাজউকের এই সমীক্ষাটি নিয়ে গতকাল বুধবার ঢাকায় বৈঠকে বসেছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। তবে বৈঠকটি কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তারা জানান।
এর আগে ২০০৯ সালে সরকারের সমন্বিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মসূচি (সিডিএমপি) ও জাপানের জাইকার যৌথ জরিপে বলা হয়, ঢাকায় সাত বা তার বেশি মাত্রার ভূমিকম্প হলে ৭২ হাজার ভবন ভেঙে পড়বে। ১ লাখ ৩৫ হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তৈরি হবে ৭ কোটি টন কংক্রিটের স্তূপ।
সমীক্ষা-জরিপে ভূমিকম্পের আশঙ্কা ও তাতে যে ক্ষয়ক্ষতির কথা বলছে, তা সামাল দেওয়ার কী প্রস্তুতি আছে, এমন প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যে পরিমাণ ধংসের কথা বলা হয়েছে, তাতে ব্যাপক পরিমাণ ধ্বংসাবশেষ (ডেব্রিজ) তৈরি হবে। এই ধ্বংসাবশেষ থেকে আহত ও নিহত মানুষদের উদ্ধার একটি বড় চ্যালেঞ্জ হবে।’ এ ক্ষেত্রে উদ্ধার সক্ষমতা বাড়ানো দরকার হবে বলে প্রতিমন্ত্রী মনে করেন।
ঝুঁকি বাড়াচ্ছে অপরিকল্পিত নগরায়ণ
২০২২ সালের জনশুমারি অনুযায়ী, ঢাকার দুই মহানগরীতে বর্তমানে ১ কোটি ২ লাখ ৭৮ হাজার ৭০৮ জন মানুষের বাস। আর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে ৩২ লাখ ২৭ হাজার ২৪৬ জন এবং সিলেট সিটি করপোরেশনে ১০ লাখ মানুষ থাকে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ভালনারেবিলিটি স্টাডিজের অধ্যাপক ড. খোন্দকার মোকাদ্দেম হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেশে মাত্র ৩ শতাংশ ভবন ভূমিকম্প সহ্য করতে পারবে।
নজরদারির অভাব ও বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের সমন্বয়হীনতা ঢাকায় দিন দিন ভয়াবহ ঝুঁকি তৈরি করছে বলে মনে করেন এই অধ্যাপক। তিনি বলেন, এখানে আবাসিক ভবনকে বাণিজ্যিক করা হয়েছে। অবৈধভাবে গ্যাস ও বিদ্যুতের সংযোগ নেওয়া হয়েছে। ফলে ভয়াবহতা আরও বাড়ার ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে।
ভূমিকম্পের ঝুঁকির দিক থেকে ঢাকা শহর রেড জোনের মধ্যে আছে উল্লেখ করে মোকাদ্দেম হোসেন বলেন, ১৯৯০ সালের বিল্ডিং কোডটি ২০১০-এ কার্যকর হয়েছে। ১৯৯০ সালের আগে যে ভবন তৈরি হয়েছে, তার ৯০ ভাগ ভেঙে পড়ার ঝুঁকি আছে। আর এতে যেসব মানুষ আটকা পড়বে, তাদের ২৫ ভাগ উদ্ধারের সক্ষমতা এখনো তৈরি করা যায়নি।
রাজউকের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকায় মোট ভবন ২১ লাখ ৪৭ হাজার ২১৯টি। এর মধ্যে পাকা ভবন ৫ লাখ ১৩ হাজার ৬০৭ টি। আর নির্মাণাধীন রয়েছে ২০ হাজার ৩২টি।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মেহেদী আহমেদ আনসারীর গবেষণা বলছে, দেশে ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার আশঙ্কা আছে। তবে এই ভূমিকম্প ঠিক কোন সময়ে হবে, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। তবে প্রতি ১০০ থেকে ১৫০ বছর পর ভূমিকম্প হতে পারে।
এই অধ্যাপক বলেন, ঢাকার গার্মেন্টস ও স্কুল নিয়ে রাজউকের একটি গবেষণা আছে। তাতে ২৫ শতাংশ গার্মেন্টস ও স্কুলভবন ঝুঁকিপূর্ণ বলা হয়েছিল। যদি স্কুল ও গার্মেন্টসের ক্ষেত্রে এমন হয় তাহলে মানুষ বাস করে, এমন ভবনের ক্ষেত্রে ঝুঁকি বেশি হবে।
বড় ভূমিকম্প হলে উদ্ধারকাজে সমস্যা থাকবেই, এ কথা উল্লেখ করে ফায়ার সার্ভিসের সাবেক মহাপরিচালক সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, ‘ভূমিকম্প নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা বলতে, প্রতি বছর আমেরিকার সঙ্গে মিলে দেশে ফায়ার সার্ভিস একটি মহড়া চালায়।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪