Ajker Patrika

‘ভোটারদের চাপে’ বিদ্রোহী

মিঠাপুকুর প্রতিনিধি
আপডেট : ২৭ জানুয়ারি ২০২২, ১৫: ২১
‘ভোটারদের চাপে’ বিদ্রোহী

মিঠাপুকুরে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে বিদ্রোহ করে ১৩ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ছয়জন বর্তমান এবং তিনজন সাবেক চেয়ারম্যান আছেন। দল থেকে মনোনয়ন না পেলেও ভোটারদের চাপে তাঁদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তাঁরা।

ইউপি নির্বাচনের সপ্তম ধাপে মিঠাপুকুরের ১৭ ইউনিয়নে ভোট হবে ৭ ফেব্রুয়ারি। ইতিমধ্যে মনোনয়নপত্র বাছাই, প্রত্যাহার ও প্রতীক বরাদ্দ সম্পন্ন হয়েছে। এখানে চেয়ারম্যান পদে মোট ১২৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা এখন শীত উপেক্ষা করে চালিয়ে যাচ্ছেন প্রচার।

জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে ২০ জানুয়ারি মিঠাপুকুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে বিদ্রোহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আহ্বান জানানো হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা নিজেদের সিদ্ধান্তে অটল থেকে নির্বাচনী প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।

বর্তমান চেয়ারম্যানদের মধ্যে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন খোড়াগাছে মো. আসাদুজ্জামান, ভাংনীতে মো. কামরুল হাসান, লতিবপুরে মো. ইদ্রিস আলী, চেংমারীতে মো. রেজাউল কবীর টুটুল, বড়বালায় সাহেব সরকার ও বড়হযরতপুরে মো. রুস্তম আলী।

সাবেকদের মধ্যে খোড়াগাছে মো. নুর আলম, ময়েনপুরে শামছুল আলম মণ্ডল ও দুর্গাপুরে রবিউল ইসলাম প্রামাণিক প্রার্থী হয়েছেন। বিদ্রোহী বাকি প্রার্থীরা হলেন ময়েনপুরে মনঞ্জুরুল ইসলাম লেলিন, বালুয়ামাসিমপুরে রুহুল আমিন ও আল মিজান এবং ইমাদপুরে মো. লিপন খান।

রাজনীতি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, উপজেলায় ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অধিকাংশ প্রার্থী বাছাই সঠিক হয়নি। এ কারণে হযবরল পরিবেশ বিরাজ করছে। নেতা-কর্মীরা কোথাও নৌকার পক্ষে আবার কোথাও বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাঁরা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। সাধারণ জনগণ ও ভোটারদের কাছে স্থানীয় নেতাদের অবস্থান নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে।

বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার কারণ জানতে চাইলে মো. আসাদুজ্জামান জানান, তাঁর নৌকার বিপক্ষে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা ছিল না। কিন্তু স্থানীয় কর্মী-সমর্থক ও ভোটারদের দাবির প্রতি সম্মান জানাতে প্রার্থী হতে বাধ্য হয়েছেন।

চেংমারীর বিদ্রোহী প্রার্থী রেজাউল কবীর দাবি করেন, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড মনোনয়ন দেওয়ার জন্য সঠিকভাবে মূল্যায়ন করেনি। তবুও তিনি নির্বাচন করতেন না। কিন্তু পরপর তিন দিন স্থানীয় ভোটাররা তাঁর বাড়ি ঘেরাও করে প্রার্থী হওয়ার দাবি করায় তিনি প্রার্থী হয়েছেন।

রেজাউল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জনগণের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে রাজনীতি করা যায় না। বিদ্রোহী প্রার্থী হলেও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মনেপ্রাণে লালন করি।’

বড়হযরতপুরের রুস্তম আলী জানান, ইউনিয়নের ৭০ শতাংশ ভোটার তাঁর পক্ষে রয়েছেন। জনগণের বিপক্ষে গিয়ে কারও পক্ষে টিকে থাকা সম্ভব না হওয়ায় তিনি প্রার্থী হয়েছেন।

ভাংনীর কামরুল হাসান বলেন, ‘জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেছি। নানা প্রতিকূলতার মাঝেও দলকে সুসংগঠিত করার জন্য যা করা দরকার করেছি। অথচ মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে অন্য একজনকে। দলকে বাঁচাতে প্রার্থী হয়েছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত