Ajker Patrika

রামগড় স্থলবন্দরে সহজ হবে দুই দেশের বাণিজ্য

আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম ও বেলাল হোসাইন, রামগড় (খাগড়াছড়ি)
আপডেট : ০১ জানুয়ারি ২০২২, ১৭: ২৮
রামগড় স্থলবন্দরে সহজ হবে দুই দেশের বাণিজ্য

বাংলাদেশ ও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোর বাণিজ্যে নতুন দুয়ার খুলবে খাগড়াছড়ির রামগড় স্থলবন্দর। এই স্থলবন্দর চালু হলে চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে সহজ হবে যোগাযোগ। বন্দরটির অবকাঠামো নির্মাণকাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে।

ইতিমধ্যে রামগড় স্থলবন্দর চালুর লক্ষ্যে রামগড়ের মহামনি সীমান্তে ফেনী নদীর ওপর নির্মিত ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু-১ চালু হয়েছে। গত বছরের ৯ মার্চ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভার্চ্যুয়ালি এর উদ্বোধন করেন। এ সেতুটিকে ‘সেভেন সিস্টার্স’খ্যাত উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় ত্রিপুরাসহ ৭টি অনুন্নত রাজ্যের ‘গেটওয়ে’ হিসেবে দেখছে ভারত।

সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা গেছে, রামগড় স্থলবন্দর চার লেন সংযোগ সড়কের বাংলাদেশ অংশে চলছে উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ। সেতুর অদূরেই স্কেল নির্মাণের আয়োজন চলছে। জাপান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (জাইকা) উদ্যোগে প্রায় ২৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে বারইয়ারহাট-হেয়াকো-রামগড় সড়কে একসঙ্গে ১৬টি সেতুর নির্মাণকাজ শেষপর্যায়ে। সড়কটির সম্প্রসারণের কাজ শিগগিরই শুরু হবে। এ লক্ষ্যে ৯০০ কোটি টাকার প্রকল্পটির জন্য ঠিকাদার নির্বাচনের কাজ চলছে। রামগড়-চট্টগ্রাম সড়কে যোগাযোগে হেয়াকো-নারায়ণহাট-ফটিকছড়ি সড়কের উন্নয়নকাজ শেষের দিকে। এ সব বিষয় নিশ্চিত করেছেন সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের চট্টগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা।

এই বন্দর চালু হলে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে অল্প সময়ে ত্রিপুরায় পৌঁছে যাবে পণ্য। খরচও কমবে। এখান দিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটলে লাভবান হবে বাংলাদেশ। প্রসাধন সামগ্রী, সিরামিক ও মেলামাইন পণ্য, সিমেন্ট, ইট, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, তামাকজাতীয় পণ্য, শুঁটকি মাছসহ বেশ কিছু পণ্য ত্রিপুরায় রপ্তানির সুযোগ দেখছেন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা।

চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মো. মাহবুবুল আলম বলেন, রামগড় স্থলবন্দর চালু হলে সীমান্তবাণিজ্য সহজ হবে। দুই দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারিত হবে। আমদানি-রপ্তানি বাড়লে পিছিয়ে পড়া এলাকার উন্নয়ন হবে।

চট্টগ্রাম কাস্টম এক্সাইজ ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার মো. আকবর হোসেন বলেন, অবকাঠামো নির্মাণকাজ শেষ হলেই চালু হবে স্থলবন্দরটি। এতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে।

রামগড়ের ইউএনও উম্মে হাবিবা বলেন, সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হলেও রামগড় এলসি স্টেশন চালু হতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। সম্প্রতি স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রামগড় ঘুরে গেছেন। ইমিগ্রেশন চালুর ব্যাপারে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন। স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের জন্য অধিগ্রহণ করা জমি হস্তান্তর করা হয়েছে। কাস্টমস ও বিজিবির জন্য জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।

খাগড়াছড়ি চেম্বারের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী বলেন, রামগড় এলসি স্টেশন চালু হলে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে। এতে গতি আসবে স্থানীয় অর্থনীতিতে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত