সাইফুল মাসুম, ঢাকা
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সদ্য সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম ‘মেয়রের ঐচ্ছিক তহবিল’ থেকে পাঁচ অর্থবছরে ব্যয় করেছেন ৩৭ কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে দেড় কোটির কিছু বেশি টাকার হিসাব দিয়েছে ডিএনসিসির সমাজকল্যাণ ও বস্তি উন্নয়ন বিভাগ। বাকি সাড়ে ৩৫ কোটি টাকার হিসাবই গোপন রাখা হয়েছে। যে দেড় কোটির হিসাব প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানেই দেখা গেছে, সহকারী একান্ত সচিব ফরিদ উদ্দিনের সংগঠনকে তিনি দুই দফায় অনুদান দিয়েছেন। এমনকি এই তহবিল থেকে অনুদান পেয়েছে খাল দখলকারীও।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জনগণের টাকায় সিটি করপোরেশন চলে। মেয়রের ঐচ্ছিক তহবিল নামে হলেও সেই তহবিল জনগণের টাকায়ই গড়ে উঠেছে। কাজেই ঐচ্ছিক তহবিলসহ সিটি করপোরেশনের প্রতিটা ব্যয়ের হিসাবে স্বচ্ছতা থাকা জরুরি। জনগণের টাকা কে কোন উদ্দেশ্যে পেয়েছেন, তা জানা প্রয়োজন।
সিটি করপোরেশন সূত্র বলেছে, মেয়র আতিক ঐচ্ছিক তহবিল থেকে পাঁচ অর্থবছরে মোট ব্যয় করেছেন প্রায় ৩৭ কোটি ১৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে ডিএনসিসির সমাজকল্যাণ ও বস্তি উন্নয়ন বিভাগ হিসাব দিয়েছে ১ কোটি ৬০ লাখ ৬৫ হাজার টাকার। বাকি ৩৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকার হিসাব গোপন রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রধান সমাজকল্যাণ ও বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন-উল-হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মেয়রের নির্দেশে বাকি টাকা বিভিন্ন ব্যক্তিকে দেওয়া হয়েছে। তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী ব্যক্তির গোপনীয়তা রক্ষায় এই তথ্য আমরা দিতে পারব না।’
জানা গেছে, মেয়র আতিক ঐচ্ছিক তহবিল থেকে সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করেছেন ২০২৩-২৪ অর্থবছরে—৮ কোটি ৯১ লাখের বেশি টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ব্যয় করেছেন ৮ কোটি ২৪ লাখের বেশি টাকা। ২০২১-২২ অর্থবছরে ব্যয় করেছেন ৭ কোটি ১৬ লাখ টাকা। ২০২০-২১ অর্থবছরে খরচ করেছেন ৭ কোটি ৬২ লাখ টাকা। ২০১৯-২০ অর্থবছরে তিনি তুলনামূলক কম ব্যয় করেছেন, ৫ কোটি ২১ লাখ টাকা।
জানতে চাইলে অন্তর্বর্তী সরকারের দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশনের প্রধান ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, মেয়রের ঐচ্ছিক তহবিল থাকতেই পারে। তবে এই তহবিলের অর্থ ব্যয়ে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা থাকা উচিত। নীতিমালা না থাকলে এটা উদ্দেশ্যমূলকভাবে ব্যয়ের সুযোগ তৈরি হবে। ঐচ্ছিক তহবিলের বড় অংশের হিসাব গোপন রাখার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সিটি কর্তৃপক্ষ কোন কারণে এই তথ্য গোপন রাখতে চাইছে? এটা জনগণের টাকা, কে কোন উদ্দেশ্যে পেয়েছে, তা জানা জরুরি। তথ্য না দেওয়ার মধ্যে সন্দেহজনক বিষয় রয়েছে।’
একান্ত সচিব, খাল দখলকারীকে অনুদান
মেয়রের ঐচ্ছিক তহবিল থেকে অনুদান পাওয়া একটি সংগঠন ‘বিডি ক্লিন’। এর প্রতিষ্ঠাতা ফরিদ উদ্দিন মেয়র আতিকের সহকারী একান্ত সচিব ছিলেন। সংগঠনটিকে দুই ধাপে মোট সাড়ে ১২ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছেন সাবেক এই মেয়র।
ডিএনসিসি মেয়রের ঐচ্ছিক তহবিল থেকে ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ের যে হিসাব পাওয়া গেছে, সে তালিকায় রয়েছে বিডি ক্লিনের নাম। এই তালিকার আরেক প্রতিষ্ঠান গানের স্কুল ‘সুরের ধারা’ গড়ে উঠেছে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সাতমসজিদ হাউজিং-সংলগ্ন রামচন্দ্রপুর খাল ভরাট করে। এর প্রতিষ্ঠাতা রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। সিএস দাগ অনুসারে স্কুলটির দখল করা জায়গাটিতে প্রবহমান খাল ছিল। গত জানুয়ারি এই স্কুলকে ঐচ্ছিক তহবিল থেকে ১০ লাখ টাকা অনুদান দেন মেয়র আতিক।
অথচ রাজধানীর বেদখল হওয়া খালগুলোর মধ্যে উত্তর সিটিতে পড়া খাল উদ্ধারে বেশ তৎপরতা দেখিয়েছিলেন মেয়র আতিক। এমনকি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের তিন মাস আগে গত ১৩ মে ডিএনসিসির নগর ভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন, পরবর্তী এক বছর অবৈধভাবে দখল হওয়া খাল পুনরুদ্ধারে মনোযোগ বাড়াবেন তিনি।
জানতে চাইলে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মীর খায়রুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, এটা ঐচ্ছিক তহবিল। এখান থেকে অনুদান তাঁর (মেয়র) নিজস্ব সিদ্ধান্ত। যিনি দিয়েছেন, তিনিই ভালো বলতে পারবেন। ঐচ্ছিক তহবিলের ব্যয়ের বড় অংশ গোপন রাখার বিষয়ে সিইও বলেন, ‘এটা আমরা খতিয়ে দেখব।’
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সদ্য সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম ‘মেয়রের ঐচ্ছিক তহবিল’ থেকে পাঁচ অর্থবছরে ব্যয় করেছেন ৩৭ কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে দেড় কোটির কিছু বেশি টাকার হিসাব দিয়েছে ডিএনসিসির সমাজকল্যাণ ও বস্তি উন্নয়ন বিভাগ। বাকি সাড়ে ৩৫ কোটি টাকার হিসাবই গোপন রাখা হয়েছে। যে দেড় কোটির হিসাব প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানেই দেখা গেছে, সহকারী একান্ত সচিব ফরিদ উদ্দিনের সংগঠনকে তিনি দুই দফায় অনুদান দিয়েছেন। এমনকি এই তহবিল থেকে অনুদান পেয়েছে খাল দখলকারীও।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জনগণের টাকায় সিটি করপোরেশন চলে। মেয়রের ঐচ্ছিক তহবিল নামে হলেও সেই তহবিল জনগণের টাকায়ই গড়ে উঠেছে। কাজেই ঐচ্ছিক তহবিলসহ সিটি করপোরেশনের প্রতিটা ব্যয়ের হিসাবে স্বচ্ছতা থাকা জরুরি। জনগণের টাকা কে কোন উদ্দেশ্যে পেয়েছেন, তা জানা প্রয়োজন।
সিটি করপোরেশন সূত্র বলেছে, মেয়র আতিক ঐচ্ছিক তহবিল থেকে পাঁচ অর্থবছরে মোট ব্যয় করেছেন প্রায় ৩৭ কোটি ১৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে ডিএনসিসির সমাজকল্যাণ ও বস্তি উন্নয়ন বিভাগ হিসাব দিয়েছে ১ কোটি ৬০ লাখ ৬৫ হাজার টাকার। বাকি ৩৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকার হিসাব গোপন রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রধান সমাজকল্যাণ ও বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন-উল-হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মেয়রের নির্দেশে বাকি টাকা বিভিন্ন ব্যক্তিকে দেওয়া হয়েছে। তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী ব্যক্তির গোপনীয়তা রক্ষায় এই তথ্য আমরা দিতে পারব না।’
জানা গেছে, মেয়র আতিক ঐচ্ছিক তহবিল থেকে সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করেছেন ২০২৩-২৪ অর্থবছরে—৮ কোটি ৯১ লাখের বেশি টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ব্যয় করেছেন ৮ কোটি ২৪ লাখের বেশি টাকা। ২০২১-২২ অর্থবছরে ব্যয় করেছেন ৭ কোটি ১৬ লাখ টাকা। ২০২০-২১ অর্থবছরে খরচ করেছেন ৭ কোটি ৬২ লাখ টাকা। ২০১৯-২০ অর্থবছরে তিনি তুলনামূলক কম ব্যয় করেছেন, ৫ কোটি ২১ লাখ টাকা।
জানতে চাইলে অন্তর্বর্তী সরকারের দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশনের প্রধান ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, মেয়রের ঐচ্ছিক তহবিল থাকতেই পারে। তবে এই তহবিলের অর্থ ব্যয়ে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা থাকা উচিত। নীতিমালা না থাকলে এটা উদ্দেশ্যমূলকভাবে ব্যয়ের সুযোগ তৈরি হবে। ঐচ্ছিক তহবিলের বড় অংশের হিসাব গোপন রাখার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সিটি কর্তৃপক্ষ কোন কারণে এই তথ্য গোপন রাখতে চাইছে? এটা জনগণের টাকা, কে কোন উদ্দেশ্যে পেয়েছে, তা জানা জরুরি। তথ্য না দেওয়ার মধ্যে সন্দেহজনক বিষয় রয়েছে।’
একান্ত সচিব, খাল দখলকারীকে অনুদান
মেয়রের ঐচ্ছিক তহবিল থেকে অনুদান পাওয়া একটি সংগঠন ‘বিডি ক্লিন’। এর প্রতিষ্ঠাতা ফরিদ উদ্দিন মেয়র আতিকের সহকারী একান্ত সচিব ছিলেন। সংগঠনটিকে দুই ধাপে মোট সাড়ে ১২ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছেন সাবেক এই মেয়র।
ডিএনসিসি মেয়রের ঐচ্ছিক তহবিল থেকে ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ের যে হিসাব পাওয়া গেছে, সে তালিকায় রয়েছে বিডি ক্লিনের নাম। এই তালিকার আরেক প্রতিষ্ঠান গানের স্কুল ‘সুরের ধারা’ গড়ে উঠেছে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সাতমসজিদ হাউজিং-সংলগ্ন রামচন্দ্রপুর খাল ভরাট করে। এর প্রতিষ্ঠাতা রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। সিএস দাগ অনুসারে স্কুলটির দখল করা জায়গাটিতে প্রবহমান খাল ছিল। গত জানুয়ারি এই স্কুলকে ঐচ্ছিক তহবিল থেকে ১০ লাখ টাকা অনুদান দেন মেয়র আতিক।
অথচ রাজধানীর বেদখল হওয়া খালগুলোর মধ্যে উত্তর সিটিতে পড়া খাল উদ্ধারে বেশ তৎপরতা দেখিয়েছিলেন মেয়র আতিক। এমনকি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের তিন মাস আগে গত ১৩ মে ডিএনসিসির নগর ভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন, পরবর্তী এক বছর অবৈধভাবে দখল হওয়া খাল পুনরুদ্ধারে মনোযোগ বাড়াবেন তিনি।
জানতে চাইলে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মীর খায়রুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, এটা ঐচ্ছিক তহবিল। এখান থেকে অনুদান তাঁর (মেয়র) নিজস্ব সিদ্ধান্ত। যিনি দিয়েছেন, তিনিই ভালো বলতে পারবেন। ঐচ্ছিক তহবিলের ব্যয়ের বড় অংশ গোপন রাখার বিষয়ে সিইও বলেন, ‘এটা আমরা খতিয়ে দেখব।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪